2023 সালে যেভাবে গুগলে র‌্যাংকের জন্য Product Roundup আর্টিকেল লিখতে হবে!

মানি আর্টিকেল কীভাবে লিখতে হয়? মানি আর্টিকেলে কী কী থাকা উচিত?  কী কী থাকলে ২০২৩ সালে সেটা গুগলে র‌্যাংক করতে পারবে— এসব জানতে হলে আর্টিকেলটি আপনার জন্য! 

Include 1st hand experience :

প্রথমে টাইটেলে ক্লিয়ার করে দিতে হবে আপনার আর্টিকেলে কয়টি প্রোডাক্ট নিয়ে কথা বলবেন। এরপরে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হচ্ছে — রিভিউটা এমনভাবে লিখতে হবে, যাতে মনে হয় প্রোডাক্ট গুলো আপনার নিজের ব্যবহার করা। 

এই ব্যাপারটা গুগল কঠিনভাবে দেখছে৷ এটাকে বলে E.E.A.T।  

যার ফুল ফর্ম হচ্ছে — Experience, Expertise, Authoritiveness and Trustworthiness।  এজন্য এক্সপেরিয়েন্সটা উল্লেখ করার বেলায় গুরুত্ব দিতে হবে। তাই আর্টিকেলে ” আমি এটা ব্যবহার করে এই ফলাফল পেয়েছি, এই অসুবিধা হয়েছে..” এমন কথাবার্তা বলতে হবে। এতে বোঝা যাবে প্রোডাক্টটা আপনি নিজে ব্যবহার করেছেন। 

Dive deeper into Content Writing by checking out this article. এই ৫টি উপায়ে আপনি আরো দ্রুত লিখতে পারবেন!

Recommend 1 product in the intro:

অনেকেই বড় একটা ইন্ট্রো দেন, তারপর সরাসরি রিভিউতে চলে যান। এটা করা যাবে না। 

যে কয়টা প্রোডাক্টের রিভিউই করেন না কেন, ইন্ট্রোতে একটা প্রোডাক্ট হাইলাইট করতে হবে৷ যদি কারো হাতে সময় না থাকে পুরো আর্টিকেল পড়ার জন্য তাহলে সে যাতে ইন্ট্রোতে একটাই বেস্ট প্রোডাক্টের সাজেশন পেয়ে যেতে পারে। 

এজন্য বলে দিতে পারেন যে,” যদি তোমার হাতে পুরো আর্টিকেল পড়ার সময় না থাকে তাহলে এই প্রোডাক্টটা তোমার জন্য। এটা বেস্ট একটা প্রোডাক্ট। “

এতে সময় না থাকা সত্ত্বেও তারা ইন্ট্রো দেখেই প্রোডাক্ট কিনতে পারবে এবং আপনিও সহজে কমিশন পাবেন। 

Before starting the review, provide e comparison chart:

অনেক প্লাগইন দিয়ে সুন্দর সুন্দর Comparison Table ক্রিয়েট করতে পারেন। খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা ব্যাপার।  মানি আর্টিকেলে Comparison Table রাখতেই হবে।

Comparison Table এ সবগুলো প্রডােক্টের ভেতরকার তুলনা রাখবেন। কোনটার চেয়ে কোনটা বেটার। প্রত্যেকটা প্রোডাক্টের সব ইনফরমেশন টেবিলে সাজিয়ে রাখবেন৷ এতে ভিজিটর বুঝতে পারবে কোন প্রোডাক্টটা ভালো। 

সুন্দর একটা Comparison Table বানাতে পারলে আপনার CTR অর্থাৎ, Clickthrough rate বেড়ে যাবে। আবার মানুষজন এখানে ক্লিক করে প্রোডাক্ট কেনার চান্স বেড়ে যাবে৷ 

Include custom image, if you can:

comparison chart দেয়ার পরে প্রত্যেকটা প্রোডাক্টের রিভিউ লেখা শুরু করে দেবেন। রিভিউতে প্রত্যেকা প্রোডাক্টের ছবি দিতে হবে এবং প্রোডাক্ট সম্পর্কিত একটা ভিডিয়ো ইনক্লুড করতে হবে। 

প্রোডাক্ট নিয়ে নিজে ভিডিয়ো বানানোর সুযোগ না থাকলে ইউটিউব থেকে যেকোনো একটা ভিডিয়ো Embed করে দেবেন। যে ভিডিয়োতে প্রোডাক্টের ব্যবহার ইত্যাদি দেখানো হয়েছে। 

একপাশে ভিডিয়ো রাখবেন, আরেক পাশে প্রোডাক্টের ছবিটা রাখবেন। 

প্রোডাক্টের ছবির ক্ষেত্রে, যখন অ্যামাজন থেকে সরাসরি ছবির কোডটা বসানো হয় তখন লার্জ সাইজ দিলেও ছবিটা খুব ছোট থাকে। কিন্তু ছবিটা বড় করে দেখাতে হবে। এজন্য একটা ট্রিকস ফলো করতে পারেন। 

এজন্য — 

  • ব্যাকএন্ডে যেতে হবে। 
  • প্রোডাক্টের কোডটার মধ্যে একটা অপশন পাবেন। যেটা SL দিয়ে শুরু হয়।
  • শুরুতে এখানে SL250 দেয়া থাকে। ছবিটা বড় করতে হলে SL এর পরে বড় সংখ্যা দিতে হবে। যত বড় সংখ্যা দেবেন তত বড় ছবি দিতে হবে। সাধারণত SL6000 বসাতে পারেন।

