HARO থেকে যেভাবে ব্যাকলিংক পাবেন!

Link building করার জন্য বেস্ট একটা মেথড হলো HARO।  যার ফুল ফর্ম হচ্ছে — Help A Reporter Out।  যেটা খুবই কষ্টসাধ্য একটা মেথড। কিন্তু, এই মেথডে আপনি যে লিংক গুলো পাবেন সেগুলো হবে একদম সাচ্চা লিংক। 

এই লিংকগুলো এতটাই ভালো যে, আপনার সাইটকে একটা ভালো পজিশনে নেয়ার জন্য এই মেথডের তিন চারটা লিংকই যথেষ্ট। আর প্রতিটা লিংকই হয় High DA, PA এর লিংক!

HARO জিনিসটা আসলে কী?

HARO ( Help A Reporter Out)  ব্যাপারটা হচ্ছে- upwork এর মত একটা প্ল্যাটফর্ম। আপওয়ার্ক এ মূলত হয় কি— এখানে ফ্রিল্যান্সার এবং ক্লায়েন্টরা আসে। ক্লায়েন্ট এবং ফ্রিল্যান্সারদের মধ্যে একটা চুক্তি হয়। যে চুক্তিতে কেউ কাজ করে দেয়, কেউ কাজ করিয়ে নেয়। এই কাজ করিয়ে নেয়া এবং দেয়ার জন্য মাধ্যম হিসেবে আপওয়ার্ক একটা কমিশন নেয়। সুতরাং, আপওয়ার্ক হচ্ছে ফ্রিল্যান্সার এবং ক্লায়েন্টদের মধ্যে একটা জমজমাট মার্কেটপ্লেস।

তাহলে HARO  ও কি এভাবে কাজ করে?

অবশ্য, এটাও সিমিলার একটা প্ল্যাটফর্ম। যেখানে মূলত জার্নালিস্ট এবং সোর্স একত্র হয়। এখানে জার্নালিস্টরা বিভিন্ন ধরনের কোশ্চেন রাখে। অর্থাৎ, জার্নালিস্টদের যেসব প্রশ্নের উত্তর দরকার সেসব প্রশ্ন তারা এখানে করে এবং কিছু সোর্স থাকে যারা এই প্রশ্নের উত্তর দিয়ে থাকে।

এভাবে কোশ্চেন করে একজন জার্নালিস্ট অনেক গুলো সোর্স থেকে উত্তর পায়। যে সোর্সের আন্সার তার সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে তার আন্সারটা সেই জার্নালিস্ট নিজের ওয়েবসাইটে ব্যবহার করে। বিনিময় তার ওয়েবসাইট থেকে একটা লিংক সোর্সের ওয়েবসাইটে দিয়ে দেয়। 

Curious about Blogging? We've got more info in this linked article. ১০টি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট, যা প্রতিটি ব্লগারের ফলো করা উচিত! 

আরেকটু ভালো করে বোঝার জন্য- 

ধরুন, HARO তে নিউইয়র্ক টাইমসের একজন জার্নালিস্ট আসলো। যিনি পার্সিয়ান ক্যাট নিয়ে নিউইয়র্ক টাইমসে একটি আর্টিকেল লিখতে চাচ্ছেন। এখন তার প্রশ্ন হচ্ছে- পার্সিয়ান ক্যাটদের কিভাবে গ্রুমিং করা হয়?

এই প্রশ্নটা সে HARO তে এসে করলো। এখন এখানে বহু মানুষ আছে, যারা পার্সিয়ান ক্যাট নিয়ে জানে বা পার্সিয়ান ক্যাটের সোর্স হিসেবে কাজ করে। অনেক মানুষদের মধ্যে হয়তো কমপক্ষে দশজন এই প্রশ্নের উত্তর দেবে।

এরপর অবশ্যই দশ জনের ভেতরে দশজনের উত্তরই জার্নালিস্ট কাজে লাগাবে না। হতে পারে, উত্তরদাতাদের মধ্যকার যেকোনো একজনের উত্তর সবচেয়ে বেশি পছন্দ করবে এবং তার সাথে যোগাযোগ করবে। 

