কন্টেন্ট রাইটিং কি? কিভাবে কন্টেন্ট লিখে আয় করা যায়?

আজকের পোস্টে আমি কন্টেন্ট রাইটিং এর ব্যাপারে মোটামুটি একটা পূর্ণাঙ্গ ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করবো।

Table of Contents

কন্টেন্ট রাইটিং কি?

কন্টেন্ট বলতে অনেক কিছু বুঝানো হয়ে থাকে যেমনঃ কন্টেন্ট বলতে একটা ভিডিও হতে পারে, একটা অডিও হতে পারে বা একটা ছবি ইত্যাদি অনেক কিছুই হতে পারে। কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং দুনিয়াতে কন্টেন্ট রাইটিং বলতে আমরা মূলত ব্লগপোস্ট এর জন্য লিখালিখি করাকে বুঝাই।

কন্টেন্ট রাইটিং কিভাবে করা হয়?

কন্টেন্ট রাইটিং এর জন্য প্রথমেই প্রয়োজন পরে পরিপূর্ণ একটি রিসার্চ এর। ধরুন আপনার একজন ক্লায়েন্ট আপনাকে একটি টপিক দিবেন, তার দেওয়া টপিকটি যেকোনো কিছুরই হতে পারে যেমনঃ How do you take care of a cat? বা How do you take care of a pet? অথবা How do you use a washing machine? ইত্যাদি অনেক কিছুই হতে পারে।

এখন আপনাকে এখানে যে কাজ করতে হবে তা হলো ক্লায়েন্ট এর দেওয়া টপিকটির উপর রিসার্চ করতে হবে এবং তারপর আপনার আর্টিকেলটি লিখা লাগবে।  আর্টিকেলটি লিখার পর আপনার নিশ্চিত করতে হবে যেনো আপনি রিসার্চ করে যে আর্টিকেলটি লিখেছেন তা যেনো হুবহু কোথাও থেকে কপি পেস্ট করা না হয়ে থাকে এবং আপনার আর্টিকেলটি গ্রামাটিকালি কারেক্ট হয়।

এরপর আপনার ক্লায়েন্ট যদি আপনার লিখা আর্টিকেলটি পছন্দ করে তাহলেই সে আপনাকে পে করবে। এটাই মূলত কন্টেন্ট রাইটিং।

কন্টেন্ট রাইটিং করায় ক্লায়েন্ট যে আপনাকে টাকা দিচ্ছে, সেটা কেন দিচ্ছে? এখানে ক্লায়েন্টের লাভটা কি?

বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই একজন ক্লায়েন্ট আর্টিকেলটি লিখায় তার ওয়েবসাইটের জন্য কারণ সে তার ওয়েবসাইট থেকে টাকা ইনকাম করতে চায়। ধরুন আপনার একটি ওয়েবসাইট আছে এবং আপনি একটি পপুলার ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন।

ধরে নিলাম ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানটি হচ্ছে দারাজ ডটকম।  এখন আপনি দারাজ ডটকম এর সাথে একটি ডিল করলেন যে- আপনি তাদের কোনো প্রোডাক্ট এর মার্কেটিং করবেন আর এই মার্কেটিং থেকে যে প্রোডাক্টগুলো সেল হবে সেই প্রত্যেকটি প্রোডাক্ট এর জন্য তাদের আপনাকে একটি কমিশন দিতে হবে।

এই পদ্ধতিকে মূলত এফিলিয়েট মার্কেটিং বলে। এটা মূলত ওয়েবসাইট থেকে একটি ইনকামের ধরণ। আর কন্টেন্ট রাইটিং এর ক্ষেত্রে বেশির ভাগ সময়ই আপনার ক্লায়েন্ট এই এফিলিয়েট মার্কেটিং করে থাকে।

ধরুন আপনার ক্লায়েন্ট দেখলো দারাজে অনেক প্রেসার কুকার আছে তাই সে চাচ্ছে Top 10 Best Pressure Cooker Reviews টপিকে একটি কন্টেন্ট লিখাতে। এই কন্টেন্টটি সে তার ওয়েবসাইটে পাবলিশ করবে এবং তারপর কন্টেন্টটি গুগলে র‍্যাং করবে অর্থাৎ কেউ যদি Best pressure cooker লিখে গুগলে সার্চ করে তাহলে এই কন্টেন্টটি সবার প্রথমে আসবে আর সেটায় ক্লিক করলেই ভিউয়ার আপনার ক্লায়েন্টের ওয়েবসাইটে চলে আসবে।

