২০২২ সালের সেরা ১২ টি প্রফিটেবল নিশ!

ওয়েবসাইট বানানোর কথা ভাবছেন অথচ নিশ নিয়ে ভাববেন না— এমন তো হতেই পারে না!

এই ভাবনা চিন্তাটা একটু সহজ করতে জেনে নিন বারোটি নিশ সম্পর্কে— যে নিশ গুলো প্রফিটেবল এবং যেগুলো নিয়ে আপনি চাইলে খুব সহজেই আগাতে পারেন।

তবে, এই নিশগুলার কোনোটাই এমন হবে না যেটা নিয়ে আপনি আজকে কাজ করলেন, একমাস পরেই ইনকাম করতে পারবেন। প্রত্যেকটা নিশই এমন নিশ হবে, আপনাকে এটা নিয়ে এক দেড় বছর কাজ করতে হবে, একটা ব্র্যান্ড বানাতে হবে এরপরে আপনি এখান থেকে একটা সাস্টেনেবল ইনকাম করতে পারবেন। কজ, কুইক উইন দিয়ে কোনো নিশই কাজ করবে না।

প্রত্যেকটা নিশেরই একটা কমন ক্যারেক্টারিস আছে যেটা হলো, প্রত্যেকটা ওয়েবসাইটই এড আর আমাজন এফিলিয়েট দিয়ে মনিটাইজ করা যায়।

কিন্তু, যদি এমন নিশের সন্ধান পেয়ে যান যেটায় এড আর এফিলিয়েট ছাড়াও আরও মনিটাইজেশন করার ক্যাপাবিলিটি পাবেন- তাহলে কেমন জমবে বলুন তো!

এজন্য এখানে আপনার জন্য দেওয়া প্রত্যেকটা নিশের অ্যামাজন ছাড়াও আরও অনেক ওয়েবসাইট আছে, আপনি যাদের এফিলিয়েট হতে পারবেন, তাদের প্রডাক্ট প্রোমট করে অ্যামাজনের থেকে বেশি কমিশন পাবেন।

(এই প্রত্যেকটা নিশের জন্য যে যে ওয়েবসাইট আছে সেগুলোর একটা ডকুমেন্ট করে রাখা হয়েছে। এটা পেতে এখানে ক্লিক করুন!)

1. Mountain Climbing:

Mountain Climbing একটা আউটডোর নিশ। বেশ কমন বলা যায়, আবার কমন ও না। এটা শুধু mountain climbing ই না, আরো কিছু add করতে পারবেন। যেমন, আউটডোরে করা যায় এমন কিছু যার মধ্যে Rock Climbing, Ice climbing ইত্যাদি।  এই নিশটা নিয়ে আগালে Mountain climbing.  Com  এরকম ডোমেইন নেম নেওয়া ঠিক হবে না। আরো এক স্টেপ ওপরের ডোমেইন নেম নেয়া ভালো। যেমন, আউটডোর এডভেঞ্চার ডট কম ইত্যাদি। 

ডোমেইন নেম সিলেকশনে পরে প্ল্যান করা উচিত তিন চারটা আউটডোর এক্টিভিটিস কভার করার। যেকোনো আউটডোর এক্টিভিটিস হতে পারে!

কিন্তু এই তিন চারটা এক্টিভিটিসই একসাথে কভার না করে ধরেন মাউন্টেন ক্লাইম্বিং শুরু করে এটা নিয়ে ৫০-৬০ টা আর্টিকেল দিয়ে কভার করে এরপরে আরেকটা নিয়ে শুরু করা উচিত। এভাবে আস্তে আস্তে আরো কিছু নিয়ে কাজ করা যায়।

এই আউটডোর এক্টিভিটিসের মধ্যে কয়েকটা ক্যাটাগরি রাখতে পারেন। যেমন, গিয়ার নিয়ে একটা ক্যাটাগরি যদি রাখেন তাহলে কি কি গিয়ার লাগে, কিভাবে ইউজ করতে হয়, কিভাবে সেফটি অবলম্বন করতে হয় ইত্যাদি।  আরেকটা ক্যাটাগরি রাখতে পারেন যে, একেকটা মাউন্টেইন কিভাবে ক্লাইম্ব করে। বিশ্বে কিছু মাউন্টেইন আছে যেগুলো নিয়ে অনেক রিসার্চ হয়, মানুষ জানতে চায়, যেমন এভারেস্ট!

