ন্যাচারাল ব্যাকলিংক পাবার জন্য যা করবেন!
নিজে কোনো ব্যাকলিংক ভিক্ষা না চেয়ে কিভাবে ন্যাচারাল ব্যাকলিংক পাবেন — এটা যারা জানতে চান তাদের জন্য এই আর্টিকেলটি।
আমরা সবাই চাই ন্যাচারাল ব্যাকলিংক পেতে। কারো কাছ থেকে ভিক্ষা না করে, একদম অথেন্টিক high DA এর ওয়েবসাইট থেকে ব্যাকলিংক পেতে চাই এবং তা পাওয়া ও সম্ভব। কিন্তু সেজন্য কিছু টিপস এন্ড ট্রিকস ফলো করতে হবে।
আসলে ব্যাকলিংকের পেছনে সময় ইনভেস্ট করা উচিত না। এর চেয়ে বরং আপনার কনটেন্ট এর পেছনে সময় ইনভেস্ট করুন। আপনার কনটেন্ট এমন ভাবে তৈরি করুন, যাতে অন্য high DA সাইটগুলো আপনাকে নিজে থেকেই ব্যাক লিংক দেয়, দিতে বাধ্য হয়।
Original Research :
ন্যাচারাল ব্যাকলিংক পেতে হলে আপনাকে অবশ্যই সবার থেকে unic হতে হবে। এজন্য আপনাকে অরিজিনাল রিসার্চ করতে হবে।
অরিজিনাল রিসার্চ জিনিসটা আসলে কি?
— আপনার কন্টেন্টে এমন জিনিস রাখতে হবে, এমন কিছু রাখতে হবে যেটা আপনার অন্যান্য যেসব কম্পিটিটর আছে তাদের কন্টেন্টে থাকবে না। যেমন- Infographic, chart, table, custom image ইত্যাদি।
এর মধ্য থেকে যেকোনো একটা আপনার কন্টেন্টে থাকা অবশ্যই উচিত। এগুলো যদি আপনার কন্টেন্ট এ থাকে অবশ্যই আপনি ন্যাচারাল ব্যাকলিংক পাবেন।
Table :
আপনার আর্টিকেলটি যে টাইপেরই হোক না কেন, কোন ইনফরমেটিভ আর্টিকেল হোক বা প্রোডাক্ট রিভিউ আর্টিকেল হোক— অবশ্যই আপনার আর্টিকেলে কিছু ইনফরমেশন আপনি টেবিলে গুছিয়ে দেয়ার চেষ্টা করবেন।
কোনো কম্পেয়ারিজন টেবিল বানাতে পারেন, informative table বানাতে পারেন। যেকোনো টেবিল ব্যাকলিংক পাওয়ার ক্ষেত্রে খুব সাহায্য করে।
এজন্য আপনার উচিত যেখানে পারা যায়, সেখানে একটি টেবিল ঢুকিয়ে দেওয়া। অবশ্যই কাঠের টেবিল নয়, একটি ইনফোটেবিল। যেখানে ইনফরমেশন গুলো সাজানো থাকবে এবং এটি আপনাকে ব্যাকলিংক পেতে সাহায্য করবে।
Chart & Graph:
টেবিলের পাশাপাশি চার্ট এবং গ্রাফ ও খুব ভালো কাজ করে। একই কনটেন্টে আপনি টেবিলে রাখতে পারেন , চার্টও রাখতে পারেন আবার গ্রাফও রাখতে পারেন।
যদি দরকার হয় সবগুলোই একসাথে রাখতে পারেন। কিন্তু এমন কিছু অবশ্যই রাখবেন, যেটা আপনার কন্টেন্টকে বাকি দশটা কন্টেন্ট থেকে আলাদা করে তুলবে।
Use custom image:
যদি ন্যাচারাল ব্যাকলিংকের কথা বলি এবং অরিজিনাল রিসার্চ এর কথা বলি — তাহলে এক্ষেত্রে কাস্টম ইমেজটা খুব বড় একটা ভালো রোল প্লে করে।
