অর্থনৈতিক মন্দা থেকে যেভাবে আপনার ব্লগকে বাঁচাবেন!
আপনার ব্লগকে অর্থনৈতিক মন্দা বা Recession Proof করার অনেক পদ্ধতি আছে। কিন্তু, এর আগে আপনাকে জানতে হবে Recession Proof অথবা অর্থনৈতিক মন্দা জিনিসটা কি?
Recession মানে অর্থনৈতিক মন্দা হলেও— এর টেকনিক্যাল ডেফিনেশন হচ্ছে, USA তে যদি পরপর ২ কোয়ার্টারে জিডিপি এর পরিমাণ কমতে থাকে, তাহলে তখন তারা ফরমালি ঘোষণা করে যে তাদের অর্থনৈতিক মন্দা চলছে।
যখন USA তে অর্থনৈতিক মন্দা হয, তখন এটা পুরো বিশ্বের উপর একটা প্রভাব ফেলে। এরকম Recession এর জ্বলন্ত উদাহরণ হচ্ছে— করোনা কালীন সময় আর ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের ফলাফল।
USA তে অর্থনৈতিক মন্দা হলে ব্লগারদের কি সমস্যা?
সাধারণত যারা ব্লগিং করে থাকেন তাদের অধিকাংশ অডিয়েন্সই থাকে USA ভিত্তিক। অর্থাৎ, মূলত ব্লগারদের মূল টার্গেটই থাকে USA এর অডিয়েন্সদের উপর। এজন্য যখন USA তে অর্থনৈতিক মন্দা চলে, তখন ওই অডিয়েন্সের ও ইনকামের ওপর প্রভাব পড়ে এবং টাকা পয়সা কমে আসে।
এজন্য ব্লগারদেরও ইনকাম কমে আসে। কারণ,
- একটা ব্লগার যখন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে প্রোডাক্ট বিক্রি করতে চাইবেন তখন অর্থনৈতিক মন্দা চলাকালীন অন্যান্য সময়ের তুলনায় প্রোডাক্ট বিক্রি কমে যাবে এবং ওই ব্লগারের ইনকামও কমে যাবে।
- আবার, এড দিয়ে ইনকাম করার বেলায় কোম্পানিগুলো মার্কেটিং এর পেছনের অতিরিক্ত খরচ করা বন্ধ করে দেয়। অনেক সময় প্রয়োজন মাফিক খরচটাও কমিয়ে আনে। এক্ষেত্রে অডিয়েন্স এর কাছে এডও কম যায় এবং ইনকামও কম হয়।
এছাড়াও বিভিন্ন কারণে ইনকাম কমে থাকে। এখন কথা হচ্ছে, এমন অর্থনৈতিক মন্দা কয়েক বছর পরপর এমন ভাবে আসে — যেন এটি একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ, যা এড়ানো মুশকিল।
কিন্তু, আমরা চাইলে আমাদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণটা কিছুটা হলেও কমিয়ে আনতে পারি কিছু সাবধানতা এবং টেকনিক ব্যবহারের মাধ্যমে।
1.Ad এর ক্ষেত্রেঃ
যখন Recession টা হয় তখন আপনি দেখবেন, আপনার ad থেকে যে ইনকামটা হতো সেটা হুট করে কমে গিয়েছে। এর কারণ হলো, Ad এর যে rpm অর্থাৎ ” Revenue per thousand visitors” এটা কমে যায়।কারণ কোম্পানিগুলো মার্কেটিংয়ের পেছনে তেমন একটা টাকা পয়সা খরচ করতে পারে না।
এখন কিভাবে এড দিলে একটা লাভজনক ইনকাম পাওয়া সম্ভব হবে?
