এই আটটি টিপস ফলো করে ব্লগ থেকে ইনকাম বাড়িয়ে দিতে পারেন আজই!

Traffic এর পরিমাণ না বাড়িয়ে Existing Traffic দিয়েই ইনকাম বাড়ানোর কথা ভাবছেন?

অসম্ভব কিছু না। কিছু রুলস ফলো করলেই Existing Traffic দিয়েই আরও ভালো ইনকাম করা সম্ভব। তাহলে জেনে নিন টিপস গুলো কী কী!

1.Soft pitch:

আপনি ভাবলেন আপনি একটি ইনফরমেটিভ আর্টিকেল লিখবেন, টাইটেল দিলেন ” how to make a garden “। এতে একটা বাগান তৈরী করতে কী কী প্রয়োজন সেটার একটা তথ্য আপনাকে অবশ্যই দিতে হবে।

যেমন- মাটি খুঁড়তে হবে, চারা গাছ লাগবে, কোদাল লাগবে ইত্যাদি। এক পর্যায়ে গিয়ে একটা কোম্পানির নাম মেনশন করে বলে দিলেন যে, ” এই XYZ Company এর কোদাল ভালো হবে, এখান থেকে নিতে পারেন, এই কোম্পানির কোদাল ইউজ করতে ভালো লেগেছে ইত্যাদি। “

এতে কী হলো, এই ছোট্ট রেকমেন্ডশনটা ইন্ডাইরেক্টলি এফিলিয়েট মার্কেটিং হিসেবে কাজ করলো। এটাকে বলে Soft Pitch ।

ইনফরমেটিভ আর্টিকেল সাধারণত Ad দিয়ে Monetize করে ইনকাম করাই যায় কিন্তু এড মনিটাইজেশনের পাশাপাশি soft pitch টাও ইনকাম করার ক্ষেত্রে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

2.Floating ads bottom:

যদি আপনি Adsense ইউজার হোন, তাহলে সম্ভবত এই টিপসটা কাজে লাগাতে পারবেন না। কিন্তু আপনি যদি Ezoic, mediavine এগুলোর কোনোটা ইউজ করে থাকেন তাহলে তারা আপনাকে অটোমেটিক এই অপশনটা দেবে। যদি না দেয়, তাহলে আপনি সেটিংসে গিয়ে অবশ্যই এড করে নেবেন।

বিষয়টা হলো, মোবাইল বা ডেক্সটপে সাইটের একদম নিচে গিয়ে দেখুন bottom এ একটা ad থাকে। যখন আপনি স্ক্রল করে নিচে যাবেন তখনই ad টা ডিসপ্লের নিচে শো করবে, আপনার স্ক্রলিং এর সাথে সাথে এডটাও নিজে নিজে নিচের দিকে নামবে। সো, এটাকে বলে Floating Ad।

এই ad গুলো অনেক বেশি আর্ন করে থাকে। আপনি যদি Ezoic, mediavine ইউজার হয়ে থাকেন এবং এটা যদি একটিভ করা না থাকে তাহলে আজকেই করে ফেলুন।

3.Floating Sidebar ad / Fixed Sidebar ad:

আপনাকে একটা widget ইউজ করতে হবে যেটা plugin ইনস্টল করে পাবেন। ধরুন, একটা Plugin ইউজ করবেন যেটার নাম হচ্ছে ” Fixed Widget And Sticky Elements ” ।

এটা ইউজ করলে আপনার ওয়েবসাইটের যে Sidebar আছে ওখানে কোনো একটা element বা কোনো একটা widget কে এমনভাবে সেট করতে পারবেন যে, আপনি যখন স্ক্রল করে পেজের নিচে নামবেন ওই element বা widget টা সাথে সাথে নিচে নামবে। আপনার স্ক্রলের সাথে ওটা ক্রস হয়ে যাবে না।

Looking for more insights on Blogging? You may find this post valuable. ১০টি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট, যা প্রতিটি ব্লগারের ফলো করা উচিত! 

পুরো বিষয়টি কয়েকটা ধাপে করে ফেলতে পারেন—

  • ধরুন, আপনি Ezoic ইউজ করছেন, Ezoic এর একটা ad এর কোড নেবেন বা adsense ইউজ করলে adsense এর কোনো একটা এড প্লেসমেন্টের কোড নেবেন।
  • widget এ গিয়ে HTML বা টেক্সট এমন একটা widget নেবেন।
  • এখানে কোডটা পেস্ট করার পরে ওইযে প্লাগইনটা ছিলো (fixed widget and sticky elements) সেটা ইন্সটল করবেন।

তাহলেই আপনি আপনার কোনো widget স্টিকি করতে পারবেন। তারপর কোডটা যেখানে পেস্ট করেছেন, HTML বা টেক্সট যেখানেই কোডটা পেস্ট করেছেন সেটা স্টিকি করার পরে, সাইট যখন স্ক্রল করবেন ওই ad টাও স্ক্রল করে করে নিচে নামবে তাহলে এই ad থেকেই রাতারাতি ইনকাম অনেক বেশি বেড়ে যাবে!

