Affiliate Marketing এর Trends জেনে যেভাবে আপনার ইনকাম বাড়াতে পারেন! 

আপনি যদি Affiliate Marketing করে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার নানাবিধ চিন্তা মাথায় রাখতে হয়। এর মধ্যে একটা গুরুত্বপূর্ণ চিন্তা হচ্ছে – কিভাবে সহজে, একটু টেকনিক খাঁটিয়েই ইনকামটা বাড়ানো যায়। এই টেকনিক খাঁটানোর মধ্যে একটা ব্যাপার হচ্ছে— Affiliate Marketing এর Trends জেনে তারপর কাজ করা। এজন্য রয়েছে এখানে মোট ছয়টা ট্রেন্ডিং টিপস! যা ফলো করলে আপনার ইনকাম বেড়ে যাবে। 

1.ExplodingTopics.Com:

সামনের কোন কোন বিষয় গুলো টপ ট্রেন্ডিংয়ে আসবে, সেটা জানার জন্য এই ওয়েবসাইটটা বেশ উপকারী। সাইটটা হলো— ExplodingTopics.com। 

সাইটে গিয়ে আপনি পছন্দ মত একটা টাইম ফ্রেম সেট করতে পারবেন৷ ওই টাইম ফ্রেমের হিস্টোরিক্যাল ডাটা অনুযায়ী সামনের কি কি বিষয় গুলো টপ ট্রেন্ডিংয়ে আসবে, সেটা জানতে পারবেন। 

এটা আপনি ক্যাটাগরি ওয়াইজ ও সিলেক্ট করতে পারবেন। যেমন- হেলথ্, বিজনেস, মার্কেটিং, ফিটনেস ইত্যাদি যেকোনো কিছু! 

এর মধ্যে থেকে কোন ক্যাটাগরি নিয়ে আপনি কাজ করতে চান, সেটা সিলেক্ট করবেন৷ এতে ওই বিষয়ের ওপর সুন্দর একটা রেজাল্ট পেয়ে যাবেন। 

এই সাইটের পেইড ভার্সন ও আছে৷ কিন্তু, আপনাকে বেসিক কাজ করার জন্য কোনো  টাকা দিতে হবে না। ফ্রী প্যানে সবকিছু দেখতে পারবেন না যদি-ও, কিন্তু বিগিনারদের জন্য যথেষ্ট হেল্পফুল। 

এজন্য আপনি যদি চান, তাহলে ফ্রি-তেই Exploring Topics এ একটু ঘোরাঘুরি করে দেখতে পারেন আপনার নিশ অনুযায়ী কোন টপিকটা সামনে ট্রেন্ডিংয়ে আসতে যাচ্ছে। 

Exploding Topics অনুযায়ী আপনি কোনো একটা টপিক পেলেন যেটা সামনে ট্রেন্ডিংয়ে আসতে যাচ্ছে। এরপরে গুগল ট্রেন্ডসে গিয়ে ওই টপিকটা সার্চ করবেন। তাহলে দেখতে পারবেন, ওই টপিকের ট্রেন্ডের গ্রাফটা আসলেই কেমন। যদি আসলেই পপুলার টপিক হয়ে থাকে তাহলে এর গ্রাফ ও অবশ্যই ওপরের দিকেই যাবে। 

অর্থাৎ, গুগল ট্রেন্ডস ও যদি ওই টপিকের গ্রাফ বাড়ায়, তাহলে অবশ্যই সেটা পপুলার হবে এবং আপনি টপিকটা নিয়ে আগাতে পারেন, কন্টেন্ট দিতে পারেন। এটা নিয়ে কাজ করলে লাভজনক কিছু একটা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। 

2. সিজনালিটি বোঝা:

বেশিরভাগ নিশের ক্ষেত্রে সামার সিজনে ট্রাফিক অনেক বেশি থাকে কিন্তু উইন্টারে যেটা খুব কমে যায়। অধিকাংশ নিশের ক্ষেত্রেই এই ব্যাপারটা হয়ে থাকে।  

