Niche Selection Guidelines 2023

আপনার জন্য কোন নিশটা ভালো হবে— এটা আপনাকে কেউ সিলেক্ট করে দিতে পারবে না। তবে কিছু গাইডলাইন ফলো করে নিজেই নিজের জন্য পারফেক্ট নিশ সিলেক্ট করতে পারবেন।  আশা করা যায়, এই টিপস গুলো ফলো করে নিশ সিলেক্ট করলে গুগল আপনাকে আপডেট জাতীয় কোনো বাধায় আটকাতে পারবে না। 

অনেক মানুষ বলেন, এমন নিশ সিলেক্ট করতে যেটায় আপনি একদম শতভাগ প্যাশনেট, যেটা নিয়ে আপনি সারাদিন চিন্তা করেন, ঐটা নিয়েই ভাবতে ভাবতে ঘুমান— নয়ত আপনার ঘুম হয়না। 

আরেকদল বলেন, প্যাশনের প্রয়োজন নেই। যেখানে টাকা বেশি, সেটাই ধরো। 

এই দু’টো অপশনের একটাও ফলো করা উচিত না। এর মাঝামাঝি একটা মধ্যমপন্থা অবলম্বন করা উচিত।  যেমন— আপনি যে নিশটা সিলেক্ট করবেন সেটার প্রতি কিছুটা হলেও ইন্টারেস্টেড এবং প্যাশনেট থাকা উচিত।

এমন না যে, ঐটায় এতটাই আগ্রহ থাকতে হবে যেটা আপনার রাতের ঘুম হারামের কারণ হয়ে যাবে। তবে কিছুটা আগ্রহ না থাকলে আপনি খুব একটা সুবিধা করতে পারবেন না।

কারণ, একটা নিশ নিয়ে কাজ করে সেটাকে প্রতিষ্ঠিত করতে কমপক্ষে প্রায় দেড় থেকে দুই বছর লেগে যায়। এমন দীর্ঘ সময় যাকে নিয়ে চলবেন, চলার সঙ্গী যদি মনের মত না হয় তাহলে অবশ্যই জার্নিটা আপনার জন্য সুখকর হবে না। তাই সিলেক্টেড নিশটা যেন আপনার পছন্দেরও হয়— এটা খেয়াল রাখা জরুরি।

Want to learn more about Blogging? This post could provide more insights. ১০টি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট, যা প্রতিটি ব্লগারের ফলো করা উচিত! 

তাহলে কেমন Niche সিলেক্ট করবো?

  • শুরুতেই দেখুন, পছন্দের নিশটার মানি পটেনশিয়ালটি কেমন। 

যদি এমন হয় যে, আপনি যে নিশটা নিয়ে কাজ করছেন সেই নিশের প্রতি আগ্রহী মানুষদের ইনকাম বেশি, সেক্ষেত্রে আপনি Ad Revenue বেশি পাবেন, EPMV বেশি পাবেন। 

যেমন ধরুন, আমরা RV Neche বা Recreational Vehicle Neche নিয়ে যদি আলাপ করি তাহলে দেখা যাবে এই নিশের প্রতি আগ্রহী মানুষদের ইনকাম বেশি হওয়াটা বাধ্যতামূলক।  কারো মান্থলি ইনকাম পাঁচ হাজার হলে তার অবশ্যই RV Neche নিয়ে মাথা ঘামানোর প্রয়োজন পড়বে না। 

সুতরাং আপনি যদি এমন নিশ নেন, যেই নিশের প্রতি আগ্রহী মানুষরা সাধারণত একটু বড়লোক হয়, এডভারটাইজারদের কাছে এদের দাম বেশি, আপনার লাভবান হওয়ার সুযোগ বেশি। 

এছাড়াও আপনার যদি Affiliate Marketing এর দিকে নজর থাকে তাহলেও আপনার এমন নিশ নেয়া উচিত যেটার গড় মূল্য $100 এর ওপরে থাকে। তাহলে দিনশেষে আপনি একটা ভালো কমিশন পাবেন।  

  • এমন নিশ সিলেক্ট করুন যেটা নিয়ে আপনি দীর্ঘ সময় ঘাটাঘাটি করেছেন, রিসার্চ করেছেন। 

