বাংলাদেশ থেকে Activated Stripe account খোলার পদ্ধতি!
Stripe Account খোলার জন্য কিছু ধাপ আছে। শুরুতেই আপনাকে UK তে একটা কোম্পানি খুলতে হবে। UK তে কোম্পানি খোলার ব্যাপারটা শুনতে একটু অদ্ভুত মনে হলেও বা খুব কঠিন মনে হলেও আসলে ব্যাপারটা এত কঠিন না। কোম্পানি খোলার জন্য আপনি বিভিন্ন ওয়েবসাইটই পাবেন। যারা আপনার সম্পূর্ণ কাজ করে দেবে। আপনাকে পরিপূর্ণ একটা কোম্পানিই খুলে দেবে। বিনিময়ে আপনার শুধু তাদেরকে কিছু টাকা পয়সা দিতে হবে।
এরকম কোম্পানি খুলে দেয়ার জন্য বহু ওয়েবসাইটের মধ্যে একটা ওয়েবসাইট হচ্ছে – qualitycompanyformations.co.uk
কোম্পানি বানানো:
তাদের ওয়েবসাইটে গেলে আপনি অনেক ধরনের প্যাকেজ পাবেন, যেগুলোতে যাওয়ার দরকার নেই। এর মধ্যের ফরমেশন প্যাকেজে গিয়ে প্রাইভেসি প্যাকেজে সিলেক্ট করতে হবে। যার দাম 19.5 পাউন্ডের মত। অর্থাৎ, সবকিছু মিলিয়ে ৩০-৩৫ ডলার খরচ হতে পারে। এরপরে—
- প্যাকেজ সিলেক্ট করে order অপশনে ক্লিক করুন।
- আপনার বিজনেসের একটা নাম দিন। যেটা আপনার কোম্পানির নাম হিসেবে রাখতে চান।
- যে নামই দেন না কেন, এখানে খেয়াল রাখবেন যাতে নামের মধ্যে অবশ্যই “কর্পোরেশন লিমিটেড” এই অংশটা থাকে। যেমন- FireFlipper Corp Ltd। এখানে Corp দিয়ে বোঝায় কর্পোরেশন আর Ltd দিয়ে লিমিটেড।
- নাম দিয়ে সাবমিট করে ফেলুন।
- সেভ করে দিন।
পরের পেইজে আপনাকে কিছু এডন দেবে। যেগুলো আপনার দরকার হয় কি-না দেখে এড করে নিতে পারবেন। এরপর terms and conditions এ গিয়ে চেক-আউটে যাবেন। চেক-আউটে গিয়ে কার্ড দিয়ে পেমেন্ট করতে হবে।
পেমেন্ট করার পরে, কোম্পানির কিছু বেসিক ডিটেইলস দিতে হবে। যেগুলো আপনি দেখলেই দিতে পারবেন।
এরপরে তারা আপনাকে একটা অ্যাপ ইন্সটল করতে বলবে। যেটার লিংক তারা আপনার মেইলেই পাঠিয়ে দেবে।
এই অ্যাপের মাধ্যমে আপনার কোন একটা ন্যাশনাল আইডি তাদেরকে পাঠিয়ে দিতে হবে। এক্ষেত্রে সবসময়ই তারা প্রেফার করে পাসপোর্ট। সুতরাং যদি সম্ভব হয় তাহলে পাসপোর্ট পাঠিয়ে দেবেন অথবা ন্যাশনাল আইডি কার্ড।
ন্যাশনাল আইডি কার্ড দেয়ার পরে ভেরিফিকেশন শুরু হয়ে যাবে। এজন্য আপনাকে কিছু ছবি তুলতে হবে। এর পাশাপাশি আপনাকে একটা এড্রেস দিতে হবে যাকে — প্রুফ অফ অ্যাড্রেস বলে। প্রুফ অফ এড্রেস হলো- এমন একটা ভেরিফাইড ডকুমেন্টস, যেখানে আপনি তাদেরকে যে অ্যাড্রেসটা দিয়েছেন সেই অ্যাড্রেসটা ওই ডকুমেন্টসেও উল্লেখ আছে।
তাহলে তারা কনফার্ম হবে যে আপনার অ্যাড্রেসটা ঠিক। এই প্রুফ অফ এড্রেস হতে পারে— ইলেকট্রিসিটি বিল, কোন ব্যাংকের স্টেটমেন্ট ইত্যাদি।
ডকুমেন্টসটা বাংলায় হলে অনেক সময় তারা বুঝতে পারে না এবং কাজেও লাগে না। এজন্য ইংরেজি কোন স্টেটমেন্ট অথবা ডকুমেন্ট দেয়া উচিত।
আবার, যদি ব্যাংক স্টেটমেন্ট দিয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই সেটা লাস্ট তিন মাসের মধ্যে ইস্যুকৃত হতে হবে। এরপরে তারা এক বা দু’দিন সময় নিতে পারে। দুয়েকদিন হয়ে যাওয়ার পরেই তারা সবকিছু করে দেবে।
অনেকে বলেন যে stripe এ একাউন্ট খোলার পর তারা ফোন ভেরিফিকেশন করে। এজন্য একটা UK নাম্বার কিনতে হয়। যেটাতে একটা ভেরিফিকেশন টেক্সট আসে। কিন্তু, আসলে এটা করার কোনো প্রয়োজন নেই।
কারণ, Stripe থেকে ফোন ভেরিফিকেশন ছাড়াও আরো একটা পদ্ধতিতে ভেরিফিকেশন করা যায় Android App দিয়েই। App টার নাম হচ্ছে ” Google Authenticator “। এটা দিয়েও stripe এর ভেরিফিকেশন করা যায়। সেক্ষেত্রে আপনার আর কোনো UK নাম্বারের প্রয়োজন হবে না।
Stripe এ একাউন্ট খোলা:
কোম্পানি খোলা হয়ে গেলে আপনি Stripe এ একাউন্ট খুলতে পারবেন।
Stripe এ একাউন্ট খোলার সময় যেসব ইনফরমেশন দিতে হয়, সেই ইনফরমেশন দেয়ার ব্যাপারটা একটু জটিল।
কিছু কিছু ক্ষেত্রে UK এর ইনফরমেশন দেয়া লাগে এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ইনফরমেশন দেয়া লাগে। কিভাবে ইনফরমেশন জমা দেবেন সেটা জানার জন্য দেখে ফেলুন ভিডিয়োটি!
এভাবে একাউন্ট খোলার পরে কোনো সমস্যা ছাড়াই টাকা পয়সা সব লেনদেন করতে পারবেন। কিন্তু, প্রথম বারের মত লেনদেন করার সময় একটু বিপত্তি বাঁধতে পারে। এক্ষেত্রে Stripe আপনার একাউন্টটা হোল্ড করতে পারে এবং আপনার কাছে আইডেন্টিটি ভেরিফিকেশন চাইবে।
তখন আপনার ন্যাশনাল আইডি কার্ডের ছবি আর আপনার নিজের একটা ছবি তুলে দেবেন। তাহলেই আপনার একাউন্টটা সম্পূর্ণ ভেরিফাইড করে দেবে। আশা করা যায়, পরবর্তীতে আর কোনো সমস্যা হবে না।