তারপর তার ওয়েবসাইট দেখে সবকিছু পর্যবেক্ষণ করার পরে যদি জার্নালিস্টের মনে হয় যে, এই সোর্স আসলেই অথেন্টিক এবং এই লোকটা আসলেই পার্সিয়ান ক্যাট সম্পর্কে জানে— তাহলে তার আন্সারটা জার্নালিস্ট তার আর্টিকেলে পাবলিশ করবে এবং বিনিময়ে ওই আর্টিকেলের একটা লিংক সোর্সের ওয়েবসাইটে দিয়ে দেবে।

যেহেতু এই পদ্ধতিতে অনেক হাই অথরিটিটিভ সাইট থেকে লিংক আসে, তাই সাইট র‌্যাঙ্ক করানোর ক্ষেত্রে এই পদ্ধতিটা খুবই হেল্পফুল। কিন্তু, সমস্যা হলো এরকম একটা লিংক পাওয়ার জন্য অনেক কষ্ট করতে হয়। যেটা  অনেক পরিশ্রমের এবং সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। 

HARO তে কিভাবে কাজ করা হয়?

HARO তে কাজ করার জন্য প্রথমে আপনাকে HARO এর ওয়েবসাইটে ঢুকতে হবে। Help A Reporter.Com এ গিয়ে উপরে আপনি দুটি সেকশন পাবেন। একটি জার্নালিস্টদের জন্য আরেকটি সোর্সদের জন্য। এরপর—

  • যেহেতু আপনি ব্যাকলিংক পাবার জন্য যাচ্ছেন, প্রশ্ন করার জন্য না— সেহেতু আপনি সোর্স দের অপশনটা সিলেক্ট করুন।  
  • ওপরে সাইন আপ অপশনে গিয়ে সোর্স হিসেবে জয়েন করে ফেলুন। 
  • সাইন আপ করার পরে একটা পেইজ পাবেন, যেখানে আপনার মোটামুটি সব ডিটেলস গুলো দিতে হবে। 
  • সব ইনফরমেশন দিয়ে সেইভ অ্যান্ড আপডেট দিয়ে রাখুন। 

এরপর HARO এর কাজ হলো— জার্নালিস্টরা যেসব প্রশ্ন করে থাকে সেগুলো আপনাকে প্রতিদিন তিনটি করে মেইলে পাঠিয়ে দেবে। যার মধ্যে থাকবে মর্নিং এডিশন, আফটারনুন এডিশন এবং ইভিনিং এডিশন। 

এই মেইলে আপনি যেসব কোশ্চেন আপনি পেতে পারেন, সেগুলোও এখানে দেয়া আছে।  আপনি চাইলে সেগুলো সিলেক্ট করে রাখতে পারেন। বেশিরভাগই Master HARO দিয়ে রাখে। কিন্তু,  আপনি চাইলে অন্য কিছু দিতে পারেন। 

এরপর আসে Pitch এর ব্যাপার ।

আপনি যে Pitch গুলো জার্নালিস্টদেরকে করবেন সেগুলো চাইলে HARO এর ভেতর থেকেও করতে পারেন অথবা সরাসরি মেইল থেকেও করতে পারেন। 

HARO এর ইমেইল গুলো কেমন হয়?

এরকম লিস্ট থেকে প্রতিদিন আপনি তিনটা করে মেইল পাবেন। যার মধ্যে থাকবে মর্নিং এডিশন, আফটারনুন এডিশন এবং ইভিনিং এডিশন। 

ই-মেইলের মধ্যে প্রথমে একটা ইনডেক্স থাকবে। যেখানে দেয়া থাকবে যে, কি কি ধরনের কোশ্চেন আছে।  

যেমন— এখানে প্রথমেই দেয়া “বায়োটেক এন্ড হেলথ কেয়ার”। এখানে বায়োটেক এবং হেলথ কেয়ার সম্পর্কিত অনেকগুলো কোশ্চেন দেয়া আছে বা অনেকগুলো টপিক দেয়া আছে।  যে টপিক গুলো সম্পর্কে যদি আপনি জেনে থাকেন, তাহলেই সেগুলোর আন্সার করবেন। 