হঠাৎ শখের বসে নতুন একটা নিশ নিয়ে আপনি ভালো করতে পারবেন না।  অপরিচিত একটা নিশ নিলে সেটা সম্পর্কে জানাশোনা কম থাকে। কিছু দিন কাজ করার পরে আগ্রহ খুঁজে পাওয়া যায় না।  যে নিশ নিয়ে আপনার নিজের তথ্য ভান্ডারই অপরিপক্ক, সেই নিশে আপনি ভালো কিছু করতে পারবেন না।  

যেমন- আমি একবার ঘুরতে গেলাম আফতাবনগর।  সেখানে গিয়ে জেলেদের ধরা একটা কচ্ছপ আমার খুব পছন্দ হলো। আমি সেটা শখের বসে বাসায় নিয়ে আসলাম। কিন্তু, সেটাকে আমার খাইয়ে, বাঁচিয়ে রাখতে হতো। প্রয়োজনের তাগিদে আমি পালিত কচ্ছপের জীবনযাপন সম্পর্কে পাগলের মত রিসার্চ করা শুরু করলাম। যত খুঁজলাম, তত আমার আগ্রহ বাড়তে শুরু করলো। 

নিজের প্রয়োজনে খুঁজতে গিয়ে আমি এই নিশটা সম্পর্কে ব্যাপক তথ্য সংগ্রহ করে ফেললাম। এরপর এই নিশের ওপরে দাঁড় করিয়ে ফেলি আমার  https://theturtlehub.com/ সাইট। 

  • এমন নিশ সিলেক্ট করুন, যেটা নিয়ে আপনি একটা লম্বা সময় ধরে কাজ করতে পারবেন।

একটা ওয়েবসাইটকে পরিপূর্ণ ভাবে দাঁড় করাতে কমপক্ষে ১-১.৫ বছর লেগে যায়।  অনেকে এমন ভাবেন যে, একটা ওয়েবসাইট খুলে, একটা নিশ নিয়ে ২০-৩০ টা আর্টিকেল লিখে ফেলে রাখলেই হয়। ইনকাম হতে থাকবে। 

কিন্তু এমনটা অসম্ভব।  এখন নিয়মিত কন্টেন্ট দিতে হবে আপনাকে একটা ওয়েবসাইট ভালো ভাবে দাঁড় করাতে হলে, ওয়েবসাইটটাকে একটা ভালো ব্র্যান্ডে পরিণত করতে হলে। 

  • এমন নিশ সিলেক্ট করুন যেখানে আপনার কিছু পরিমাণে হলেও Experience আছে, অথবা Expertise আছে।  

যেমন আমি যখন turtle নিশ নিয়ে কাজ করা শুরু করি, এর আগে কিন্তু আমি অভিজ্ঞতা অর্জন করি। আমি নিজে Turtle পোষার পরে অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন হয়, এরপর এটার ওপর কাজ করা শুরু করি। 

এমন যদি হয় যে, কোনো নিশ আপনার ভালো লেগেছে কিন্তু সেটার ওপর কোনো অভিজ্ঞতা নেই। সেক্ষেত্রে ঐ নিশটাকে আপনার নিজের জীবনে টেনে নিয়ে আসুন। আপনি ঐ নিশ সম্পর্কিত ব্যাপারগুলোর সাথে জীবনযাপন করুন।  রিসার্চ করা শুরু করুন। 

যদি আপনার নিশ হয় Gardening,  তাহলে নিজে বাগান করা শুরু করুন। জায়গা না থাকলে ছাদ অথবা বারান্দায় হলেও শুরু করুন! এতে আপনার Experience ও Expertise দুটোই বাড়বে। 

এটাও সম্ভব না হলে একদম না পারতে যে বিকল্প অপশন রয়েছে — এমন একজন রাইটার হায়ার করুন যে নিজে বাগান করে। অর্থাৎ এমন রাইটার যে ভালো ইংরেজি জানার পাশাপাশি আপনার পছন্দের নিশ সম্পর্কেও ভালো অভিজ্ঞতা রাখে। 

  • এমন নিশ সিলেক্ট করুন, যেই নিশে নিজের তোলা ছবি ব্যবহার করতে পারবেন।  

এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা ব্যাপার।  গুগল অরিজিনাল ছবিকে অনেক অনেক গুরুত্ব দিচ্ছে, ভ্যালু দিচ্ছে।   

Discover more interesting content on Blogging by reading this post. ব্লগ পাবলিশ করার জন্য বেস্ট সময় কখন! 