কারণ মাঝে মাঝে দেখা যায়, অনেক সময় শুধু একটা সাধারণ ছবির জন্য আপনি ন্যাচারাল ব্যাকলিংক পাবেন। কিন্তু এজন্য ওই ছবিটা হতে হবে একদম ন্যাচারাল, অথেন্টিক এবং কাস্টম ইমেজ।
যে ছবিটা ইন্টারনেটে অন্য কারো কাছে নেই। এজন্য আপনাকে হয়তো ওই প্রোডাক্টের বা ওই জিনিসের ছবি নিজে তুলে ব্যবহার করতে হবে অথবা এরকম কাস্টম ছবির জন্য প্রোডাক্ট নিজের কাছে না থাকলে যে কারো কাছ থেকে সংগ্রহ করে, তারপরে সেটা ব্যবহার করতে হবে।
কন্টেন্ট র্যাঙ্ক করান:
আর একটা ব্যাপার হল আপনি যদি আপনার কনটেন্টটাকে র্যাঙ্ক করার মত করে লিখতে পারেন, অত ভালো কোয়ালিটির কনটেন্ট লিখতে পারেন এবং আপনার কন্টেন্ট র্যাংক করেও যায় — তাহলে অবশ্যই আপনার কন্টেন্ট এমনিতেই ন্যাচারাল ব্যাকলিংক পাবে।
অর্থাৎ, যদি আপনি অরিজিনাল রিসার্চ নাও করে থাকেন তাও আপনার কন্টেন্ট এমনিতেই ন্যাচারাল পাবে যদি সে র্যাঙ্ক করে।
ওয়েবসাইটকে ব্র্যান্ড বানান:
এছাড়াও আপনি যদি আপনার ওয়েবসাইট টাকে একটা ব্র্যান্ড হিসেবে দাঁড়া করাতে পারেন তাহলে আপনার ওয়েবসাইটের নামটাকেই মানুষজন ব্যবহার ব্যবহার করবে। এক্ষেত্রে আপনার ন্যাচারাল ব্যাকলিঙ্ক পাওয়াটা অনেকটা সহজ হয়ে যাবে।
নিজের ওয়েবসাইট কে ব্র্যান্ড হিসেবে দাঁড়া করাতে চাইলে অবশ্যই আপনার সোশ্যাল মিডিয়া প্রেজেন্স এখানে একটা বড় ভূমিকা রাখবে। এজন্য আপনি ওয়েবসাইট এর পাশাপাশি কোন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে অবশ্যই একটিভ থাকবেন। হতে পারে youtube, facebook, প্রিন্টারেস্ট, ইনস্টাগ্রাম বা যে কোনো কিছু।
তবে এখন একটা ওয়েবসাইটের পাশাপাশি একটা youtube চ্যানেল অনেক বড় ভূমিকা পালন করে। আজকাল মানুষ ভিডিও মুখী হয়েছে। সুতরাং আপনার উচিত একটা youtube চ্যানেল অবশ্যই খোলা।
এক্ষেত্রে আপনি যদি নিজে নিজের ফেইস দেখিয়ে ভিডিও দিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ না করেন, তাহলে যে কোনো ভাবে হলেও একটা ইউটিউব চ্যানেল খুলবেন এবং নিয়মিত ভিডিও দিবেন। AI ব্যবহার করে, র্যান্ডম ক্লিপে ভয়েস ওভার দিয়ে হলেও আপনার উচিত একটা youtube চ্যানেল কন্টিনিউ করা।
ইউটিউবে ভালো ভিউ পেতে হলে— অবশ্যই আপনার থাম্বনেইলের প্রতি এক্সট্রা মনোযোগী হতে হবে। যাতে মানুষ দেখে আকর্ষিত হয়।
যেমন আমরা একটা আর্টিকেলের বেলায় করে থাকি। আর্টিকেলের মূল আকর্ষণ যেমন টাইটেল, এরকম ভিডিওতে যাতে মানুষ আগ্রহ পায় এজন্য অবশ্যই থাম্বনেইলটা প্রথমে ভালো করা জরুরী।
কম খরচে ভালো থাম্বনেইল ডিজাইন করাতে চাইলে [email protected] এর সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
