এই ১০ টা নিশ আমি রেকমেন্ড করবো ২০২৪ সালে!

এখানে ১০ টা নিশ নিয়ে কথা বলবো, যেগুলো নিয়ে কাজ করলে আগামী দুই তিন বছরে আপনার ওয়েবসাইট একটা ভালো পজিশনে যেতে পারবে।

অর্থাৎ আপনি আপনার ওয়েবসাইটকে একটা ব্র্যান্ড হিসেবেই দাঁড় করাতে পারবেন। এখানে যে নিশ গুলো নিয়ে কথা বলবো, সেগুলো সম্পর্কে শোনার পর হয়তো প্রথমে মনে হতে পারে যে — এগুলো অনেক কম্পেটিটিভ এক একটা নিশ।

কিন্তু যদি আপনি এগুলো নিয়ে ভালোভাবে কাজ করতে পারেন, একটু ইফোর্ট দিয়ে, একটু মনোযোগের সাথে কাজ করতে পারেন — হয়তো এখানেও আপনি ভালো ভালো কিওয়ার্ড খুঁজে পাবেন।

এগুলো নিয়ে কাজ করতে হলে প্রথমত, আপনাকে খুব ভালো কিওয়ার্ড রিসার্চ জানতে হবে। কারণ এগুলো মোটেই দুই পয়সা দামের কোন নিশ না। এগুলো প্রত্যেকটা টপিক নির্ভর নিশ। সুতরাং আপনাকে সেই অনুযায়ী কিওয়ার্ড ও রিসার্চ করতে হবে।

এই আর্টিকেলে আপনি এই নিশ গুলোর সম্পর্কে জানার পাশাপাশি জানতে পারবেন — এই নিশের আন্ডারে কি কি অ্যাফেলিয়েট আছে, কিভাবে কি ওয়ার্ড রিসার্চ করতে পারবেন কিভাবে সাব টপিক রিসার্চ, মনিটাইজ করতে পারবেন ইত্যাদি।

Looking for more insights on Blogging? You may find this post valuable. ১০টি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট, যা প্রতিটি ব্লগারের ফলো করা উচিত! 

1.Apartment Decoration:

” এপার্টমেন্ট ডেকোরেশন “এই নিশের অনেক চাহিদা আজকাল। আবার এই নিশ টাকে আপনি চাইলে অনেক দিকে নিতে পারবেন। আপনি লিখতে পারবেন— বেডরুম ডেকোরেশন নিয়ে, ওয়াশরুম ডেকোরেশন নিয়ে, কিচেন ডেকোরেশন নিয়ে। মানে আপনি এখানে প্রত্যেকটা কর্নার নিয়ে কথা বলতে পারবেন!

এই নিশে পিন্টারেস্ট খুবই ভালো কাজ করে। এমনকি আপনি যদি নিজে ডেকোরেশন করে থাকেন, তাহলে ইউটিউবেও আপনি খুব ভালো কাজ করতে পারবেন এই নিশটা নিয়ে।

এই নিশের মনিটাইজেশন খুবই ভালো। এর অনেক অ্যাফিলিয়েট সাইট ও আছে। এই নিশে অ্যাড থেকেও ভালো ইনকাম করতে পারবেন। 

তাছাড়া আপনি চাইলে একটা কোর্স বানিয়েও সেল করতে পারেন, DIY প্রোডাক্ট নিয়ে আর্টিকেল লিখতে পারেন— ডেকোরেশন এর ক্ষেত্রে যেসব DIY প্রোডাক্ট ইউজ করা যায়।

এছাড়াও যখন আপনার মান্থলি একটা ভালো রকমের ট্রাফিক আসবে — দেখা গেল ৫০ থেকে ৬০ হাজার পেইজ ভিউ আসছে মাসে, তখন আপনি চাইলে একটা নতুন বাসায় গিয়ে একদম পুরোটা ডেকরেট করে দেখাবেন। 

এভাবে আপনি এই নিশের মাধ্যমে ইউটিউব একটা ভালো অডিয়েন্স গেইন করতে পারবেন, সেখান থেকেও ভালো ট্রাফিক আসবে। 

