কোনো Outreach ছাড়াই High DA সাইট থেকে ব্যাকলিংক পাবেন যেভাবে! [Passive Link Building]
আজকে একটি মজার জিনিস নিয়ে কথা বলবো আপনাদের সাথে। জিনিসটা হলো যে কীভাবে আপনি অটোমেটিক্যালি একদম হাই অথোরিটির সাইট থেকে ব্যাকলিঙ্ক নিতে পারবেন,যেখানে আপনার তেমন কিছু করা লাগবে না,গেস্ট পোস্ট করার জন্য ইমেইল কিংবা রিকোয়েস্ট করা লাগবে না, এমনকি স্প্যামিং ও করতে হবে না।
ব্যাপারটা শুনতে ক্লিকবেইট মনে হতে পারে অনেকের কাছে , কিন্তু এটা আসলেই সত্য। তবে প্রসেসটা কমপ্লিট হতে একটু সময় লাগে। বাট ট্রাস্ট মি, ঠিকঠাকমতো কাজটা করতে পারলে দারুন ফল পাবেন।
চলুন প্রথমে জেনে নেই আপনার সাইটে অন্যান্য সাইট থেকে যে ব্যাকলিঙ্ক আসছে এবং গুগল অলরেডি ইনডেক্স করছে সেগুলো আপনি কীভাবে বুঝবেন সে সম্পর্কে –
১.প্রথমে আপনার সাইটের গুগল সার্চ কনসোল এ যেতে হবে। এটা আমার একটি সাইটের গুগল সার্চ কনসোল।
২.তারপর ” links ” অপশনটিতে ক্লিক করতে হবে।
৩. এরপর ব্যাকলিঙ্ক চেক করার জন্য ” top linking sites ” এর ” MORE ” অপশনটিতে ক্লিক করতে হবে।
৪. এখানে এসে যতগুলো ডোমেইন নাম দেখা যাচ্ছে,এ সবগুলো থেকে আপনার সাইটে ব্যাকলিঙ্ক করা হয়েছে।
এবং এখান থেকে আপনি খুব সহজেই দেখতে পারবেন কোন কোন সাইট আপনাকে কতবার ব্যাকলিঙ্ক করেছে।
সে যাই হোক, এখান থেকে খুঁজে খুঁজে আমি কিছু সাইটের আর্টিকেল বের করেছি, যারা আমাকে অটোমেটিক ব্যাকলিঙ্ক করেছে।
আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে কেনো তারা আমাকে এমনি এমনি ব্যাকলিঙ্ক দিয়ে দিলো? চলুন এখন সে ব্যাপারে কথা বলি।
তো প্রথমেই চলুন একটা সাইট থেকে ঘুরে আসি। সাইটটার নাম ” pet coach “- এই সাইটটা খুবই ভালো। এবং এটা আমাকে অটোমেটিক ব্যাকলিঙ্ক দিয়েছে। একজন একটা প্রশ্ন করেছিলো। সেটার উত্তরে আমার সাইটে ব্যাকলিঙ্ক দেয়া হয়েছে।
আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, এমন কী করেছি আমি, যার জন্য সাইটটা আমাকে অটোমেটিক ব্যাকলিঙ্ক দিলো?