Custom Resource Page:
অরিজিনাল রিচার্জ এর মত আপনার কিছু কাস্টম রিসোর্ট পেইজে থাকা উচিত যেটা আপনার কম্পিউটারে থাকবে না এই কাজগুলো একটু কঠিন খুব সহজ না এজন্য আপনার কিছু ইফোর্ট দিতে হবে আপনি এখানে ইপুট দিবেন বলেই এই কাজগুলো আপনার ভিজিটরদেরকে একটা এক্সট্রা ভ্যালু প্রোভাইড করবে।
Directory:
আমি আমার সাইডে Directory করেছিলাম। ধরুন আমার একটা টার্টেল রিলেটেড সাইট আছে। সেখানে আমি এমন একটা লিস্ট করেছি— যেখানে প্রত্যেকটা স্টেইটের, প্রত্যেকটা ভেটের নাম, ঠিকানা, কন্টাক্ট নাম্বার দেয়া আছে।
কেউ যদি নিজের স্টেইট সিলেক্ট করে, ওইখান থেকে সে তার স্টেটের ভেটের সম্পূর্ণ তথ্য পেয়ে যাবে। এই চার্টটা করা কিন্তু খুব একটা সহজ কাজ না এবং অত্যন্ত সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। আপনি যদি নিজে করতে না পারেন, অন্য কাউকে দিয়ে করাতে পারেন তাহলেও করাবেন।
কারণ এই কাজটা যেহেতু সময় সাপেক্ষ এবং কষ্টসাধ্য — অনেকেই এই কাজটা করবে না। কিন্তু আপনি যদি করেন তাহলে সেটা আপনাকে ইউনিক করে তুলবে। এজন্য আপনি বেশি বেশি ব্যাকলিংক পাবেন।
Calculator :
এছাড়াও আমি ক্যালকুলেটর বানিয়ে ছিলাম। আমার Beta Fish ওয়েবসাইটের জন্য। এখানে বিভিন্ন ধরনের ক্যালকুলেটর বানিয়েছিলাম।
এই ক্যালকুলেটর গুলো আপনি প্লাগইন ব্যবহার করেই বানাতে পারবেন। কিন্তু ক্যালকুলেটর এর ভেতরে যে লজিকগুলো সেগুলো আপনাকে নিজেকে করতে হবে। এইটা একটু কষ্টসাধ্য ব্যাপার এবং এটা আপনাকে বুঝে করতে হবে।
এজন্য আপনাকে কোডিং নিয়ে ভালো নলেজ থাকতে হবে। আপনার যদি কোডিং এর ব্যাপারে ভালো নলেজ না থাকে, অন্য কেউ কোডিং পারে এমন কাউকে দিয়ে বানাতে পারেন।
মোটকথা আপনি যেভাবেই হোক না কেন, এই ইউনিক কাজ গুলো করার চেষ্টা করবেন। নিজে পারুন বা না পারুন অন্য কাউকে দিয়ে হলেও অবশ্যই করাবেন।
Publish Ideas Type Articles :
আইডিয়াস টাইপ আর্টিকেলস হলো এমন কিছু আর্টিকেল যেগুলো বিভিন্ন জিনিস নিয়ে আইডিয়া দেবে। যেমন হোম ডেকোরেশন আইডিয়া, বেডরুম ডেকোরেশন আইডিয়া ইত্যাদি।
এক একটা আর্টিকেলে অবশ্যই আপনাকে অনেক গুলো আইডিয়া রাখতে হবে। এরকম পঞ্চাশটা ষাটটা আইডিয়া বের করা খুবই কঠিন।
এজন্য আপনি একটা ট্রিক্স ফলো করতে পারেন। আপনি আপনার কীওয়ার্ডটা গুগলে সার্চ না করে, ইনস্টাগ্রামে গিয়ে সার্চ করবেন।
ধরুন আপনার কিওয়ার্ড হলো -বেডরুম ডেকোরেশন আইডিয়া। এটা আপনি ইন্সটাগ্রামে সার্চ করবেন। এরপরে দেখবেন অনেক অনেক পোস্ট আসবে এই হ্যাশট্যাগের আন্ডারে।