তবে আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে কখনোই আপনি ছড়িয়ে ফেলবেন না। অর্থাৎ আপনি একটা আর্টিকেল লিখলেন বেডরুম ডেকোরেশন নিয়ে, আরেকটা লিখলেন কিচেন ডেকোরেশন নিয়ে আবার আর একটা লিখলেন ওয়াশরুম ডেকোরেশন নিয়ে। 

একটা একটা করে জাস্ট লিখে গেলেন, এরকম না করে যেকোনো একটা টপিক সিলেক্ট করে সেটার আন্ডারে যত সাব-টপিক হতে পারে সেগুলো নিয়ে আর্টিকেল লিখে শেষ করে— তারপর অন্য আরেকটা টপিকে যাবেন। 

যেমন হয়তো আপনি শুরু করলেন বেডরুম ডেকোরেশন নিয়ে। এর পরেই আপনি বেডরুম ডেকোরেশন নিয়ে একটা আর্টিকেল লিখেই অন্য আরেকটা রুমে চলে যাবেন না। 

বেডরুম ডেকোরেশনের আন্ডারে যত সাবটপিক হতে পারে সবগুলো নিয়ে লিখবেন। যেমন বেডটা কিভাবে কিভাবে সাজানো যেতে পারে — এই একটা বেড এর উপরে আপনি অনেক গুলো আর্টিকেল লিখতে পারেন। 

তারপরে জানালার কর্নারটা কিভাবে সাজানো যায় — এটার উপরেও আপনি অনেক আর্টিকেল লিখতে পারেন। এভাবে ক্লাস্টার করে করে আপনি আর্টিকেল লিখবেন, তারপরে অন্য টপিকে যাবেন।

এজন্য যদি আপনার একটা সাব টপিকের উপরে ৩০ থেকে ৪০ টা আর্টিকেল দেয়া লাগে—  তাহলে দিবেন। এতে হবে কি, যখন আপনি একটা টপিক পুরোপুরি ভাবে কমপ্লিট করবেন তখন ওই টপিকটার উপরে একটা টপিক্যাল রেলেভেন্সি কাজ করবে। তখন আপনাকে google ওই সাব-টপিকটার জন্য একটা এক্সট্রা ভ্যালু বা একটা অথরিটি দেবে।

2.Home Theatre :

যারা মুভি দেখে নিয়মিত তারা এসব হোম থিয়েটার খুবই পছন্দ করেন। অর্থাৎ বাসার ভেতরে একটা সিনেমা হল টাইপ ক্রিয়েট করা। 

বাসার ভেতরে এ ধরনের হোম থিয়েটার বানাতে কি কি জিনিসপত্র লাগে — সেগুলো নিয়ে আপনি আর্টিকেল লিখতে পারেন, কোন মনিটর টা ব্যবহার করা ভালো, কোন স্পিকারটা ব্যবহার করা ভালো, কিভাবে তৈরি করা যায়, কিভাবে ডেকোরেট করা যায় এসব নিয়ে।

এই নিশের একটা সুবিধা জনক ব্যাপার হলো, এই নিশে যেনতেন কেউ একটা আগ্রহ দেখায় না। কারণ যাদের খুব টাকাপয়সা আছে শুধুমাত্র তারাই এই নিশের ব্যাপারে সজাগ থাকে, খোঁজ খবর নিয়ে থাকে। 

কারণ হোম থিয়েটার ব্যাপারটা খুব একটা সস্তা ব্যাপার না এতে অনেক টাকা পয়সা খরচ হয়। এজন্য এই নিশ থেকে এড এর রেভিনিউ খুব বেশি আসার কথা।

এছাড়াও আপনি অনেক সুন্দর সুন্দর এফিলিয়েট প্রোডাক্ট রেকমেন্ড করতে পারবেন। 

শুরুর দিকে এই নিশে এড এবং অ্যাফিলিয়েট থেকেই খুব ভালো ইনকাম করা সম্ভব। কিন্তু তারপরও যখন খুব ভালো পরিমাণে পেজ ভিউ আসতে শুরু করবে, তখন আপনি চাইলে নিজে একটা হোম থিয়েটার বানিয়ে দেখালেন। 