এটা করার পরে ছবিটা অটোমেটিক বড় হয়ে যাবে। আপনাকে কোনো প্লাগইন ব্যবহার করতে হবে না। এটা করার পরে আপডেট দিলে নরমাল অ্যামাজনের লার্জ ইমেজ সাইজের থেকেও বড় একটা ছবি পাবেন। 

সবচে ভালো হয় অ্যামাজনের র‌্যান্ডম সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডের ছবি ব্যবহার না করে একটা কাস্টম ছবি ব্যবহার করতে পারলে। যদি প্রোডাক্ট আপনার কাছে থাকে তাহলে নিজে ছবি তুলে ব্যবহার করা উচিত।

অনেক সময়ই প্রোডাক্ট আমাদের কাছে থাকেনা। তখন অ্যামাজনের ছবিই ব্যবহার করতে পারেন। পাশাপাশি ইউটিউব থেকে একটা ভিডিয়ো Embed করবেনই।

রিভিউয়ের সেকশনটা একেকজন একেক রকম করে থাকে। আপনি প্রথমে প্রোডাক্ট নিয়ে দুয়েক লাইন লিখতে পারেন। এরপরে এটা যদি কোনো টেকনিক্যাল প্রোডাক্ট হয়, তাহলে টেকনিক্যাল স্পেসিফিকেশন গুলো সুন্দর  করে গুছিয়ে দেয়ার চেষ্টা করবেন। টেবিল হিসেবেও দিতে পারবেন যাতে সহজে পড়া যায়। 

এরপরে প্রোডাক্টের ফিচার্স গুলো দিয়ে দেবেন। ছোট ছোট সাবহেডিং দিয়ে প্রত্যেকটা ফিচার এক্সপ্লেইন করে দেবেন। শেষে একটা CTA লাইন অর্থাৎ Click To Action লাইন দেবেন। যেখানে ক্লিক করে মানুষজন প্রোডাক্টটা কিনতে পারবে। 

Discover more interesting content on Content Writing by reading this post. আপনার আর্টিকেল কতটা মানসম্মত — তা বুঝবেন যেভাবে!

এই ফরমেটটাই যে আপনাকে ফলো করতে হবে, ব্যাপারটা এমন না। আপনার সুবিধামত যেকোনো ফরমেটে আর্টিকেলটা লিখতে পারেন। 

Include buying guide, after the review part:

একটা মানি আর্টিকেলে অথবা একটা Product Roundup আর্টিকেলে রিভিউয়ের পরে অবশ্যই একটা Buying Guide ইনক্লুড করবেন। 

অনেকে buying guide টা শুরুতে রাখে। ইন্ট্রোডাকশনের পরেই দিয়ে দেয়, তারপরে রিভিউ গুলো লেখে। কিন্তু, রিভিউ লেখার পরে buying guide টা দেয়া ভালো। 

Buying Guide টা যত ডিটেইল এবং সুন্দর করে করা যায় সেই চেষ্টা করবেন। 

Include information subheadings regarding the type of product :

buying guide এর পরে কিছু ইনফরমেশনাল সাব হেডিং ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন যেগুলো প্রোডাক্ট টাইপের সাথে যায়। যাতে ওই সাব হেডিং গুলোর জন্যও র‌্যাংক করতে পারেন।

এছাড়াও এই সাবহেডিং গুলো দিলে আর্টিকেলটা পরিপূর্ণ হবে। এটার টপিক্যাল রেলেভেন্সটা ফিলআপ হবে। 

Compare some of the recommendations in conclusion :

আপনি তো আর্টিকেলে দশ বারোটা প্রোডাক্ট নিয়ে কথা বলেছেন। কিন্তু এর মধ্যে থেকে তিন-চারটা প্রোডাক্ট নিয়ে Conclusion এ Comparison করে রেকমেন্ড করবেন। 

কোন প্রোডাক্টটা কোন ব্যাপারের জন্য ভালো, সেটা দেখাতে পারেন। এটা করলে রিডাররা নিজেদের প্রয়োজন অনুযায়ী প্রোডাক্ট সিলেক্ট করতে পারবে। 

তবে Conclusion টা খুব বড় করবেন না। মোটেই দশটা প্রোডাক্টের তুলনা দেখাতে যাবেন না। তিন-চারটা বড়জোর দেখাতে পারেন। 

Provide anything extra that you can to add more value :

এমন কোনো জিনিস যদি থাকে যেটা যুক্ত করলে আপনার রিডাররা এক্সট্রা একটা ভ্যালু পাবে সেটা অবশ্যই যুক্ত করার চেষ্টা করবেন। এতে আপনার আর্টিকেলটা কম্পিটিটরদের আর্টিকেলের চেয়ে বেটার হবে, আরো ইউনিক হবে এবং আরো বেটার র‌্যাংক করবে। 

Dive deeper into Content Writing by checking out this article. কন্টেন্ট রাইটার হিসেবে কাজ করতে হলে যে তিনটি জিনিস জানতেই হবে! 

এই ব্যাপার গুলো আরো ভালো ভাবে শিখতে চাইলে Writers Motion এর কন্টেন্ট রাইটিং কোর্সটা করে ফেলতে পারেনযেখানে মানি আর্টিকেল কীভাবে লিখতে হয়— সে সম্পর্কে আরো বিস্তারিত তথ্য শিখতে পারবেন। 

এছাড়াও যদি লেখালেখির ঝামেলায় নিজে না জড়াতে চান তাহলেও আপনার আর্টিকেলটি Writers Motion এ অর্ডার করতে পারেন। 

Similar Posts