5. Reusable Block & Indirectly affiliate marketing:

আপনি রানিং বুট নিয়ে প্রডাক্ট রিভিউ না, এবার ইনফরমেটিভ আর্টিকেল লেখা শুরু করলেন। যেমন, how long to running boots last, which running boot should I choose ইত্যাদি বিভিন্ন ধরণের টাইটেলে বিভিন্ন ইনফরমেশন দিয়ে কিছু আর্টিকেল লিখলেন।

এই আর্টিকেল গুলোতে আপনি একটি রিইউজেবল ব্লক বানাতে পারেন। এটা wordpress এর একটা ফিচার। স্পেশালি যারা Gutenberg ইউজ করেন তারা এই ফিচারটি সম্পর্কে জানেন যে ব্লকটি কোন সিস্টেমে কাজ করে।

ধরুন, আপনি একটি ব্লক বানাবেন। আপনার পছন্দের রানিং বুট নিয়ে। একটা subheading দিলেন যে, “This is my recommended running boot.” এরপর এই Running bootboot এর একটা ছবি দিলেন, এটা সম্পর্কে দুই লাইন লিখে দিলেন যে, এটা কেন ভালো ইত্যাদি এবং তার সাথে একটা লিংক এড করে দিলেন।

এইযে এতগুলো ব্লক দিলেন, একদম প্রডাক্টের নাম থেকে শুরু করে লাস্টের লিংক পর্যন্ত সবগুলো একসাথে সিলেক্ট করে একটা গ্রুপ বানাবেন, তারপর এটা একটা রিইউজেবল ব্লক তৈরী করবেন।

যাদের পুরো বিষয়টা বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে তারা এটা নিয়ে একটু ঘাটাঘাটি করবেন যে, কিভাবে ব্লক বানাতে হয়, কিভাবে রিইউজেবল ব্লক ইউজ করতে হয় ইত্যাদি।

রিইউজেবল ব্লক বানানোর পরে আপনি যখনই কোনো রানিং বুট নিয়ে আর্টিকেল লিখবেন তখন ওই ব্লকটা কল করলেই সাথে সাথে রানিং বুট নিয়ে ব্লকটা এড হয়ে যাবে। সুতরাং এরপর রানিং বুট নিয়ে কোনো আর্টিকেল লিখলেই রিইউজেবল ব্লকটা এড করে দিলেন। কষ্ট করে নতুন করে সবকিছু এড করার ঝামেলাই নেই!

এরমধ্যে আপনি reusable block এ যে রানিং বুটটা সাজেস্ট করেছেন, সেটার মার্কেটিং ও হয়ে গেল। এভাবেই ইনফরমেটিভ আর্টিকেলে Reusable block ইউজ করে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন। এবং এটি করেও রাতারাতি আর্নিং বাড়িয়ে দিতে পারেন শিগ্‌গির!

5.Font Size:

আর্টিকেলের ফন্ট সাইজ ১৬-১৮ পিক্সেলের মধ্যে রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ । এতে করে আর্টিকেলের সাইজ বড় হয়ে যায়, আর এতে রিডারের বেশি স্ক্রল করা লাগে। আর ইউজার যত স্ক্রল করবে আপনার ইনকাম কিন্তু ততই ওপরের দিকে উঠবে!

সুতরাং আপনার ফন্ট সাইজ যদি এর কম হয়ে থাকে তাহলে এখনই ১৬-১৮ পিক্সেল করে ফেলুন। ম্যাক্সিমাম থিমে এটা ইজিলি করা যেতে পারে, কিন্তু প্রশ্ন হলো যদি না করা যায় তাহলে কি করবেন?

আপনার থিমের নামটা লিখে আর ফন্ট সাইজ লিখে গুগল করলে হেল্প পেয়ে যেতে পারেন। যদি তা-ও না পান তাহলে,

  • CSS code for changing font size লিখে সার্চ করলে অনেকগুলো কোড পাবেন। এরপর যেকোনো একটা কোড কপি করবেন।
  • WordPress এর ড্যাশবোর্ডে গিয়ে Apierence এ যাবেন।
  • customize এ গিয়ে নিচে একটা অপশন দেখবেন যে, Additional CSS। এখানে কোডটা পেস্ট করবেন।

এরপরই আপনার ইচ্ছামত ফন্টসাইজ চেঞ্জ করতে পারবেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এত ঝামেলার প্রয়োজন হয়না। নরমালি চেঞ্জ করা যায়৷ তা-ও যদি কখনো সমস্যায় পড়ে যান তার আগেই সল্যুশন জেনে নেয়াই ভালো!

6. Proper Internal Link:

শুধু ইনকামের জন্য না— SEO, income, overall user experience সবকিছুর জন্য প্রোপার ইন্টারনাল লিংক করাটা জরুরি। যদি আপনার সাইট অনেক বড় হয়ে থাকে তাহলে হয়ত ইন্টারনাল লিংক ম্যানেজ করাটা একটু টাফ হয়ে যেতে পারে।

Need to understand more about Blogging? This post might help you. ব্লগ পাবলিশ করার জন্য বেস্ট সময় কখন! 