কিভাবে সিস্টেমটা সেট করতে হয়, কোনটা কিভাবে বসাতে হয় ইত্যাদি সবকিছু। এজন্য যদি নিজের টিভি থাকে, নিজের মনিটর থাকে তাহলে তো ভালো।

কিন্তু যদি না থাকে তাহলে এমন কোনো কোম্পানির সাথে আপনি যোগাযোগ করতে পারেন, যাদের কাছ থেকে কিছুদিনের জন্য মনিটর, সিস্টেম, স্পিকার ইত্যাদি সব ধরনের ডিভাইস এনে হোম থিয়েটারটা সাজিয়ে জাস্ট অডিয়েন্সের জন্য ভিডিও করতে পারেন অথবা ছবি তুলে রাখতে পারেন। 

পরে কাজ শেষ হলে তাদেরকে আবার ফেরত দিয়ে দিবেন — এই ধরনের ডিল করতে পারেন। অথবা যদি আপনার কোন বন্ধুর কাছে এই ধরনের হোম থিয়েটার রিলেটেড ডিভাইস থেকে থাকে তাহলে আপনি তার কাছ থেকেও আনতে পারেন।

এই নিশের মধ্যেও আপনি সাব টপিক নিয়ে আগে লিখবেন, ক্লাস্টার করে আর্টিকেল লিখবেন। এজন্য আপনি প্রথমে মনিটর নিয়ে লিখতে পারেন, অডিও সিস্টেম নিয়ে লিখতে পারেন, ডেকোরেশন নিয়ে লিখতে পারেন, মেইনটেনেন্স নিয়ে লিখতে পারেন —অনেক কিছু নিয়ে আপনি লিখতে পারেন! মোটকথা এই নিষেধ আন্ডারে আপনি অনেক অনেক আর্টিকেল লিখতে পারবেন।

3.Beekeeping :

মৌমাছি কিভাবে ধরতে হয় — এটার উপরেও যে একটা নিশ হতে পারে, সেটা অনেকেই জানেন না। কিন্তু এই জিনিসটা খুবই মজার এবং এই নিশের প্রতি মানুষের আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে। 

কিভাবে মৌমাছি ধরে মধু সংগ্রহ করে তারপর জীবিকা নির্বাহ করা যায়, এ সম্পর্কে United States এর মানুষজনের অনেক আগ্রহ। এই আগ্রহটা অনেক জায়গায় ছড়িয়ে পড়ছে। 

মৌমাছি নিয়ে চাইলে অনেক কিছু লেখা যায়, অনেক অনেক আর্টিকেল আপনি লিখতে পারবেন। যেমন— মৌমাছি আর মধু সংগ্রহের সময় কি পোশাক পড়তে হয়, কি সেটাপ করতে হয়, ওদেরকে কি খাওয়াতে হয়, কিভাবে সংরক্ষণ করতে হয়, কখন মধু সংগ্রহ করতে হয় ইত্যাদি অনেক অনেক টপিক আছে। অনেক সাব টপিক আছে— যেগুলো নিয়ে আপনি আর্টিকেল লিখতে পারেন। এছাড়াও এফিলিয়েট প্রোডাক্ট ও আছে, কোর্স ও সেল করতে পারবেন। সুতরাং এই নিশটাও বেশ ভালো।

4.Swimming Pool:

এই নিশটা অনেক বড় একটা নিশ এবং এর কম্পিটিশন অনেক হাই। এরপরও আমি আপনাকে বলবো, যদি আপনি কোন সাব- ক্যাটাগরি ধরে আগান তাহলেও আপনি অনেক ভালো কিছু করতে পারবেন।