এরপরে আপনি যে ছবিগুলো পাবেন সেগুলো ডাউনলোড করে ব্যবহার না করে, আপনি Embed করে দিবেন। তাহলে কপিরাইটের ঝামেলায় পড়বেন না এবং ওই ইনস্টাগ্রামের আইডিয়া গুলো আপনি আপনি লিখবেন।
Publish DIY Type Articles:
DIY বলতে বোঝায় Do It Yourself। এমন অনেক ক্রিয়েটিভ মানুষ আছে যারা ক্রাফটের কাজ করেন। বিভিন্ন জিনিস নিজে নিজে বাসায় তৈরি করেন, বাইরে থেকে না কিনে।
হতে পারে খেলনা, বিভিন্ন হোম ডেকরের জিনিসপত্র, আর্ট সাপ্লাইস ইত্যাদি। এই জিনিসগুলো আপনি শুধুমাত্র লিখে মানুষকে বোঝাতে পারবেন না। এই জন্য অবশ্যই আপনার প্রত্যেকটা কাজের ছবি আর্টিকেলের সাথে আপলোড করতে হবে।
এই ছবিগুলো আপনি ইন্টারনেটেও পাবেন না। এজন্য অবশ্যই কাজ গুলো আপনার নিজের করতে হবে এবং প্রত্যেকটা স্টেপের ছবি তুলে রাখতে হবে। যদি আপনি নিজে এমন ক্রাফট এর কাজ না করে থাকেন, তাহলে এমন কাউকে হায়ার করুন যে ক্রাফটের কাজগুলো করে থাকে এবং তাকে বলবেন— সে যখন কাজ করবে তখন যেন প্রত্যেকটা স্টেপের ছবি তুলে রাখে। ওই ছবি গুলো আপনাকে দেবে এবং আপনি ব্যবহার করবেন।
Publish Recipe Type Articles :
DIY এর মত রেসিপি টাইপ আর্টিকেলও পোস্ট করতে পারেন। রেসিপি টাইপ আর্টিকেল লেখার জন্য যে আপনার কুকিং ওয়েবসাইটই থাকতে হবে — ব্যাপারটা তা না।
যেকোনো ওয়েবসাইটে আপনি কুকিং রেসিপি দিতে পারেন। ধরুন আপনার গার্ডেনিং নিশের একটা ওয়েবসাইট আছে। আপনি সেখানেও একটা রেসিপি টাইপ আর্টিকেল দিতে পারেন।
হতে পারে যে — ” গার্ডেনাররা কি ধরনের খাবার খেতে পছন্দ করে ” অথবা “বাগানে কিভাবে রান্না করা যায়” এই ধরনের আর্টিকেল আপনি দিতে পারেন।
এর জন্য যদি নিজে রান্না পারেন না পারেন তাহলে এমন কাউকে হায়ার করলেন যে রান্নাবান্না পারে। তাকে আপনি হয়তো ইনগ্রেডিয়েন্স গুলো কিনে দিবেন এবং তাকে বলবেন যে “তুমি এই আইটেমটা বানাও, আর যখন বানাবে তখন সব টাইপের ছবি তুলে রাখবে”। এর পরে আপনি আর্টিকেলে সেই ছবিগুলো ব্যবহার করবেন।
এমন কিছু ইউনিক কাজকর্ম অবশ্যই আপনার ওয়েবসাইটে করবেন, আপনার আর্টিকেলের রাখবেন। যাতে আপনার ওয়েবসাইটে ঢুকলে মানুষ বুঝতে পারে যে- না আপনার ওয়েবসাইটটা অন্য কম্পিটিটরদের থেকে আলাদা।
তাদের থেকে আপনি একটা এক্সট্রা ইফোর্ট দিয়েছেন, এটা যাতে বোঝা যায়। তাহলে আপনি এমনিতেই ন্যাচারাল ব্যাকলিংক পাবেন। আপনার কাউকে ইমেইল করতে হবেনা, কারো হাত পা ধরতে হবে না ব্যাক লিংক এর জন্য।