সেক্ষেত্রে আপনি link whisper tool ইউজ করতে পারেন।

এটা কিভাবে ইউজ করতে পারেন তা নিয়ে একটা ভিডিয়ো আছে, চাইলে দেখে নিতে পারেন এখনই।

আর যদি আপনার ওয়েবসাইট ছোট হয়ে থাকে তাহলে Link Whisper ইউজ না করলেও চলবে। এক্ষেত্রে সাজেশন থাকবে, আপনি কি কি কনটেন্ট দিচ্ছেন, কোন কনটেন্ট কোন ক্যাটাগরি বা সাবক্যাটাগরির আন্ডারে এই সবগুলো একটা গুগলশিটে সুন্দর একটা প্যাটার্নে গুছিয়ে রাখতে পারেন।

এটা করলে যে সুবিধাটা হবে, আপনি বুঝতে পারবেন কোন কনটেন্ট থেকে কোন কনটেন্টের ইন্টারনাল লিংক করা সম্ভব।এর কিছু উল্লেখযোগ্য উপকার রয়েছে। তা হলো,

  • প্রথমত, আপনার SEO বুস্ট করবে।
  • দ্বিতীয়ত, আপনার ইউজার এক্সপেরিয়েন্স ভালো হবে।
  • তৃতীয়ত, আপনার পেজ ভিউ বাড়বে।

যেমন, রিডার আপনার কোনো একটা আর্টিকেল পড়তে এসে রিলেটেড কোনো ইন্টারনাল লিংক না পেলে ওই একটা পড়েই চলে যাবে। কিন্তু, আপনার একটা আর্টিকেলের সাথে যখন আরো গুরুত্বপূর্ণ ইন্টারেস্টিং কিছু ইন্টারনাল লিংক এড করা থাকবে তখন রিডার ওই লিংকগুলোতেও ট্যাপ করবে।

এরপর ওই লিংকে গিয়ে আরো অন্য কোনো ইন্টারেস্টিং লিংক পেলে তাতেও ঢুঁ মেরে আসবে। আর এভাবে ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে। এতে করে আপনার পেজ ভিউ বেড়ে যাবে আর তার পাশাপাশি ইনকামও তড়তড় করে বাড়বে!

7. Ads.txt File Update:

আপনি যদি Premium Ad network গুলোতে থাকেন তাহলে তারা আপনাকে অটোমেটিক এটা দিয়ে দেবে। সুখবর হচ্ছে, Adsense এ ও এটা আছে।

এটা আপডেট করতে কয়েক সেকেন্ডের মত সময় লাগবে কেবল।তা-ও যদি আপনি এটা আপডেট না করে থাকেন তাহলে হবে কি— বিভিন্ন ধরণের এড নেটওয়ার্ক গুলোর বিভিন্ন ধরণের কোম্পানি যে আছে সবগুলোকে তারা ইউজ করতে পারবে না। সো, আপনার উচিত শিগগিরই এটা আপডেট করে ফেলা।

8. Video Ad:

Adsense এ সম্ভবত এটা দেওয়া যাবে না। কিন্তু, আপনারা যদি Ezoic, Mediavine এসব ইউজ করে থাকেন ওখানে ভিডিয়ো এড দেওয়া সম্ভব। মজার ব্যাপার হচ্ছে, ভিডিয়ো এড বানানো কিন্তু খুব কঠিন কিছু না। ব্যাপার টা হলো কি, খুব ইজিলি Canva তে গিয়ে এক মিনিটের মত একটা ভিডিয়ো এড বানিয়ে সেটা Ezoic, Mediavine এসব প্ল্যাটফর্মে আপলোড করতে পারেন।

তারপর এই ভিডিয়োটা তারা আপনার সাইটেই ইউজ করবে, শুধু আপনার ভিডিয়োটার আগে পরে তারা তাদের এড দেখাবে।

এটা করা যেমন সহজ, এটা দিয়ে কয়েক ডলার ইনকাম বাড়িয়ে দেওয়াও সহজ। এজন্য কিন্তু এমন না যে অনেক অনেক ভিডিও আপনাকে ইউজ করতে হবে। এটলিস্ট দশটা ভিডিও ইউজ করাই কিন্তু যথেষ্ট!

তাহলে আজকে থেকেই এই টিপস গুলো ফলো করুন আর রাতারাতি আপনার ইনকাম বাড়িয়ে ফেলুন!

Similar Posts

2 Comments

  1. এখানে যে টিপস গুলো বললেন এগুলো কি আপনার কনটেন্ট রাইটিং কোর্সের অন্তর্ভুক্ত? ওখানে কি আমরা এগুলো শিখতে পারবো?

    1. জ্বি না। আমার কোর্স কন্টেন্ট রাইটিং শেখানোর উপর। এর সাথে ওয়েবসাইট থেকে আয়ের কোনো সম্পর্ক নেই।

Comments are closed.