আপনাকে আগাতে হবেই—  কারণ এই নিশের সম্ভাবনা অনেক বেশি। এই নিশটাও বড়লোকদের ব্যাপার-স্যাপার। কারণ যাদের খুব টাকা-পয়সা আছে তারাই সুইমিং পুলের চিন্তা করে। বাকিদের খাল বিল নদী নালা হলেই চলে যায়। সুতরাং এখানে অ্যাডের রেভিনিউ অনেক আসার সম্ভাবনা আছে এবং এফলিয়েটের ও খুব ভালো সুযোগ সুবিধা আছে।

একটা ছোট সাব-টপিক ধরে আগালেও আপনি আগান। কারণ খুব বড় জায়গা Own করতে হবে— এমন কোন কথা নেই। ছোট একটা জায়গায় আপনি ভালোভাবে শক্ত করে নিজের করে নিন। সেখানে আপনার আধিপত্য বিস্তার করুন— এটাই বেশ ভালো। 

এজন্য আপনি ছড়িয়ে না গিয়ে, ক্লাসটার করে আর্টিকেল লিখবেন। অর্থাৎ একটা সাব টপিকের উপরে আপনি আরো ক্যাটাগরি করবেন। তারপরে সেখানে প্রত্যেকটা ক্যাটাগরি কভার করবেন। ৩০-৪০ টা আর্টিকেল দেয়া লাগলে দেবেন। তারপরে আপনি অন্য ক্যাটাগরিতে যাবেন।

এ নিশের একটা সমস্যা হতে পারে যে— সিজনালিটি। বছরের কোনো কোনো সময়ে এর চাহিদা অনেক হাই থাকতে পারে, কোনো কোনে সময় একদম ধ্বস নামতে পারে— এটা স্বাভাবিক।

এই ব্যাপারটা সব নিশের ক্ষেত্রেই হতে পারে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই হয়। সামারে খুব চাহিদা থাকে উইন্টারে আবার চাহিদা কমে যায়।

যেমন সুইমিং পুলের ব্যাপারটাই ধরুন না— গরমকালে সবাই সুইমিং পুলে আগ্রহ দেখায়।  কিন্তু উইন্টারে পানিতেই নামতে চায় না। এক্ষেত্রে আপনি উইন্টারে এমন আর্টিকেল লিখতে পারেন যেটা শীতকালের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। 

যেমন, আপনি লিখতে পারেন যে — শীতকালে কিভাবে সুইমিং পুল মেইনটেইন করা যায়, কিভাবে এর যত্ন নেয়া যায় ইত্যাদি। এতে যখন ট্রেন্ড নেমে যাবে তারপরও কিন্তু আপনি আপনার ট্রাফিক টা মেইনটেইন করতে পারবেন। 

5.Home Office:

করোনা প্যান্ডেমিক এর পরে আমরা সবাই অনলাইন মুখী হয়ে পড়েছি। এখন সশরীরে কাজ করাটা ধীরে ধীরে কমে এসেছে। অনেকেই হোম অফিসের দিকে ঝুকছেন। প্যান্ডেমিক চলে যাওয়ার পরও এই প্রবণতাটা মানুষের ভিতর থেকে গেছে।

এজন্য এই নিশটাও বেশ ইম্পরট্যান্ট এবং ইউনিক। এর ভেতরে আপনি হোম অফিসের ডেকোরেশন নিয়ে কথা বলতে পারেন, এছাড়াও কিভাবে সেটআপ করা যায়, কোন পিসিটা কাজে লাগানো যায়, পিসিটা কিভাবে সেট করা যায়, কোন লে-আউটে বসাতে হবে, কোন টেবিলটা ব্যবহার করতে হবে, কোন এঙ্গেলে কাজ করতে কমফোর্টেবল ইত্যাদি অনেক কিছু নিয়ে আপনি লিখতে পারবেন। 

এগুলো ছাড়াও এই নিশেও এড এবং অ্যাফিলিয়েট তো আছেই। আপনি বিভিন্ন প্রোডাক্টের অ্যাফিলিয়েট করতে পারেন এতেও আপনার ইনকামটা ভালো বাড়বে। তাছাড়া চাইলে আপনি নিজে একটা হোম অফিস ডেকোরেট করে দেখাতে পারেন আপনার ইউটিউব চ্যানেলের বন্ধুদের সাথে!