সো, এই ধরনের প্রত্যেকটা মাউন্টেইনকে নিয়ে অনেকগুলো আর্টিকেল লিখতে পারেন।

2.Survival In The wild:

Discovery channel এ একটা শো হয়- Man Vs wild।  যেটা আমরা অনেকেই দেখি এবং দেখে এই বিষয়ের ওপর আগ্রহী হই যে, কাওকে যদি বনে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়, গভীর অরন্যে— তাহলে ওই মূহুর্তে সে কিভাবে বেঁচে থাকবে, কি খেতে পারে, কিভাবে আগুন জ্বালাতে হবে ইত্যাদি।  এসব নিয়ে আজকাল আপনি আমি সহ  অনেকেই জানতে চাই বা চায়। পাশাপাশি এই স্কিলগুলো আয়ত্ত্বও করতে চায়। সুতরাং,এটা একটা মোটামুটি পপুলার একটা সাবজেক্ট বলা যায়। তাহলে এটা নিয়ে একটা নিশ বানাতেই পারেন!

এটার মধ্যেও এজ ইউজুয়ালি অনেক এফিলিয়েট অপারচ্যুনিটি আছে, আমি হলে যা যা নিয়ে শুরুর করতাম — সার্ভাইভাল কিট, ওয়াইল্ড ইনভারমেন্টে আপনি কিভাবে খাদ্য সংগ্রহ করবেন, বিভিন্ন টুলস কিভাবে বানাতে হয়, সার্ভাইভালস স্কিল কিভাবে গেদার করা লাগে, বনে কিভাবে পানি বিশুদ্ধ করা যায়,  ইত্যাদি।

3.Travelling With Pets:

আর্টিকেল জগতে Travel এবং pets এই জিনিশ দু’টো অনেক বড় একটা নিশ। সুতরাং এই দু’টো বিষয়কে এক করে নিয়ে একটা নিশ বানাতে পারেন। যেখানে শুরুতে র‌্যান্ডম কোনো পেটস দিয়ে শুরু না করে Dog দিয়ে শুরু করা যায়। কিভাবে একটা Dog সাথে নিয়ে আপনি ট্রাভেল করা যায়, ট্রাভেলের সময় কি কি জিনিস সাথে নেওয়া উচিত ইত্যাদি নিয়ে প্রচুর লেখালেখি করে ফেলতে পারেন ।  এরপর আপনি cat নিয়ে শুরু করলেন। এভাবে অন্যান্য pet নিয়ে অনেক অনেক আর্টিকেল লিখতে পারেন।

এখানে আরো কিছু বিষয় নিয়ে কথা বলা যায়।

যেমন ধরুন, কোন কোন এয়ারলাইন গুলো pets নিয়ে ট্রাভেল করতে অনুমতি দেয়, কিভাবে এয়ারে pets ক্যারি করা যাবে, ট্রাভেলে কিভাবে pets কে খাবার খাওয়ানো উচিৎ ইত্যাদি এসব টুকটাক বিষয়।

এখানেও আপনারা চাইলে আমাজনের অনেক এফিলিয়েট পেতে পারেন। মূলত এসব কিছু মিলিয়েই একটা গোছানো ওয়েবসাইট বানানো সম্ভব!

4.Electric Vehicle:

বলা যায়, বর্তমান সময়ে এই জনরা টা অনেক পপুলার। বিশেষ করে ইলন মাস্কের Tesla যখন আসে তখন থেকেই একটা হুড়োহুড়ি লেগে গেছে এই সেক্টরে। এখানে Vehicle বলতে যে, শুধু গাড়ীকেই বোঝানো হয়েছে- ব্যাপারটা তেমন না। হতে পারে ইলেকট্রিক স্কেটবোর্ড, ইলেকট্রিক লংবোর্ড, ইলেকট্রিক সাইকেল এবং এমন আরো আধুনিক জিনিস— যা নিয়ে পড়তে মানুষ আগ্রহ পায়। আর যখন এমন একটা সাইট দাঁড় করানো যাবে তখন এখান থেকে অনেক ভাবেই এফিলিয়েট ইনকাম হতে শুরু করবে। কীভাবে?

Dive deeper into Blogging by checking out this article. ১০টি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট, যা প্রতিটি ব্লগারের ফলো করা উচিত! 