মোটকথা- যে টপিকটা নিয়ে আপনি আপনার অপিনিয়ন দিতে পারবেন, আইডিয়া দিতে পারবেন এবং প্রোপার আন্সার করতে পারবেন সেই টপিকেই আপনি যাবেন। 

এমন হতে পারে যে- সব ই-মেইল আপনার সাইটে দেয়ার মত না বা আপনি যে ওয়েবসাইটটা চালাচ্ছেন সেই রিলেটেড কোন টপিক পাননি। তখন কিছু করার নেই। তবে প্রতিদিন তিনটা করে ই-মেইল আপনি পাবেন। সেগুলোর থেকে খুঁজে খুঁজে দেখতে হবে। 

এছাড়াও এখানে অনেক ধরনের ক্যাটাগরি আছে। যেমন- কসমেটিক্স এক্সপার্ট, ইয়োগা এক্সপার্ট, মেডিসিন এক্সপার্ট ইত্যাদি। 

ধরি, আপনার সাইটটা হচ্ছে পার্টি রিলেটেড একটা সাইট। এখন আপনি একটা টপিক সিলেক্ট করলেন যে—  ” Planning a birthday party”। এজন্য আপনাকে এই সেকশনে ক্লিক করতে হবে। ক্লিক করার পরে আপনাকে ডিটেইলসে যেতে হবে। 

ডিটেলসে দেয়া থাকবে কিছু ইনফরমেশন।  যেমন-  পার্টি নেইম, যার জন্য পার্টিটা করা হচ্ছে তার নাম, রিপোর্টারের ইমেইল, ব্লগের নাম, ডেডলাইন ইত্যাদি দেয়া আছে। 

Curious about Blogging? We've got more info in this linked article. ব্লগ পাবলিশ করার জন্য বেস্ট সময় কখন! 

তার নিচে এসে ডিটেলস আকারে কিছু কোশ্চেন দিয়ে রেখেছে বার্থডে পার্টি সম্পর্কিত। এখন আপনি যদি মনে করেন যে, এই কোশ্চেন গুলোর উত্তর আপনি দিতে পারবেন যেন ( এমন ভাবে উত্তর দিতে হবে যাতে কোনভাবেই গুগল থেকে কপি করা বা অন্য কোথাও থেকে কপি পেস্ট না করা হয় ) এক্ষেত্রে আপনার নিজের এক্সপেরিয়েন্স আছে তাহলে এখানে যে ই-মেইল টা দেয়া আছে সেখানে যোগাযোগ করবেন। 

যোগাযোগ করার সিস্টেম হলো দু’টো। এর মধ্যে একটা হলো—

  • আপনি My Pitches এ যাবেন।
  • Submit New Pitch অপশনে ক্লিক করবেন।
  • রিপোর্টারের ই-মেইলের জায়গায় যার কাজ নিচ্ছেন তার ই-মেইল দেবেন। 
  • সাবজেক্ট দেবেন এবং Pitch সাবমিট করবেন। 

এভাবে আপনি প্রশ্নগুলোর উত্তর দেবেন যা খুব বড়ও হবে না এবং খুব ছোটও হবে না। যত মার্জিত এবং যত সুন্দর করা যায় ততই ভালো। এক্ষেত্রে, এমন একটা টোনে লিখবেন যেটা প্রফেশনাল কিন্তু ফ্রেন্ডলি টোন। সর্বোচ্চ জোর দেবেন এমন যাতে হয়—যেন,আপনার কাজটাই রিপোর্টার পছন্দ করে এবং তার আর্টিকেলে ব্যবহার করে।