ধরুন, আপনার কুকিং নিশের ওপর একটা সাইট আছে। এখন- সাধারণত রান্নাবান্নার জিনিসপত্রগুলো কেনাবেচা হয়ে থাকে থ্যাংকস গিভিং থেকে শুরু করে ক্রিসমাস এবং নিউ ইয়ার পর্যন্ত, শীতকালটাতে। 

এই সময়টাকে টার্গেট করে আপনার আরো ৫-৬ মাস আগে থেকে এটার উপরে আর্টিকেল লিখতে হবে। এতে করে পাঁচ ছয় মাস আগের লেখা আর্টিকেলগুলো ৫-৬ মাস পরে এসে অনেক ট্রাফিক আনবে এবং আর্টিকেল গুলো র‌্যাংক করবে। র‌্যাংক করার জন্য কন্টেন্টের সিজনটাতে এসে আপনি একটা ভালো ইনকাম করতে পারবেন। 

কিন্তু, আপনি যদি ডিসেম্বরের ২৫ তারিখের ক্রিসমাসের জন্য আর্টিকেল লেখা শুরু করেন ডিসেম্বরের ১ তারিখ থেকে — তাহলে কিন্তু সেই আর্টিকেলটা র‌্যাংক করবে না। এজন্য কোনো নির্দিষ্ট সিজনের কোনো টপিক নিয়ে ওই নির্দিষ্ট সিজনের এক দুই মাস আগে থেকে কন্টেন্ট লিখলে হবে না, কমপক্ষে চার পাঁচ মাস আগে কনটেন্ট লিখতে হবে।

এরপর ধরুন — আপনার একটা ডেটিং সাইট আছে। এখন আপনি চাইলেন যে, ১৪ই ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে একটা ভালো ইনকাম করবেন। এজন্য আপনার ৫-৬ মাস আগে থেকে ১৪ই ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে কন্টেন্ট লিখতে হবে। 

অর্থাৎ আপনি যদি ১৪ই ফেব্রুয়ারির  কন্টেন্টটা পহেলা ফেব্রুয়ারিতে লেখেন, তাহলে ১৪ই ফেব্রুয়ারি এসে সেটা র‌্যাংক করবে না। আপনার এডভান্স কাজ করতে হবে। 

সুতরাং, এই ব্যাপার গুলো মাথায় রেখে অ্যাডভান্স কাজ করতে হবে। অর্থাৎ ৫-৬ মাস আগেই আপনার যেকোনো সিজনাল টপিক নিয়ে কন্টেন্ট লিখতে হবে। তাহলে ওই সিজনে এসে মানুষজনের ভেতর যখন টপিকটা নিয়ে অনেক বেশি চাহিদা থাকবে, তখন আপনার খুব ভালো একটা ইনকাম হবে।

3.ভিডিয়ো বানানো:

এখন পুরো দুনিয়া ভিডিয়োর দিকে দৌড়াচ্ছে। ২০২৩ সালে এসে যদি আপনি শুধু ব্লগিং নিয়ে থাকেন, তাহলে আপনি কিন্তু খুব বড় একটা মার্কেট শেয়ার হারাচ্ছেন। এজন্য ব্লগিং এর পাশাপাশি নিজের নিশের ওপর বা সাইটের ওপর একটা ইউটিউব চ্যানেল খুলে ফেলুন এবং সেখানে নিয়মিত ভিডিও দেয়ার চেষ্টা করুন।

অনেকে কোনো ছবি টবির উপরে রোবোটিক ভয়েস দিয়ে ভিডিও আপলোড করে থাকে। যেটা খুব একটা ভালো জিনিস না। আপনার উচিত হবে অথেন্টিক থাকার চেষ্টা করা। এজন্য যথাসম্ভব নিজের ভয়েস, নিজের চেহারা ইত্যাটি ব্যবহার করা। আর যদি সেটা না পারেন, তাহলে যেভাবেই হোক না কেন ভিডিয়োর ব্যাপারটা অথেনটিক করার ট্রাই করবেন। 