শুরুতে আপনি একটা Vehicle নিয়ে আর্টিকেল লিখতে পারেন।

আপনি এখানে অন্যান্য যেসব Electric vehicle রয়েছে সেগুলো নিয়ে কথা বলতে পারেন।

কিভাবে সেইফটি মেইনটেন করা যায়, চার্জ দিতে হয়, একবার চার্জ দিলে কতদিন পর্যন্ত চলে এসব খুটিনাটি সবকিছু।

কিন্তু সব কথার মূল করা হচ্ছে শুরুতেই একশো বিষয় নিয়ে না লিখে, একটা বিষয় ধরে আগানো উচিৎ।

5.Underwater Adventure:

বর্তমানে Underwater অনেক এক্টিভিটিস রয়েছে। আপনি চাইলে এর যেকোনো একটা সেক্টর দিয়ে শুরু করতে পারেন।

প্রথমে ডোমেইন নেম দিয়ে তারপর যেকোনো একটা বিষয় দিয়ে শুরু করবেন।  যেমন হতে পারে, স্কুভা ডাইভিং। এটা দিয়ে শুরু করে এটাকে একটা পর্যায়ে নিয়ে যান।  কিভাবে ডাইভিং করতে হয়, কি কি দরকার, কোথায় ভালো শেখা যায় এসব নিয়ে লেখা যেতে পারে। তারপর হয়তো ৩০-৪০ টা আর্টিকেল হয়ে গেলে অন্য কোনো বিষয়— যেমন আন্ডারওয়াটার ফটোগ্রাফি কিংবা মারমেইডিং নিয়ে বিশদ আলোচনা করা যেতে পারে! 

6.Car Care:

বলা হয় শখের তোলা আশি টাকা। এই শখের বসে মানুষ কতকিছুই না করে! কতকিছুর মধ্যে অনেকে শখ করে গাড়িও কেনেন। নতুন নতুন মডেল, দামী দামী গাড়ি!

শখ না হলেও কেউ কেউ প্রয়োজন মেটাতেও কিনে থাকেন। গাড়ি কেনার পরই, এর মালিকদের নিশ্চয়ই একটা নতুন মাথা ব্যথা যুক্ত হয়— কীভাবে একটা গাড়ি পরিচালনা করা যায়!

ডিভাইস নির্ভর যুগে আজকাল সবাইটুক করে গুগল করে ফেলেন। এই সুযোগটা আপনিও একটু কাজে লাগান, Car care নিয়ে বানিয়ে ফেলুন নিশ আর লিখে ফেলুন গোঁটা পঞ্চাশ আর্টিকেল!

পাশাপাশি গাড়ির বিভিন্ন পার্সের প্রোডাক্টের এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আরো একটা ইনকাম সোর্স বাড়িয়ে ফেলুন।

এছাড়াও, গাড়িটাকে কিভাবে স্টার্ট, কিভাবে ড্রাইভ ইত্যাদি করতে পারি বা কিভাবে করলে গাড়িটা খুব ভালো সার্ভিস দেবে এসব খুঁটিনাটি বিষয়— যা মূলত একজন ড্রাইভার ঠিকই জানেন তা-ও যুক্ত থাকতে পারে Care care এর সাথে।

7.Home Theatre :

অবসর পেয়েছেন আর সিনেমা দেখবেন না, তা কী হয়? অসম্ভব!

বর্তমান সময়ে সিনেমা পছন্দ করে না এমন মানুষ খুব রয়েছে। অনেকেই মোবাইল স্ক্রিনে, পিসিতে, ল্যাপটপে অথবা টিভিতে মুভি দেখে থাকেন।  কিন্তু,  বড় পর্দায় মুভি দেখার জোশটাই কিন্তু আলাদা। তাই হোম থিয়েটার নিয়ে আপনি একটা ওয়েবসাইট আজই এবং এক্ষুনি বানিয়ে ফেলতে পারেন।

কি কি আর্টিকেল রাখবেন?

কি কি জিনিশ দরকার হয় একটা থিয়েটারের জন্য, কিভাবে একটা স্পেশাল রুম থিয়েটারের জন্য ডেকোরেট করা যায়, কি ধরনের লাইট সেটাপ দরকার হয় এসবের আদি থেকে অন্ত নিয়ে বেশ কিছু আর্টিকেল লিখে একটা ওয়েবসাইট দাড় করানো সম্ভব।

8.Pet Bird

কুকুর, বিড়াল তো অনেকেই পুষে থাকেন। অনেকে আবার পাখিও পোষেন। পাখি পুষতে গিয়ে হয়ে যায় পেট বার্ড এক্সপার্ট। অনেকে অ আ ক খ না জেনেও পাখি পোষবার দিকে ঝোঁকেন, তাদের অনেক কিছুই জানার বাইরে থাকে। কোন পাখির জন্য কি ধরনের খাঁচা দরকার , কোন পাখি কোন খাবার খায়,  কি ধরনের পাখি তার পোষা উচিৎ ইত্যাদি অনেক কিছুই জেনে বুঝে তারপর পাখি পুষতে মাঠে নামতে হয়।

এখানেও সেম বিষয়, ডিভাইসের আমলে সবাই গুগলে টুক করে জিজ্ঞেস করে নেয়!