এক্ষেত্রে যদি গার্ডেনিং নিশে কাজ করেন, তাহলে হয় নিজের গার্ডেনের ছবি তুলে অরিজিনাল ছবি ব্যবহার করুন। অথবা বন্ধুর গার্ডেন থাকলে সেটার ছবিও নিজে তুলে ব্যবহার করুন। 

আমার জন্য Perfect Niche কোনটা?

আপনার জন্য কোন নিশটা পারফেক্ট, আপনি কোন নিশটা সিলেক্ট করবেন সেটা কেউ আপনাকে বলে দিতে পারবে না। আপনার নিজের নিশ নিজেরই সিলেক্ট করতে হবে। কারণ, আপনার কিসে আগ্রহ, কোনটা নিয়ে ভালো জানেন এটা আপনার চেয়ে ভালো কেউ জানবে না। 

যেমন আপনাকে বললাম আপনি  বিড়াল নিয়ে কাজ করেন। আমার মতে এটা একটা ভালো নিশ হতে পারে। কিন্তু দেখা গেলো আপনার Ailurophobia রয়েছে। যার কারণে  আপনি বিড়াল দেখলেই হার্ট অ্যাটাক করে ফেলেন। এটা আমার বা পাশের কারোর তো জানার কথা না।  

আবার আপনি হয়ত সাতক্ষীরা থাকেন। আপনার পাশেই মৌমাছির বিশাল চাক। আপনার জন্য কিন্তু Bee Keeping নিশে কাজ করা খুব সহজ এবং সোনার খনির মত একটা ব্যাপার। আপনি ওখানে গিয়ে সরাসরি ছবি তুলতে পারবেন। এমন অনেক কিছুই আছে, যা আপনি জানেন। আপনারই খুঁজে নিতে হবে।  তাই নিজের নিশ নিজেই সিলেক্ট করুন। 

Niche Selection এ কতদিন সময় নেবো?

পারফেক্ট নিশ খুঁজতে গিয়ে অনেকেই জীবনের পুরোটা সময় ব্যয় করে ফেলে, এরপর আর সেটা নিয়ে কাজ করারই সময় হয়ে ওঠে না। এত দীর্ঘ সময় ” পারফেক্ট ” নিশ সিলেক্ট করার পেছনে দেবেন না দয়া করে।  আপনার বুঝতে হবে, পৃথিবীতে পারফেক্ট বলতে কিছু হয়না। এইযে ওপরে প্রদত্ত টিপস গুলো পড়তে পড়তে এতদূর আসলেন, চরম সত্যি হচ্ছে এমন কোনো নিশ নেই যেটায় কাজ করতে গিয়ে ওপরের সবগুলো টিপস আপনি শতভাগ রক্ষা করতে পারবেন। আপনাকে ছাড় দিতেই হবে। 

এরমধ্যে দেখতে হবে, কোন নিশের সাথে এই টিপস গুলো অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মিলবে, টিপস গুলো খাটানো যাবে, সেটা সিলেক্ট করুন। 

সুতরাং নিশ সিলেক্ট করার জন্য সর্বোচ্চ এক সপ্তাহ সময় নিন। এর বেশি সময়ের প্রয়োজন নেই। যদি এটা আপনার প্রথম নিশ সিলেকশন হয়, আপনার জন্য শুভ কামনা জানানোর পাশাপাশি এটাও জানাচ্ছি যে, প্রথম নিশ খুব কমক্ষেত্রেই সফল হয়। প্রথম নিশ নিয়ে কাজ করবার বেলায় নিশ সিলেকশনেই এত দীর্ঘ সময় দেয়ার প্রয়োজন নেই। বিসমিল্লাহ বলে শুরু করে দিন, শুরু করলেই অভিজ্ঞতা অর্জনের পথটাও শুরু হয়ে যাবে। 

গাইডলাইন মেনে কাজ করা গেলে সফল হওয়া,  না হওয়া ভাগ্যের ব্যাপার!  শুধু সঠিক পথে চলতে থাকুন, সফলতা আসবেই! 

Niche Select করার পরে কী করবো?