6.DIY Home Security :

এই মিস্টার আমেরিকাতে খুবই জনপ্রিয় একটা নিস তারা নিজেরা খুবই চেষ্টা করে কিভাবে নিজেদের ভাষাটা secure রাখা যায়। 

এজন্য তারা অনেক ধরনের ডিভাইস ব্যবহার করে থাকে ওয়েবক্যাম ব্যবহার করে এমন এমন ওয়েবক্যাম ব্যবহার করে যেগুলো মোবাইল দিয়েও মনিটর করা যায়। সিকিউরিটি এলার্ম আছে এরকম অনেক ধরনের ডিভাইস আছে যেগুলো হোম সিকিউরিটির জন্য ব্যবহার করে থাকেন এই প্রত্যেকটা ডিভাইসের অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম আছে যেগুলো নিয়ে আপনি কাজ করতে পারেন।

হোম সিকিউরিটি তে আর একটা মজার ব্যাপার হলো ইন্সুরেন্স আপনি ইন্সুরেন্স ও প্রমোট করতে পারবেন। এতে আপনার তেমন কোনো কাজ করতে হবে না শুধু আপনি যদি একটা ইন্সুরেন্স কোম্পানিকে লিড দিতে পারেন তাহলেই তারা আপনাকে কমিশন দেবে। 

Need to understand more about Blogging? This post might help you. ব্লগ পাবলিশ করার জন্য বেস্ট সময় কখন! 

7.Emergency Preparedness :

ইমারজেন্সি প্রিপেয়ার্ডনেস আমাদের এমার্জেন্সি মুহূর্তেই দরকার হয়।  এই নিশটা বেশ ভালো। এর থেকে ট্রাফিক আসার সম্ভবনা খুব বেশি। কারণ আমরা মানুষরা প্রতিদিনই বলতে গেলে দুর্যোগের সম্মুখীন হই।

 এখন প্রত্যেকটা দুর্যোগের সময় কিভাবে নিজেকে গোছানো যায়, কি কি করা উচিত, সেইফটির জন্য কোথায় যাওয়া উচিত, কোন দুর্যোগে কিভাবে সেফ থাকা যায় ইত্যাদি অনেক অনেক টপিক আছে, অনেক সাব টপিকও আছে। সুতরাং এই নিশও বেশ ভালো।

8.Farming / Farm Animals:

কৃষি প্রধান দেশ হিসেবে এই নিশের উপর আমাদের ইন্টারেস্ট থাকাটা উচিত।  এই নিশের পরিসর বেশ ভালো। আপনি যদি ১০ বছর এটা নিয়ে লিখতে চান তাহলেও বোধ করি শেষ হবে না। 

এতে আপনি লিখতে পারেন— গরু নিয়ে, মুরগি নিয়ে, খামার নিয়ে, কিভাবে ফার্ম তৈরি করা যায়, ঘোড়া নিয়ে। অনেক ধরনের অ্যানিমেল নিয়ে আপনি কথা বলতে পারেন। 

কিভাবে মুরগি থেকে ডিম সংগ্রহ করা যায়, তা কিভাবে বাজারজাত করা যায়, গরু থেকে দুধ সংগ্রহ করা যায় কিভাবে — এরকম অনেক ধরনের আর্টিকেল আপনি লিখতে পারবেন। 

কাজ করতে গেলে যেগুলো আপনি খুঁজে পাবেন। এক্ষেত্রে ভালো হয় যদি আপনার নিজের একটা ফার্ম থাকে। যদিও আমেরিকার মানুষদের খামার আর আমাদের খামার এক হবেনা। তাও করতে পারেন। 

এছাড়া অ্যাড এবং এফিলিয়েট থেকেই আপনি খুব ভাল ইনকাম করবেন।আর আপনি যদি খুব ক্রিয়েটিভ হন তাহলে ইনফরমেটিভ কোর্স বানিয়েও সেল করতে পারেন।