এরপর সেই কন্টেন্ট পড়ে ভিউয়ার এর কিছু পছন্দ হলে সে দারাজে গিয়ে সেই পন্যটি কিনবে এবং তাতে আপনার ক্লায়েন্ট একটি কমিশন পাবে। এখন এখানে আপনার ক্লায়েন্ট মূলত রাইটার না,তাই সে নিজে কন্টেন্ট রাইটিং টা করতে পারছে না।

একারণেই সে এই লিখার জন্য একজন রাইটার ঠিক করবেন যেটা মূলত আপনি। ক্লায়েন্ট আপনাকে নিজের টপিক আর কন্ডিশনগুলো দিবে, সেগুলোর উপর ভিত্তি করে আপনি কন্টেন্ট লিখে দিবেন আর সেটা ক্লায়েন্ট এর চাহিদামতো হলে সে আপনাকে  টাকা দিবে এবং সে নিজেও কন্টেন্টটি নিজের ওয়েবসাইটে পাবলিশ করে ইনকাম করতে পারবে।

রাইটার হিসেবে কি কি ধরনের কন্টেন্ট আপনার লিখা লাগতে পারে?

রাইটিং এর অনেক বড় স্পেক্ট্রাম রয়েছে তবে একজন ফ্রিল্যান্সার কন্টেন্ট রাইটার এর প্রধানত তিন ধরনের আর্টিকেল লিখা লাগে।

প্রথম আর্টিকেলের ধরন হচ্ছে ইনফরমেটিভ আর্টিকেল। ইনফরমেটিভ আর্টিকেল বলতে বুঝায় আপনি পুরো আর্টিকেলটি শুধু একটি বিষয়ের উপর লিখবেন এবং সেখানে কোনো প্রোডাক্ট এর রিভিউ লিখা লাগবে না।অর্থাৎ এই আর্টিকেল শুধুমাত্র পিউর ইনফরমেশনের উপর ভিত্তি করে লিখা থাকবে।

এরপর হচ্ছে সিংগেল প্রোডাক্ট রিভিউ আর্টিকেল। এই ধরনের আর্টিকেলে আপনি শুধুমাত্র একটি সিংগেল প্রোডাক্ট এর রিভিউ করবেন পুরো আর্টিকেল জুড়ে।

সবশেষে আসে মাল্টিপল প্রোডাক্ট রিভিউ আর্টিকেল বা মানি আর্টিকেল। এধরনের আর্টিকেলে একই ধরনের অনেকগুলো প্রোডাক্ট  এর রিভিউ করা হয়। এধরণের আর্টিকেল সবচেয়ে বেশি অর্ডার করে থাকে সাধারণ ক্লায়েন্টেরা।

এছাড়াও রাইটিং এর নানা ধরন যেমনঃ কপি রাইটিং, সিভি রাইটিং, রেসিপি রাইটিং ইত্যাদি আরও অনেক সাব ক্যাটাগরি আছে। তবে উল্লিখিত প্রথম তিন ধরনের আর্টিকেলের কাজই বেশি পাওয়া যায় তুলনামূলকভাবে। এই বিষয়গুলোতে পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকলে আপনার কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা আরো বেড়ে যাবে।

রিয়াল লাইফে কি কি কন্টেন্ট রাইটিং জব সচরাচর পাওয়া যায়?

রাইটিং এর অনেকগুলো সেক্টর আছে। বিজনেস রাইটিং, কপি রাইটিং, ঘোস্ট রাইটিং, ক্রিয়েটিভ রাইটিং, সিভি রাইটিং, টেকনিকাল রাইটিং, প্রুফ রিডিং, এপ্লিকেশন রাইটিং, সিইও রাইটিং, ট্রান্সলেশন এমন অনেক কিছুই আছে।

আপনি সেগুলো দেখে নিজের স্কিলস অনুযায়ী পছন্দমতো রাইটিং এর কাজগুলো নিতে পারেন। Upwork, Fiverr ইত্যাদি প্ল্যাটফর্ম গুলোতে গেলেই আপনি এরকম আরো অনেক কন্টেন্ট রাইটিং এর অপশন পেয়ে থাকবেন।

কিভাবে কন্টেন্ট রাইটিং শিখবেন?