মোদ্দা কথা- যেভাবেই হোক না কেন, ভিডিয়োর দিকে আসার চেষ্টা করুন। 

ভিডিয়ো বানালে যে সুবিধাটা হয়— আসলে যদি আপনি শুধু ব্লগ লিখে থাকেন তাহলে ওই ব্লগটাকে শুধুমাত্র আপনার সাইটেই পাবলিশ করতে পারবেন। পাশাপাশি ওই আর্টিকেলটাকে মাল্টিপারপাসে রি-পারপাস করার কিন্তু তেমন কোন সুযোগ নেই। 

হয়তোবা ওই আর্টিকেলের দুই একটা লাইন আপনি টুইটারে ব্যবহার করতে পারবেন  এছাড়া আর কোথাও ব্যবহার করার মত সুযোগ নেই। কিন্তু, আপনি যদি একটা ভিডিয়ো বানিয়ে থাকেন-  তাহলে ওই ভিডিয়োটাকে ছোট ছোট পার্টে কেটে তারপর  বিভিন্ন জায়গায় ব্যবহার করতে পারবেন। 

যেমন- ইউটিউবে শর্টস হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন, ইন্সটাগ্রামে রিলস অথবা স্কয়ার ভিডিয়ো হিসাবে আপলোড করতে পারবেন, ফেসবুক রিলস অথবা tiktok এও আপলোড করতে পারবেন। অর্থাৎ,  একটা youtube ভিডিয়োকে কেটে চার পাঁচ জায়গায় ব্যবহার করতে পারবেন। 

তাই ২০২৩ সালে এসে আপনার ইনকামটা বাড়ানোর জন্য অবশ্যই ভিডিয়ো ব্যবহার করতে হবে। আবার, এর মানে এই না যে- আপনি ব্লগিং বা লেখালেখি টা ছেড়ে দেবেন. লেখালেখি টা অবশ্যই করবেন কিন্তু, তার পাশাপাশি যথাসম্ভব ভিডিয়োটাও ব্যবহার করবেন।

4.Nano Influencers: 

আজকাল বড় বড় ব্র্যান্ডগুলো ন্যানো ইনফ্লুয়েন্সারদের নিয়ে কাজ করা শুরু করেছে। আজকাল সাধারণত সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার বলতে যাদেরকে বোঝায়, তাদের মূলত কয়েক মিলিয়নের মতো  ফলোয়ার্স থেকে থাকে।

কিন্তু যেসব ইনফ্লুয়েন্সাররা কেবলমাত্র বিগিনার, আর যাদের ফলোয়ার কেবলমাত্র হাজারের ঘরে —তাদেরকে ন্যানো ইনফ্লুয়েন্সার বলে।

অর্থাৎ বড় বড় ব্র্যান্ডগুলো, যেসব ইনফ্লুয়েন্সারদের ফলোয়ার হাজারের ঘরে লাখে পৌঁছায়নি এমন ইনফ্লুয়েন্স্যারদের নিয়ে কাজ করা শুরু করেছে। তাদেরকে টার্গেট করছে। এজন্য ন্যানো ইনফ্লুয়েন্সারদের ইনকামের পথটা চওড়া হচ্ছে। 

এভাবে কাজ করার জন্য আপনার পার্সোনাল একটা ব্র্যান্ড দাঁড় করাতে হবে। পার্সোনাল ব্র্যান্ড দাঁড় করানো মানে এই না যে — আপনি ভ্লগ করা শুরু করবেন, প্রতিদিন কি করেছেন না করেন এগুলো দেখাবেন। 