এভাবে নিশ সিলেক্ট করার পরে ডোমেইন নেইম কেনার আগে এই নিশের কী-ওয়ার্ড রিসার্চ করুন। কীওয়ার্ড রিসার্চটা পরে কাজে লাগলেও, আগে সেরে ফেলা উচিত।  এতে আপনি অনেকটা বিপদমুক্ত থাকবেন। যে নিশটা সিলেক্ট করবেন, সেটার ওপর কমপক্ষে ৫০ টা কীওয়ার্ড বের করবেন যেগুলোর কম্পিটিশন কম এবং র‌্যাংক করা সহজ।  কীভাবে কীওয়ার্ড রিসার্চ করবেন এ সম্পর্কে জানতে চাইলে এই প্লেলিস্ট থেকে ভিডিয়ো গুলো দেখে ফেলুন! 

কীওয়ার্ড রিসার্চ এমন একটা কাজ যেটা না পারলে আপনি ব্লগিং করতে এসে ফেইল করবেনই। এর বিকল্প কোনো পদ্ধতি নেই।  এছাড়াও কীওয়ার্ড রিসার্চ অন্য কাওকে দিয়ে করানো উচিত না। কিছু কিছু কাজ আছে যেগুলো  Business Owner হিসেবে নিজের করা উচিত।  কীওয়ার্ড রিসার্চ এমনই একটা কাজ। 

সুতরাং অবশ্যই আপনাকে প্রথমে কমপক্ষে ৫০ টা ইজি কীওয়ার্ড খুঁজে বের করতে হবে, যেগুলো নিয়ে কন্টেন্ট লিখলে বড়জোর এক বছরের মধ্যে গুগলে র‌্যাঙ্ক করতে পারবে। 

৫০ টা কীওয়ার্ডের মধ্যে ছোট ছোট ক্যাটাগরি থাকতে পারে। যেমন আপনি কোনো একটা পোষাপাখি সম্পর্কিত নিশ নিয়ে কাজ করবেন।  এক্ষেত্রে ৫০ টা কীওয়ার্ডের মধ্যে ১০ টা হতে পারে ঐ পোষাপাখির খাদ্য সম্পর্কিত। ১০ টা কীওয়ার্ড হতে পারে পোষাপাখির স্বাস্থ্য সম্পর্কিত। ১০ টা কীওয়ার্ড বের করবেন পোষাপাখির খাঁচা নিয়ে। 

এভাবে ৫ টা ক্যাটাগরি বের করে প্রতিটার জন্য ১০ টা করে কীওয়ার্ড রিসার্চ করুন। অথবা ১০ টা ক্যাটাগরি বের করে প্রতিটার জন্য ৫ টা করে কীওয়ার্ড রিসার্চ করুন। এভাবে যদি ৫০ টা কীওয়ার্ড বের করতে না পারেন তাহলে সেই নিশের পেছনে না ছোটাই ভালো হবে। আপনার জন্য ওই নিশ না। 

এভাবে ভাগ করে ক্যাটাগরি অনুযায়ী কন্টেন্ট দিলে বছরখানেক পরে আপনি বুঝতে পারবেন, কোন ক্যাটাগরির কন্টেন্ট ভালো এগোচ্ছে। কোনটা বেশি কাজ করছে, র‌্যাংক করছে।  তাহলে এগিয়ে যাওয়া ক্যাটাগরি নিয়ে আরো বেশি কাজ করবেন, আরো বেশি কন্টেন্ট দেবেন। 

বর্তমানে একটা সাইট রেখে ওই একটাকেই ব্র্যান্ড হিসেবে দাঁড় করানো কঠিন। এজন্য অলটারনেটিভ প্ল্যাটফর্মেও সরব হওয়া উচিত।  হতে পারে ইউটিউব, ইন্সটাগ্রাম, পিন্টারেস্ট  অথবা যেকোনো কিছু।  যে ছবি গুলো তুলছেন সেগুলো দিয়ে পিন্টারেস্টে পিন বানান। 

ইউটিউবে থাকতে চাইলে নিয়মিত ভিডিয়ো বানানোর জন্য একটা মানসিক প্রস্তুতি নিতে হবে। হয়ত এখনই বানানোর দরকার নেই। দুই বছর পরে হলেও আপনার ইউটিউবে যাওয়া উচিত।  এটা প্রচুর হেল্প করে। তাই এখন থেকেই মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে রাখুন। 

এভাবে একটা নিশ নিয়ে আগাতে থাকলে আশা করা যায় আপনি ভালো করবেন। বিগিনার হলেও টিপস গুলো ফলো করুন। অভিজ্ঞতা অর্জন করুন। নিজেই নিজেকে ওপরে নিয়ে যান! 

Similar Posts