কন্টেন্ট রাইটিং এর জন্য শুরুতেই কিছু বিষয়ে আপনার দক্ষতার প্রয়োজন হবে। আর সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে ইংরেজিতে পারদর্শী হতে হবে।  ইংরেজি তে ভালো না হলে এই কন্টেন্ট রাইটিং আপনার জন্য না।

ইংরেজিতে গ্রামাটিকালি কোনো ভুল ছাড়া আপনি যদি কোনো বিষয়ে গুছিয়ে লিখতে না পারেন তাহলে এই রাইটিং সেক্টরটি আপনার জন্য নয়। রাইটিং এর ক্ষেত্রে ভালো ইংরেজিত জানা ও সেইসাথে লিখায় সেটির ব্যবহার করাটা বাধ্যতামূলক।

কন্টেন্ট রাইটিং শেখার জন্য আপনি দুইটি পথ পাবেন। একটি হচ্ছে ফ্রি ওয়ে এবং অন্যটি পেইড ওয়ে।

ফ্রি ওয়ে তে কন্টেন্ট রাইটিং শেখার সুবিধাটি হচ্ছে এতে আপনার কোনো টাকা খরচ করতে হবে না অর্থাৎ কিছু পে করতে হবে না কিন্তু এটি খুবই সময়সাপেক্ষ ব্যাপার হবে। আপনার নিজ গরজ থেকে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে গিয়ে গিয়ে খুজে খুজে শেখা লাগবে।

 ফ্রি ওয়ে শেখার জন্য আপনি ইউটিউবে বিভিন্ন চ্যানেলে ফ্রি কোর্স পাবেন। এছাড়াও অনলাইনে বিভিন্ন ব্লগপোস্ট আছে, অনেক পপুলার ব্লগার আছেন আপনি তাদের আর্টিকেল গুলো ফলো করে রাইটিং এর ধরণ সম্পর্কে ধারণা নিয়ে শিখতে পারেন।

আবার ক্লায়েন্ট এর দেওয়া টপিকে রিসার্চ করার সময় আপনি বিভিন্ন পোস্ট দেখতে পাবেন, সেগুলো ঘাটাঘাটি করেও আপনি অনেকটা জানতে পাবেন, চাইলে এসব জায়গা থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে নিজের পছন্দসই রাইটিং স্টাইলটা তৈরি করতে পারবেন।

কন্টেন্ট রাইটিং শেখার অন্য পথটি হচ্ছে পেইড ওয়ে। পেইড ওয়েতে আপনাকে কিছু নির্দিষ্ট এমাউন্ট পে করে কোর্স করতে হবে। বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্ম বা কোম্পানিতে আপনি কন্টেন্ট রাইটিং শেখার জন্য নানা পেইড কোর্স পেয়ে যাবেন।

এমনকি আমার নিজেরও একটি কন্টেন্ট রাইটিং শেখার কোর্স আছে। কোর্স সম্পর্কে বিস্তারিত নিচের লিংকে পেয়ে যাবেনঃ

https://members.muntaseerrahman.com/

কন্টেন্ট রাইটিং শিখে কিভাবে কাজ পাবেন?

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং দুনিয়াতে সবচেয়ে বড় প্ল্যাটফর্ম হচ্ছে Upwork। কন্টেন্ট রাইটিং শিখে আপনি চাইলে Upwork এ প্রোফাইল খুলতে পারেন। upwork এর প্রক্রিয়াটি হচ্ছে ক্লায়েন্টরা জব পোস্ট করে, সেটি দেখে রাইটারের যদি মনে হয় সে কাজটি করতে পারবে তাহলে এপ্লাই করবে।

নতুন দের জন্য এখানে কাজ পাওয়াটা একটু কঠিন হয় কারণ সবাই নতুন দের খুব একটা কাজ দিতে আগ্রহী হন না। আবার এর বিপরীতটিও দেখা যায় কারণ নতুন রাইটাররা কম চার্জ  করে। প্রফেশনাল রাইটার দের চার্জটা  একটু বেশিই হয় তাই যে ক্লায়েন্টের বাজেট কম সে নতুন রাইটারদের দিয়েই কাজগুলো করাতে চাইবেন।

Expand your knowledge about Blogging with this article. ১০টি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট, যা প্রতিটি ব্লগারের ফলো করা উচিত! 