একটা গুরুত্বপূর্ণ টিপস হচ্ছে —

আপনি যে সাইটের জন্য ব্যাকলিংক করার ট্রাই করছেন, সেটার অবশ্যই একটা ডোমেইন আছে। এখন আপনি যখন HARO খুলবেন, তখন একটা ই-মেইল ব্যবহার করতে হবে এবং খুবই ভালো হয় যদি আপনার সাইটের ডোমেইন নেইম এবং HARO এর অ্যাকাউন্টের ই-মেইল দু’টো রিলেটেড হয়। 

যেমন- একটা সাইটের ডোমেইন নেইম হলো, ” The turtle hub.Com।  এখন এই সাইটের জন্য খোলা HARO অ্যাকাউন্টের মেইলের নামটা হয়-  [email protected]  তাহলে খুবই ভালো হয়।

সুতরাং, এরকম ইমেইল দিয়ে আপনার HARO Account সাইন-আপ করবেন। পাশাপাশি এরকম একটা ই-মেইল থেকেই সরাসরি আপনার রিপোর্টারকে মেইল করবেন। 

আরেকটা ব্যাপার হলো যে—

একদম কমন বা অবশ্যম্ভাবী কোনো আন্সার দেবেন না। যেমন- কেউ প্রশ্ন করলো যে, “Give me some quick tips on how to lose wait “। এক্ষেত্রে তাকে শুরুতেই ডায়েট করার বা শাকসবজি খাবার পরামর্শ চাপিয়ে দেবেন না। এরকম উত্তর খুবই কমন।

উত্তর দেয়ার সময় খুব কমন উত্তর দেবেন না। দিলে ব্যাকলিংক পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। এমন উত্তর দেয়ার চেষ্টা করবেন যেটা একটু ইউনিক, যে উত্তরের একটা লেয়ার আছে এবং সচরাচর দেখতে পাওয়া যায় না অথবা যে উত্তরটা / তথ্যটা অন্য কোন ব্লগে দেয়া হয়নি। এমন করলে আপনার উত্তরটা নেয়ার এবং আপনার ওয়েবসাইটে ব্যাকলিংক পাওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশ বেড়ে যাবে। 

Pitch করার আগের কিছু কাজ:

প্রথমেই আপনার ওয়েবাসাইটটা একদম ক্লিন এবং প্রোফেশনাল লুকে আনতে হবে।  যাতে একজন রিপোর্টার দেখে বুঝতে পারে যে- আপনি যথেষ্ট ক্রেডিবল, অথেনটিক এবং এক্সপার্ট। 

এজন্য সাইটে— প্রোফেশনাল একটা থিম, কাস্টম লোগো ইত্যাদি ব্যবহার করবেন। পাশাপাশি প্রোফেশনাল একটা about us পেইজ ক্রিয়েট করবপন যেটা দেখলে বোঝা যায় আপনি অথেনটিক।  

ভালো হয়— About Us পেইজে আপনার সম্পর্কে ছোটখাটো কিছু কথা, আপনার ছবি, আপনার সাইট কোথায় কোথায় ফিচার হয়েছে, আপনার ইউটিউব চ্যানেল , ওয়েবসাইট খোলার কারণ , ওয়েবসাইটটা আগে কোন জায়গা থেকে লিংক পেয়েছে ইত্যাদি ইনফরমেশন গুলো দিলে। 

মোটকথা, এমনকিছুই বাদ দেয়া যাবে না যেগুলো রাখা যায় বা রাখা উচিত।  নিজেকে ক্রেডিবল দেখানোর জন্য নিজেকে মেলে ধরুন। বিশ্বাস অর্জন করুন।  যেন রিপোর্টার আপনার কাজ বিনা দ্বিধায় নিতে সম্মত হয়। 

Dive deeper into Blogging by checking out this article. ব্লগিং করে ইনকাম করতে হলে জানতে হবে সাতটি জিনিস!

এছাড়াও ভালো একটা সলিড কন্টাক্ট পেইজ রাখবেন। যাতে জার্নালিস্টরা আপনার সাথে সহজেই কন্টাক্ট করতে পারে।

উপরোক্ত কাজ গুলো করলে আশা করা যায়, আপনি HARO থেকে ভালো এবং শক্তপোক্ত ব্যাকলিংক পেতে পারেন। 

Similar Posts