সো, এসব নিয়ে একটা ওয়েবসাইট তৈরি করা খুবই ইজি এবং প্রোফিটেবল। এটা দিয়ে যে, খুব বেশি ইনকাম করা যাবে সেটা বলা মুশকিল। তবে মোটামুটি ভালো মানের একটা ইনকাম আশা করতে তো অসুবিধা নেই!

9.Solar Power:

সোলার পাওয়ার এখন  অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠছে উন্নত দেশগুলোতে। ইলন মাস্কের সোলার পাওয়ার বিষয়ক একটা কোম্পানিও রয়েছে। এই সেক্টরটা আগামী ৫ বছর পর আশা করি আরো বড় হবে এবং মানুষ এখন থেকেই সোলার পাওয়ার সম্পর্কে বিশদ জানতে আগ্রহী। এজন্য, কিভাবে সোলার পাওয়া সেটআপ করতে হয় অথবা কিভাবে নিজেই তৈরি যায়, এলটা বাসায় পুরোপুরি সোলার পাওয়ার সেট করতে হলে কি কি লাগবে, খরচ কেমন পড়বে ইত্যাদি খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে আর্টিকেল লেখা যেতে পারে সহজেই। এবং এখান থেকে এফিলিয়েটের বড় একটা অংশ আসতেই পারে। কারন, আমাজনসহ আরো অনেক ওয়েবসাইট থেকেই আপনি সোলার পাওয়ার বিষয়ক প্রোডাক্টের এফিলিয়েট করতে পারবেন।

আবার, যদি সোলার পাওয়ার থেকেও আরো একটু নিশ আপ করবেন তাহলে ডোমেইন নেমে একটু পরিবর্তন এনে অল্টারনেটিভ এনার্জি ডট কম এই টাইপ ডোমেইন নেম দিতে পারেন।

10.Home Painting:

অনেকেই চায় তার থাকার জায়গাটা একটু নান্দনিক থাকবে, একটু রঙিন থাকবে অথবা থাকবে ভ্যানগগের স্ট্যারি নাইট— যেটা সবসময়ই মন ভালো করে দেবে। দেখা গেছে, USA তে অনেক মানুষ অনেক ডলার $ খরচ করে তাদের হোম পেইন্ট করছে। এটা নিয়ে একটা ভালো আইডিয়া ক্রিয়েট করা যেতেই পারে। কিভাবে একটা রুম পেইন্ট করতে হয়। কি ধরণের কালার কোম দেয়ালের সাথে সুট করবে, বেডরুমে কোন রঙ আর ড্রয়িংরুমে কোন রঙ, কোন ব্রান্ডের রঙ কতটা ভালো— এসব নিয়ে কিছু ইনফরমেটিভ আর্টিকেল দিয়ে মানুষকে একটা স্বচ্ছ আইডিয়া দিতে পারলে বলা যায় ভালো একটা এমাউন্ট আপনার পকেটে আসবে।

11 এবং 12 নাম্বার নিশ:

কথা তো ছিল ১২ টা নিশ নিয়ে আলোচনা হবে, কিন্তু বাকী দু’টো কই!

বাকী দু’টো সম্পর্কে জানতে হলে লিংকে ক্লিক করুন, ই-মেইল এবং নাম সাবমিট করলেই পেয়ে যাবেন আগাগোড়া বারোটি নিশের ডকুমেন্ট!

কিছু সতর্কতা:

কোন ওয়েবসাইট শুরুর আগেই যদি পকেটে হাত দিয়ে টাকা খোঁজেন, তাহলে টাকা নিজেই ভয় পেয়ে আর আসবে না। সো, ইনকাম নিয়ে ভাববেন না। জাস্ট কাজে লেগে পড়ুন এবং কাজে লেগে থাকুন। দীর্ঘমেয়াদী আকর্ষণ না থাকলে এসব নিশ নিয়ে আগালে তেমন সুবিধা করতে পারবেন না। আর একটা নিশ শুরু করার পরে যেকোনো একটা বিষয় নিয়ে আগান। জগাখিচুঁড়ি করে ফেললে লস বৈ লাভ না-ও হতে পারে।

সুতরাং এসব মেইনটেইন করে কাজে কাজে সময় কাটান, আশা করা যায় সময়ের সাথে সাথে আপনাদের ইনকামও বাড়তে শুরু করবে!

Similar Posts