চলুন এবার জেনে নেই সেই গোপন রহস্য। বেশীরভাগ মানুষ আর্টিকেল লেখার সময় যে ভুলটা করে, সেটা হচ্ছে যে তার কম্পিটিটর কিংবা অন্যান্যরা যেসকল ইনফরমেশন দেয় তাদের লেখায়, সেটাই ঘুরিয়ে প্যাঁচিয়ে নিজেদের লেখায় দিয়ে দেয়।
এটা একদমই করা যাবে না। এভাবে লিখলে কখনোই অটোমেটিক ব্যাকলিঙ্ক পাওয়া সম্ভব না।আপনাকে যা করতে হবে, সেটা হচ্ছে আপনার টপিকটি নিয়ে পর্যাপ্ত পরিমান রিসার্চ করতে হবে। এমন কিছু অথেনটিক তথ্য দিতে হবে আপনার আর্টিকেলে, যেটা অন্যদের লেখায় নেই এবং খেয়াল রাখতে হবে আপনার আর্টিকেলে লেখা তথ্য পড়ে যেনো অডিয়েন্স উপকৃত হয়।
মনে রাখবেন আপনার কন্টেন্ট যতো বেশী রিসোর্সফুল হবে,টপিকের যতো বেশি গভীরে যেতে পারবেন আপনি ব্যাকলিঙ্ক পাবার পসিবিলিটি ততো বেশী বেড়ে যাবে। আর তখন কষ্ট করে কারও কাছে ব্যাকলিঙ্ক চাইতেও হবে না।
তাছাড়া এধরনের ইনফরমেটিভ কন্টেন্ট লেখার সুবিধা হলো একবার কষ্ট করে লিখে ফেললে বারবার নানান সুবিধা পাওয়া যায়।
এবার চলুন জেনে নেই একটি ইনফরমেটিভ কন্টেন্ট রিসার্চ করা এবং লেখার কিছু টিপ্স –
১. আপনি আপনার নিশ রিলেটেড বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপে এড হয়ে যাবেন। তারপর আপনার আর্টিকেলের টপিক অনুযায়ী পোল ক্রিয়েট করে অডিয়েন্সদের সাথে শেয়ার করবেন। সেখানে অডিয়েন্সরা ভোট দিবে, সে ভোটের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ এবং রিসার্চ করে আর্টিকেল লিখতে পারেন। তাছাড়া আর্টিকেলের ভেতর পোলের স্ক্রিনশট অ্যাড করে দিলে সেটা দেখতে আরও বেশী রিসোর্সফুল মনে হয় আর পাঠকরাও বুঝতে পারে যে কন্টেন্টটি লেখার সময় যথেষ্ট রিসার্চ করা হয়েছে।
২. বিভিন্ন রকম হেল্পফুল ইনফোগ্রাফিক্স অ্যাড করে দিতে পারেন।
৩. নানান রকম ইনফরমেটিভ গ্রাফ অ্যাড করা যায়।
৪. ইউটিউবের নানান ভিডিও থেকে ইনফরমেশন নিতে পারেন।
৫. নানান রকম এক্সপার্টদের অপিনিয়ন Quote হিসেবে ব্যবহার করে কন্টেন্টটি সমৃদ্ধ করতে পারেন।
একটা উদাহারণ দিয়ে শেষ করি। সম্প্রতি আমি একটা আর্টিকেল লিখেছি “Are Bearded Dragons Friendly?” এই টপিকটার উপরে। আর্টিকেলটা লেখার পর আমার Unique Value আর্টিকেলে দেবার জন্য একটা মজার কাজ করেছি।
আমি Bearded Dragon রিলেটেড কয়েকটা ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করি এবং একটা পোস্ট দেই। পোস্টে এমন প্রশ্ন করি যে, আপনার Bearded Dragon এর সাথে আপনার সবচেয়ে Friendly অভিজ্ঞতা কোনটি?
অনেকেই সেই পোস্টে রেপ্সন্স করে তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন, Bearded Dragon এর সাথে তাদের ছবি দেখান। আমি তাদের পারমিশন নিয়ে সেসব ছবি আমার আর্টিকেলে দেই।
এখন আমার আর্টিকেলটায় রিয়েল Bearded Dragon Owner দের এক্সপেরিয়েন্স আছে, তাদের ছবি সহ। এটা এমন একটা জিনিস যেটা আমার টপিকের টপ কম্পিটিটররা কেউ করতে পারেনি, হুবুহু এমন করতে পারবেও না।
এমন একটা রিসার্চ আমার আর্টিকেলকে সম্পূর্ণ ইউনিক করেছে কম্পিটিটর দের থেকে, এবং এরকম Original & Unique Research থাকলে আশা করা যায় কোনো কিছু না করেই বড় বড় সাইট থেকে আপনি ব্যাকলিঙ্ক পেয়ে যাবেন!