তাই আশাহত হওয়া যাবে না। ক্রমাগত জবের জন্য এপ্লাই করে যেতে হবে। Upwork এর পাশাপাশি আরো নানা প্ল্যাটফর্ম যেমন Fiverr, freelancer. com ইত্যাদি প্ল্যাটফর্মগুলোতেও একই নিয়ম কাজ করে আর সেখানে যদি মনে হয় আপনি কাজটি করতে পারবেন তাহলে এপ্লাই করতে থাকলে একসময় কাজ পেয়ে যাবেন।

শুরুটা ধীরে ধীরে হলেও যখন আপনার অভিজ্ঞতা বাড়বে,একটা সময় দেখবেন আপনি ভালো রিভিউ পাচ্ছেন এবং তখন আপনি আরো সহজে ভালো কাজ পাবেন।

সেইসাথে নতুন রাইটাররা লোকাল ক্লায়েন্টদের থেকেও কাজ নিতে পারেন। বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে বিশেষ করে ফেসবুকে কিছু কিছু গ্রুপ পাওয়া যায় যেখানে ক্লায়েন্টরা তাদের প্রয়োজন অনুসারে রাইটার চেয়ে পোস্ট করেন।

কিন্তু এখানে একটা সমস্যা হচ্ছে অনেক সময় রাইটাররা লোকাল ক্লায়েন্ট দের দ্বারা ধোকার স্বীকার হয়। মানে ক্লায়েন্টরা তার কাজ হয়ে গেলে ঠকাতে চায়, টাকাও দিতে চায়না। এই ব্যাপারটায় একটু সতর্ক হতে হবে।

এই ঝুঁকিটুকু ছাড়া নতুনদের জন্য লোকাল কাজগুলোর সুবিধাই বেশি কারণ এখানে তাদেরকে অন্যান্য প্রোফেশনাল প্ল্যাটফর্মের মতো কাজের জন্য অপেক্ষা করা লাগবে না এবং তুলনামূলকভাবে প্রতিযোগিতাটাও  কম। এভাবেই আপনি শুরুতে কাজগুলো পাওয়া শুরু করবেন।

যে কাজটি করলে আপনার কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা আরো কয়েকগুণ অনেক বেড়ে যাবে

এজন্য আপনার যা করতে হবে সেটি হলো নিজের একটি পোর্টফলিও দাড়া করানো। পোর্টফলিও হচ্ছে অনলাইনে এমন একটি জায়গা যেখানে আপনি আপনার লিখা আর্টিকেল  গুলো একসাথে জমা রাখবেন এবং শো করতে পারবেন।

যখন কোনো ক্লায়েন্ট আপনার কাছে লিখার স্যাম্পল চাইবে তখন যেনো আপনি সেটির লিংক তাকে দিয়ে দিতে পারেন এবং তখন আপনার ক্লায়েন্ট বুঝতে পারবে আপনি কিরকম রাইটার, আপনার লিখার মান, লিখার ধরন সবকিছু কেমন।

কিভাবে পোর্টফলিও তৈরি করবেন?

পোর্টফলিও অনেকভাবে করা যায়।এরমধ্যে একটি হচ্ছে ফ্রি ওয়ে এবং আরেকটি পেইড ওয়ে।

যদি আপনি ফ্রিতে করতে চান তাহলে আপনি medium.com এ গিয়ে সেখানে একটি একাউন্ট খুলে আপনার লেখাগুলো সাজিয়ে রাখতে পারেন। কিন্তু এক্ষেত্রে পেইড ওয়ে টাই বেশি গ্রহণযোগ্য।

পেইড ওয়ে তে আপনি একটি ওয়েবসাইট বানাবেন যেটির ডোমেইন নামটি আপনার নামেই হবে। যেমনঃ আপনার নাম Muntaseer Rahman হলে আপনার ওয়েবসাইটটির নাম হবে muntaseerrahman.com

সেখানে গিয়ে আপনি আপনার ব্যক্তিগত ওয়েবসাইটটি সাজাবেন, একটি পোর্টফলিও দাড়া করাবেন। আর যখন আপনি নিজের সব কাজগুলো একসাথে গুছানো অবস্থায় নিজের নামের একটি ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট লিংকের মাধ্যমে ক্লায়েন্ট এর সাথে শেয়ার করবেন এই পুরো ব্যাপারটা তখন একটি ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

 ক্লায়েন্ট আপনার পেশাদারিত্ব আর অভিজ্ঞতা সম্পর্কে বুঝতে পারবে তাই আপনার কাজ পাওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যাবে।

লিখালিখি করে কত টাকা আয় করা যায়?