মূলত আপনাকে একটা নির্দিষ্ট নিশের ওপর পার্সোনাল ব্র্যান্ড দাঁড় করাতে হবে। সেটা হতে পারে কুকিং, ট্রাভেলিং, এডুকেশন ইত্যাদি যেকোনো কিছু— যা আপনার পছন্দের। 

উদাহরণ হিসেবে বলা যায়- যেমন ট্রাভেলিং নিশে পার্সোনাল ব্র্যান্ড দাঁড় করিয়েছে Nadir On The Go।  

আপনি যদি এমন কিছু শুরু করতে পারেন তাহলে আপনার ইনকাম করার সুযোগটা অনেকাংশ বেড়ে যাবে। মজার ব্যাপার হলো- পার্সোনাল ব্র্যান্ড দাঁড় করাতে হলেও আপনার সেই ভিডিয়োর দিকে ঝুঁকতে হবেই!

5. লিখিত কন্টেন্টকে Google Voice Optimized করা:

এই সময়ে এসে আমরা অনেকেই সার্চ বক্সে গিয়ে টাইপ করে কোন কিছু সার্চ করতে বেশি একটা পছন্দ করি না। সার্চ করার জন্য আমরা গুগল ভয়েসের সাহায্য নিই। এভাবে ভয়েস দিয়ে কোন কিছু সার্চ করার পরে যাতে আপনার আর্টিকেলটা গুগলে শো করতে পারে, এই কারণে আপনার লিখিত আর্টিকেলটাকে গুগল ভয়েস অপটিমাইজড করে নিতে হবে।

আমরা যখন কোন কিছু লিখে সার্চ করি তখন অনেক বড় কিছু লিখিনা। হয়তো একটা কী-ওয়ার্ড অথবা ছোটখাটো করে ৪-৫ শব্দ লিখে তারপরে সার্চ করি।

কিন্তু আমরা যখন ভয়েস দেই, তখন প্রশ্নটাকে অনেক বড় করে এক্সপ্লেইন করার চেষ্টা করি। এজন্য আপনার কন্টেন্টে এইসব লং টেল কোশ্চেন গুলোকে ইনক্লুড করা উচিত। 

এছাড়াও আপনি চাইলে আপনার কন্টেন্টে FAQ স্কিমা ব্যবহার করতে পারেন। এটা এমন একটা স্কিমা, যেটা দিয়ে বড় বড় কোশ্চেন এর আন্সার দেয়া যায়। 

এতে আপনার কন্টেন্ট ভয়েসের জন্য আরো অপটিমাইজড হবে। এসব ব্যাপার নিয়ে খুব কনফিউজড হয়ে থাকলে আপনার জন্য রয়েছে Writers Motion! যেখানে আপনি নির্দ্বিধায় কন্টেন্ট অর্ডার করতে পারেন। 

এই পাঁচটা ট্রেন্ডিং টিপস্ ছাড়াও আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ ট্রেন্ডিং টিপস্ আছে, যেটা আপনি এখানে পাবেন না। এখানে না পেলেও, টিপসটা পাবার জন্য আপনাকে এই লিংকে ঢুকে আপনার নাম, ই-মেইল ইত্যাদি দিয়ে সাবমিট করতে হবে। 

তাহলে আপনার ই-মেইলে ওই ৬ নম্বর ট্রেন্ডিং টিপসটা পাঠিয়ে দেয়া হবে। যেখানে আপনাকে ১৭ টা প্রোডাক্ট সম্পর্কে জানানো হবে। যে ১৭ টা প্রডাক্টস ভবিষ্যতে টপ ট্রেন্ডিংয়ে আসতে পারে। 

মোটকথা- এখানকার পাঁচটা ট্রেন্ডিং টিপস এবং আপনার ইমেইলে যাওয়া আরেকটা ট্রেন্ডিং টিপস নিয়ে মোট ছয়টা ট্রেন্ডিং টিপস যদি আপনি ফলো করেন, তাহলে আপনার ইনকামের পথটা আরো চওড়া হওয়া সম্ভবনা রয়েছে!

Similar Posts