প্রথমত— আপনাকে দেখতে হবে আপনি যতটুকুই এড দেন না কেন সেটা যেন প্রপার অপটিমাইজ করা থাকে। এজন্য কিছু টেকনিক ব্যবহার করলে আপনার Ad এর RPM বাড়বে।
- RPM বাড়াতে ওয়েবসাইটের ফন্টের সাইজ বড় করতে পারেন। ১৬ থেকে ১৮ পিক্সেল সাইজ করলে ভিজিটরদের বেশি স্ক্রল করতে হবে এবং বারবার তারা এড দেখতে পারবেন।
- আবার আপনার ওয়েবসাইটের প্যারাগ্রাফ গুলো ছোট ছোট করে অনেক গুলো প্যারাগ্রাফে ভাগ করতে পারেন। এতে ভিজিটরদের পড়তে যেমন সুবিধা হবে তেমনি আর্টিকেলের সাইজটাও বড় হবে এবং আপনার এড এর রেভিনিউ বাড়বে।
- ভিডিও এড ব্যবহার করুন। যারা Ezoic, Mediavine সহ বিভিন্ন ধরনের প্রিমিয়াম Ad নেটওয়ার্ক ব্যবহার করেন তারা video ad দেন। এক্ষেত্রে আপনি যে সব কন্টেন্ট বানান, সেগুলোএক থেকে দুই মিনিটের ভিডিও বানাতে পারেন যেটা ক্যানভা থেকেই আপনি বানাতে পারবেন এবং ওই অ্যাড নেটওয়ার্ক গুলোই ব্যবহার করতে পারবেন এই ভিডিও অ্যাপ থেকে আপনি এক্সট্রা একটা বুস্ট পাবেন
এছাড়াও— অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতেই হবে এমন কোন কথা নেই। তবে আপনার নিশে যে দামি প্রোডাক্ট গুলো আছে, সেগুলো নিয়ে আপনি আর্টিকেল লিখতে পারেন। কারণ, ওই টপিক গুলোর RPM বেশি হওয়ার চান্স অনেক বেশি।
উদাহরণস্বরূপ, ধরুন আপনি একটা মনিটর নিয়ে আর্টিকেল লিখতে গেলেন। প্রয়োজনীয় না যে, আপনার মনিটরটা সম্পর্কে রিভিউ লিখতে হবে। কিন্তু আপনি ওই মনিটরটা সম্পর্কে দশটা ভালো দিক দশটা খারাপ দিক লিখতে পারেন।
যেমন ওই মনিটর টা নিয়ে হয়তো মানুষ কিছু সমস্যা ফেস করছে। সেই সমস্যা গুলোর একটা লিস্ট করে একটা আর্টিকেল লিখতে পারেন। এই সমস্যাগুলো নিয়ে যারা খোঁজখবর করবে, যারা এই সমস্যাগুলো জানতে চাইবে— তারা কিন্তু এই মনিটরটা কেনার ক্ষমতা রাখে। অর্থাৎ, এমন product টার্গেট করে আর্টিকেল লিখেন যেটা একটু দামি।
এই সেইম ব্যাপারটা নিশের বেলায়ও প্রযোজ্য। এমন জিনিস নিয়ে কাজ করুন যে জিনিসটা একটু দামি। যেই নিশের জিনিসপত্র গুলো একটু দামি হয়, এমন নিশে Ad রেভিনিউ টা বাড়তে থাকে।
যেমন আপনার একটা নিশ আছে SUV অর্থাৎ যাদের SUV আছে তাদের টার্গেট করে আপনি নিশটা নিয়ে কাজ করতে পারেন। এখন যে লোকটা SUV নিয়ে ইন্টারেস্টেড অথবা যার একটা SUV আছে তার ইনকাম অবশ্যই আরো অনেক বেশ।
মোটকথা, যে নিশের অডিয়েন্সের ডিসপোসিস ইনকাম বেশি তাদের বিভিন্ন ধরনের লাক্সারিয়াস প্রোডাক্ট কেনার ক্ষমতা বেশি। এদের টার্গেট করে যদি আপনি নিশ সাইট বানান এবং Ad দেন তখন এই Ad এর আরপিএম টা বেশি থাকে।
2. রেগুলার কন্টেন্ট পাবলিশ করাঃ
আপনি যদি কনটেন্ট পাবলিশ করা শুরু করেন, তাহলে থামবেন না। রেগুলার পাবলিশ করতে থাকেন। এতে যখন অর্থনৈতিক মন্দাটা চলে যাবে তখন আপনি ভালো একটা বুস্ট পাবেন।
এছাড়াও পুরনো কন্টেন্ট গুলো আপডেট করতে পারেন। দেখতে পারেন কোন কোন কন্টেন্ট গুলো কোন এক সময় খুব টপ পজিশনে থাকলেও কোন কারনে তারা এখন র্যাঙ্ক হারিয়ে ফেলেছে। ওই কন্টেন্ট গুলো খুঁজে বের করে সেগুলো কেন র্যাঙ্ক হারালো এই কারণটা খুঁজে বের করুন। তারপরে সেই কন্টেন্ট গুলো আপডেট করুন। এগুলো আপডেট করলে হয়তো আবার তারা তাদের র্যাঙ্ক ফিরে পাবে এবং আপনার ট্রাফিকের পরিমাণও বেড়ে যাবে।