9. Extreme Sports :

স্পোর্টস অনেক ধরনের হয় । এর মধ্যে আপনি এক্সট্রিম স্পোর্টস পছন্দ করতে পারেন। এখানে আপনি Punzi Jumping, parcelling, ice swimming ইত্যাদি নিয়ে কথা বলতে পারেন। 

কিন্তু একটা জিনিস নিয়ে সাবধান থাকবেন যেন, আপনি কোনো ভাবেই কোনো এগ্রেসিভ স্পোর্টস নিয়ে কথা না বলে ফেলেন  কারণ এড নেটওয়ার্ক গুলো আগ্রেসিভ কথাবার্তা পছন্দ করে না। যেমন মারামারি কুস্তি ইত্যাদি।

তবে এই নিশটা খুব সিজনাল। কারণ কিছু কিছু স্পোর্টস আছে যেগুলো সামারে খুব ট্রেন্ডিংয়ে থাকে। কিন্তু উইন্টারে একদম তার দেখা পাওয়া যায় না। 

এজন্য আপনি এমন এমন স্পোর্টস হাতে রাখবেন, যেগুলো একটা আরেকটার পরিপূরক হিসেবে কাজ করবে। যেমন সামারে আপনি একটা স্পোর্টস নিয়ে লিখবেন যেটা সামারি খুব ট্রেন্ডিংয়ে এ থাকে। এরপরে আপনি উইন্টারে এমন একটা স্পোর্টস নিয়ে লিখবেন যেটা উইন্টারে খুব ট্রেন্ডিংয়ে থাকে— সামারে দেখা না পাওয়া গেলেও। 

10.Living in a Van:

বাংলাদেশে এই নিশটা খুব কার্যকর না হলেও আমেরিকা ইউ এস এর মানুষ এই নিশ খুবই পছন্দ করবে। কারণ তারা ভ্যানে বসবাস করতে খুব আগ্রহী! 

অর্থাৎ এটা এমন একটা জিনিস যে, যাদের ছোট একটা ভ্যান থাকে তারা বছরের একটা সময় ঘুরতে বের হয়, অনেকে এক বছর বা দুই বছরের জন্যও বের হয়। এরপর ওই ভ্যানেই থাকে, ঘুমায়, খায় — সবকিছু করে। ওরা বাসায় ফেরেনা।

ভ্যানেই জীবন যাপন শুরু করে দেয়। এখন এই নিশটাও খুব ভালো একটা নিশ, অনেক বড় পরিসরের একটা নিশ। এখানে আপনি কথা বলতে পারেন যে — কিভাবে এটা ডেকোরেট করা যায়, একটা ভ্যান কিভাবে থাকার উপযোগী করা যায়, কি কি ব্যবহার করা যায়, কোন বেড ইউজ করা যায়, কিভাবে মেইনটেইন করতে হয় ইত্যাদি। 

আবার এই ভ্যান গুলোকে বলা হয় ” Camper “।  এই ভ্যান গুলোর জন্য আপনি লিড জেনারেটও করতে পারেন। এমন অনেক কোম্পানি আছে যারা আপনার থেকে লিড কিনবে, তাদের সাথেও যোগাযোগ করতে পারেন।  এছাড়াও এর এড এবং অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম বেশ ভালো। 

যে দশটা নিশ নিয়ে কথা বলা হলো—  এই নিশ গুলোতে যদি আপনার ন্যূনতম আগ্রহ থেকে থাকে, তাহলেই আপনি যাবেন। এছাড়া আপনি শুধুমাত্র যে টাকার জন্য যাবেন তা-না। তাহলে কিন্তু আপনি খুব একটা ভালো করতে পারবেন না। কারণ প্রত্যেকটা নিশই খুব বড় পরিসরের এক একটা নিশ। এর পেছনে কমপক্ষে ভালো একটা ইফোর্ট দিতে হবে। যদি আপনার আগ্রহ না থাকে তাহলে আপনি এগুলোতে ভালো করতে পারবেন না।

Similar Posts