এই পুরো ব্যাপারটিই বেশ সাব্জেক্টিভ। আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বললে আমি যখন ফ্রিল্যান্সার রাইটার হিসেবে কাজ শুরু করি তখন ৫০০ শব্দের জন্য আমি পেতাম মাত্র ৬০ টাকা। তখন অভিজ্ঞতা কম ছিলো,নতুন থাকায় অনেক কিছুই জানা ছিলো না কিন্তু এখন আমি প্রতি ৫০০ শব্দের জন্য ৭৫০ টাকা চার্জ করছি আর অবস্থা অনুযায়ী এই চার্জের পরিবর্তনও হচ্ছে।

লিখালিখি থেকে আয়ের ব্যাপারটি অনেক কিছুর উপরই নির্ভর করে। আপনার পেশাদারিত্ব,  অভিজ্ঞতা, দক্ষতা, সময়, পরিস্থিতি, লিখার বিষয়বস্তু এই সবকিছুর সাথে লিখার চার্জও পরিবর্তিত হবে।

লিখালিখি শুরু করলেই আপনি বিভিন্ন রেঞ্জের কাজের অফার পেয়ে থাকবেন, তখন আপনি নিজের আগ্রহ অনুযায়ী শুরু করলে ধীরে ধীরে অভিজ্ঞতা বাড়ার সাথে সাথে নিজের চার্জও বাড়িয়ে বেশি আয় করতে পারবেন।

কিভাবে আপনি লিখার কাজ করে ধোকার স্বীকার হবেন না?

একদমই ধোকার স্বীকার হবেন না এই ব্যাপারে শতভাগ নিশ্চিত করে কখনোই বলা যাবে না কিন্তু কিছু সতর্কতা অবলম্বন করে চললে অনেকটাই ধোকা থেকে বাচা যাবে।

Upwork, fiverr এই প্ল্যাটফর্ম গুলোতে নরমালি ধোকার সম্ভাবনা কম থাকে কারণ সেখানে ক্লায়েন্ট যেনো তার কন্টেন্ট পান এবং রাইটারও তার টাকা ঠিকভাবে পান এই ব্যাপারগুলো নিশ্চিত করা হয়।

কিন্তু লোকাল ক্লায়েন্টদের সাথে কাজ করার ক্ষেত্রে ক্লায়েন্ট ও রাইটার এর মাঝে কোনো মিডিয়াম থাকে না।বেশিরভাগ সময়ই ক্লায়েন্ট এর ডিমান্ড থাকে আগে তাকে আর্টিকেলটি লিখে দিতে হবে এবং সেটি পাওয়ার পর সে টাকা দিবে।

এজন্য লোকাল ক্লায়েন্ট এর জন্য কাজ করার পূর্বে আপনার উচিত হবে আগে তার প্রোফাইলটি ঘটে নেওয়া যে সেটা রিয়াল কিনা এবং সে বিশ্বাসযোগ্য কিনা।

আবার কোনো অপরিচিত বা নতুন ক্লায়েন্ট এর থেকে শুরুতেই অনেকগুলো আর্টিকেল এর অর্ডার পেলে একবারে একসাথে সবগুলো লিখে সেগুলো ডেলিভার করে দিবেন না। তার সাথে ডিল করে নিবেন যে আপনি ১০টার মধ্যে ৫টা আর্টিকেল লিখে ডেলিভার করলে আপনাকেও তখন সেই অনুসারে পেমেন্ট টা দিয়ে দিতে হবে এবং বিশ্বাসযোগ্য হলেই পরে বাকি কাজ তার সাথে করবেন। এক্ষেত্রে পরিশ্রম করে আপনার ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনাটা কমে আসে।

যদি কোনো ক্লায়েন্ট বলেন আগে আর্টিকেল লিখে দিতে এর পর উনি পে করবেন, তাহলে আমি সাজেস্ট করবো আগে ১ টা আর্টিকেল লিখে দিতে। এর বেশি দরকার নাই। ক্লায়েন্টের পছন্দ

বাংলা ক্রিয়েটিভ রাইটিং  থেকে আপনি আয় করতে পারবেন কিনা?

বাংলা ক্রিয়েটিভ রাইটিং বলতে মূলত কোনো বাংলা গল্প,কবিতা লিখালিখিকে বুঝায়। এখনো অনলাইনে বাংলা ক্রিয়েটিভ রাইটিং থেকে আয় করাটা তেমন পপুলার হয়নি।

আসলে বাংলায় এসব লিখালিখি করে আয় করার জন্য এখনো তেমন কোনো এক্টিভ প্ল্যাটফর্ম তৈরি হয়নি যেখানে বাংলায় কোনো গল্প,কবিতা বা কোনো ক্রিয়েটিভ বিষয়ে লিখে দিলে ক্লায়েন্ট আপনাকে টাকা দিবে বা কাজের অফার আসবে।

কিন্তু ইংরেজি ক্রিয়েটিভ রাইটিং থেকে আপনি আয় করতে পারেন। Fiverr upworkএ এমন অনেক গিগ আছে যেখানে ক্রয়েটিভ রাইটিং এর নানা অফার সুযোগ রয়েছে।

Similar Posts