3. লেবারেজ এনাদার মিডিয়াম:
যদি আপনার একটা ব্র্যান্ড থাকে তাহলে সেটা শুধু আপনি ওয়েবসাইটেই সীমাবদ্ধ রাখবেন না। ব্লগ থেকে ইনকাম করতে গিয়ে অনেকেই শুধু google এর উপর নির্ভরশীল হয়। অর্থনৈতিক মন্দা চলাকালীন যেটা খুবই একটা খারাপ প্রভাব ফেলে। যদি ইনকামের জন্য অনেক গুলো সোর্স থাকে তাহলে এমন অবস্থায় কিছুটা বিপদ মুক্ত থাকা যায়।
এজন্য আপনাকে ওয়েবসাইট ছাড়া অন্যান্য প্লাটফর্মে কাজ করতে হবে। সবচাইতে ভালো প্ল্যাটফর্ম হচ্ছে, ইউটিউব। যে কারণে সবসময় বলা হয় যে, আপনার যে নামের একটা ওয়েবসাইট থাকবে সেই নামেই একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলবেন।
যে নিশের ওপর আপনি ওয়েবসাইটে ব্লগ লিখতেন সেই নিশের ওপরেই ভিডিও দেওয়ার চেষ্টা করুন। পারলে নিজের চেহারা দেখিয়ে ভিডিও করুন, যেটা খুবই ভালো হয়। অথবা চেহারা দেখাতে সমস্য হলে অন্য যেকোনো উপায়ে অবলম্বন করে হলেও ভিডিওটা কন্টিনিউ করুন।
এটা করলে আপনার ইনকামটা শুধু ওয়েবসাইটের উপর নির্ভরশীল হবে না, আপনার ইউটিউব থেকেও অনেকটা ইনকাম আসবে এবং বিপদ সীমার বাইরে থাকতে পারবেন।
ভিডিয়ো গুলো ইউটিউবে আপলোড করার পাশাপাশি ছোট ছোট ক্লিপ আকারে কেটে ওই ছোট শর্ট গুলো টিকটক বা ফেসবুকে আপলোড করতে পারবেন। সেখান থেকেও একটা ইনকাম আসার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও, অনেক ভাবে আপনার ইউটিউব ভিডিয়োটাকে রি-পারপাস করতে পারবেন।
4. প্রোপার অপটিমাইজেশন :
আপনার ওয়েবসাইটের যেসব জায়গায় সমস্যা দেখা দিয়েছে সে সব জায়গায় খুঁটিয়ে নাটিয়ে বের করে অপটিমাইজ করার ব্যবস্থা করুন। যেমন যদি দেখেন আপনার স্পিডের অবস্থা খুবই খারাপ তাহলে আগে খুঁজুন যে, স্পিডটা কেন খারাপ। তারপর স্পিডটাকে অপটিমাইজ করুন।
যদি ডিজাইন খারাপ থাকে তাহলে বের করুন যে, ডিজাইন কেন খারাপ এবং তারপর ভালো ডিজাইন গুলো খুঁজে বের করে সেরকম ডিজাইন করার চেষ্টা করুন।
এরপরে যদি আপনার ওয়েবসাইট On page SEO তে ভালো না থাকে, তাহলে খোঁজেন যে কোন কোন ব্যাপার গুলোতে ল্যাকিংস আছে, কোন গুলো সমস্যা করছে। এরপর ঠিক করুন আপনার কি করতে হবে আর কি বাদ দিতে হবে।
দেখুন, আপনার HTML site map আছে কি-না, প্রত্যেকটা পোস্টে Author box আছে কি-না, Author box আবার Author bio বা author about পেইজে লিংক করছে কি-না। এমন প্রত্যেকটা জায়গায় অপটিমাইজ করুন। তাহলে আশা করা যায়, যত অর্থনৈতিক মন্দাই চলুক না কেন, আপনার ওয়েবসাইট খুব বাজে ভাবে প্রভাবিত হবে না।
5.ইমেইল লিস্ট তৈরি করুনঃ
ইমেল লিস্ট হলো এমন একটা অ্যাসেট, যেটা শতভাগ আপনার হাতে থাকবে। যারা আপনার সাবস্ক্রাইবার থাকবে এই ইমেল লিস্টে, তারা কিন্তু প্রত্যেকে আপনার হাতে থাকবে এবং তাদেরকে আপনি কন্ট্রোল করতে পারবেন।
আপনার ইচ্ছে অনুযায়ীআপনি তাদেরকে ইমেইল করতে পারবেন। তাদেরকে জানাতে পারবেন আপনি আপনার ওয়েবসাইট কি কি আপডেট দিয়েছেন, কোন কোন আর্টিকেলটা পাবলিশ করেছেন ইত্যাদি।
দেখা গেল আপনি একটা ইমেইল করে সাবস্ক্রাইবারদের আপনার ওয়েবসাইটে ডাকলেন, তাদের নতুন কিছু দেখার জন্য আসতে বললেন। এখন আপনার ইমেইল লিস্টে যদি 200/300 মানুষ থাকে তার ভিতরে অর্ধেক মানুষ হলেও কিন্তু আপনার ওয়েবসাইটে আসবে।
এভাবে যদি আপনি অনেকদিন একটা ইমেইল লিস্ট চালু রাখেন, তাহলে সেখানে অনেক সাবস্ক্রাইবার হয়ে যাবার সম্ভাবনা আছে। যদি হাজার ক্রস করে ফেলে তাহলে ভেবে দেখেন যে, আপনি একটা ইমেইলের মাধ্যমে কতগুলো ভিজিটর আপনার ওয়েবসাইটে আনতে পারছেন।
ইমেইল লিস্ট শুধু ট্রাফিকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, তা না। মনিটাইজেশনের জন্যও ইমেইল লিস্ট অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি কোন ইনফো প্রোডাক্ট বানান, কোন হাই টিকেট প্রোডাক্টের অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে চান— সেক্ষেত্রে একটা ইমেইল লিস্ট আপনাকে অনেক হেল্প করবে।
যদি সম্ভব হয় তবে আজকে থেকেই একটা ইমেইল লিস্ট করা শুরু করুন। ইমেইল লিস্ট কিভাবে করতে হয় তা যদি না জেনে থাকেন এবং যদি জানতে চান তাহলে এখান থেকে ইমেইল লিস্টের আদ্যোপান্ত সম্পর্কিত একটা টিউটোরিয়াল সিরিজ দেখে ফেলতে পারেন।
6. কী-ওয়ার্ড রিসার্চে দক্ষতা বাড়ানঃ
আপনার ওয়েবসাইটের জন্য কী-ওয়ার্ড রিসার্চে নিজের দক্ষতা বাড়ান। আপনি যত ভালো কী-ওয়ার্ড রিসার্চ করতে পারবেন, আপনার নিশে আপনি তত ভালো রুল করতে পারবেন।
ব্লগিংয়ের বেলায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট টা হচ্ছে, কী-ওয়ার্ড রিসার্চ করা। আপনার যদি কী-ওয়ার্ড রিসার্চে ভুল হয় তাহলে এর পরবর্তীতে যতগুলো কাজ করবেন সবই ভুল পথের দিকেই যাবে।
কী-ওয়ার্ড রিসার্চ নিয়ে বিস্তারিত জানতে চাইলে Writers Motion এর কীওয়ার্ড রিসার্চ সম্পর্কিত ভিডিওগুলো দেখে নিতে পারেন।
Topical Relevance অনুযায়ী কি-ওয়ার্ডগুলো সিলেক্ট করুন। এরপর আপনার নিশের জন্য একটা ক্যাটাগরি সিলেক্ট করুন এবং ওই ক্যাটাগরির আন্ডারে ২০ থেকে ৩০ টা বা তারও বেশি কিছু সাব ক্যাটাগরি অর্থাৎ কীওয়ার্ড খুঁজে বের করুন।
একটা ক্যাটাগরিতে একটা আর্টিকেল আবার আর একটা ক্যাটাগরি দুইটা আর্টিকেল লিখে শুধু সামনে এগিয়ে গেলেই চলবে না। একটা ক্যাটাগরিতে যত ধরনের টপিক থাকতে পারে সবগুলো নিয়েই আর্টিকেল লিখে তারপর আর একটা ক্যাটাগরিতে যাওয়া উচিত।
কারণ আপনি যদি একটা ক্যাটাগরিতে কোন মতে একটা আর্টিকেল লিখে আরেকটা ক্যাটাগরিতে চলে যান তাহলে কিন্তু ওই ফেলে আসা ক্যাটাগরি সম্পর্কে খুব বিস্তর লেখা হলো না। এতে Topical Relevance পরিপূর্ণ হয় না। এজন্য একটা ক্যাটাগরির সবকিছু একেবারে লিখে তারপর আরেকটা ক্যাটাগরিতে যাওয়া দরকার। এতে Topical Relevance পরিপূর্ণ হবে এবং আপনার ওয়েবসাইটের র্যাঙ্কও বাড়বে।
7.ধৈর্য্য ধরুনঃ
অর্থনৈতিক মন্দা একটা বিপজ্জনক সময়। এমন সময়ে ধৈর্য্য ধরে থাকাটা খুব জরুরি। ধৈর্য্য এমন একটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। কারণ, ওপরের সবকিছু মেইনটেইন করার পরেও অনেক সময় বিপদ ঘটে যায়, ওয়েবসাইটের ইনকাম, ট্রাফিক এসব ধ্বসে যায়। তখনও হাল ছেড়ে দিলে চলবে না।
পাশাপাশি মাথায় রাখবেন, কোনো মন্দাই সারাজীবন থাকে না। কোনো একটা সময়ে এসে শেষ হয়। এজন্য যে সময়টা খারাপ যায়, সেই সময়টা হাল না ছেড়ে লেগে থাকুন— মেঘের আড়ালে লুকিয়ে থাকা ভালো সময়টার অপেক্ষায়।