Topical Relevance বের করার পদ্ধতি – Manual vs Ahrefs vs Surfer SEO
আজকের লেখায় আমি অন পেইজ এসইওর খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে কথা বলবো। বিষয়টি হলো – ” টপিকেল রেলিভেন্স।”
আজ টপিকেল রেলিভেন্স বের করার তিনটি উপায় শেখাবো আপনাদের এবং তিনটি উপায়ের ভেতর কোনটা আমার কাছে সবচেয়ে বেশী ইফোক্টিভ মনে হয়, সেটাও বলবো।
অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগতে পারে – টপিকেল রেলিভেন্স জিনিসটা কী?
একটা উদাহরণ দিয়ে আপনাদের বোঝাই তাহলে ব্যাপারটা বুঝতে সহজ হবে। ধরুন আপনি একটি আর্টিকেল লিখছেন। তো আর্টিকেলটার অবশ্যই একটা টপিক বা টাইটেল থাকবে। তো টপিকেল রেলিভেন্স বলতে বোঝায় ঐ টাইটেল / টপিকের ওপর ভিত্তি করে পরিপূর্ণ একটি লেখা লিখতে আপনার আর কী কী সাবহেডিং থাকা দরকার, কী কী বিষয় নিয়ে কথা বলা দরকার।
মনে করি আপনার আর্টিকেলের টাইটেল – ” How To Feed Dogs. ”
এখন আপনি কীভাবে বুঝবেন, যে আপনার আর্টিকেলের ভেতর কী কী থাকলে কিংবা কীভাবে লিখলে আপনার আর্টিকেলটি একটি পরিপূর্ণ স্বয়ংসম্পূর্ন আর্টিকেল হবে যা কিনা বিভিন্নভাবে rank করার ক্ষেত্রে গুগল পছন্দ করবে?
তো এই যে প্রসেসটা যার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পারবেন কোন কোন সাবহেডিং ব্যবহার করা দরকার, এটাকেই বলে টপিকেল রেলিভেন্স বের করা।
বিভিন্ন উপায়ে টপিকেল রেলিভেন্স বের করা যায়। অনেক কিওয়ার্ড রিসার্চ টুল ও আছে এটার । আজ আমি আপনাদের তিনটি উপায়ে টপিকেল রেলিভেন্স বের করা দেখাবো।
১.ম্যানুয়ালি টপিকেল রেলিভেন্স বের করা ।
২. Ahrefs দিয়ে টপিকেল রেলিভেন্স বের করা ।
৩. surfer seo tool দিয়ে টপিকেল রেলিভেন্স বের করা ।
তো Topical relavance বের করার জন্য আমি আজ যে টপিকটা নিয়ে কাজ করবো, সেটা হচ্ছে – ” How long do beta fish live. ”
প্রথমেই চলুন কীভাবে ম্যানুয়্যালি Topical relavance বের করতে হয়, সে সম্পর্কে জেনে নেই –
ধাপ- ১
মেইন কিওয়ার্ড / টাইটেলটা লিখে হুবহু গুগলে সার্চ দিতে হবে।
ধাপ-২
এরপর গুগল সার্চ দেয়ার পর অটোসাজেশনে কী কী আসে, এটা দেখতে হবে। এটার দেখার জন্য কার্সরটা যাস্ট কিওয়ার্ডের পাশে রাখতে হবে। তাহলে দেখা যাবে টপিক রিলেটেড প্রচুর সাজেশন চলে এসেছে।
ধাপ- ৩
একটু স্পেস দিলে খেয়াল করবেন টপিক রিলেটেড আরও কিওয়ার্ড চলে এসেছে।
ধাপ -৪
এবার কিওয়ার্ডগুলো কপি করে গুগল শিটে সংরক্ষণ করে ফেলুন। মনে রাখবেন এ কিওয়ার্ডগুলো যেহেতু সাজেশনে এসেছে, তার মানে হলো এ কিওয়ার্ডগুলো দিয়ে গুগলে সার্চ করা হয়। তাই আপনার আর্টিকেলে এ কিওয়ার্ডগুলো দিয়ে সাবহেডিং লেখা হলে প্রত্যেকটা কিওয়ার্ড এর জন্য ট্রাফিক আসতে পারে গুগুল থেকে।
ধাপ -৫
এবার ” people also ask ” সেকশনটিকে চোখ বুলিয়ে নিন। দেখবেন এখানেও কিছু ইউনিক কিওয়ার্ডের আইডিয়া পেয়ে যাবেন।
ধাপ -৬
এরপর সবচেয়ে নিচে সাজেশন অপশনটি থেকেও কিছু কিওয়ার্ড কালেক্ট করার চেষ্টা করুন।
ধাপ -৭
এবার আপনার কম্পিটিটরের আর্টিকেল চেক করুন।এবং দেখুন তারা আপনার সংগ্রহ করা লিস্টের বাইরে আলাদা কোন সাবহেডিং দিয়েছে কিনা। ইউনিক কোন সাব হেডিং খুঁজে পেলে সেটাও আপনার লিস্টে এড করে ফেলুন।
ব্যাস হয়ে গেলো আপনার ম্যানুয়্যালি কিওয়ার্ড সংগ্রহের কাজ।
এবার চলুন ahrefs টুল দিয়ে কীভাবে কীভাবে Topical relavance বের করতে হয়, সে সম্পর্কে জেনে নেই –
ধাপ -১
প্রথমে আপনার মেইন কিওয়ার্ডটা দিয়ে গুগলে সার্চ করবেন। সার্চ করলে দেখবেন সেখানে প্রচুর আর্টিকেল আসছে। সেখান থেকে আপনার যেকোন একজন কম্পিটিটরের আর্টিকেলের লিঙ্ক নিয়ে নিন। এবং সেটা ahrefs টুলের সার্চ বারে পেস্ট করে দিন। এবং enter বাটনে ক্লিক করে দিন।
ধাপ -২
এবার ” content gap ” অপশনটিতে ক্লিক করুন।
ধাপ -৩
তারপর খালি বক্সগুলোতে আপনার তিনজন কম্পিটিটরের আর্টিকেলের লিঙ্ক পেস্ট করে দিন। এবং show keywords অপশনে ক্লিক করুন।এবার যে কিওয়ার্ডগুলির জন্য এই তিনটা আর্টিকেল rank করছে, ahrefs সে কিওয়ার্ডগুলো খুঁজে দিবে।
ধাপ -৪
এবার কিওয়ার্ডগুলো ম্যানুয়্যালি দেখে চ্যুজ করে নিন।আপনি চাইলে volume, keyword difficulty ইত্যাদির ভিত্তিতেও চ্যুজ করে নিতে পারবেন।
ধাপ -৫
সবগুলো কিওয়ার্ড গুগল শিটে সংগ্রহ করে রেখে দিন।
ব্যাস, আপনার কাজ শেষ। দেখলেন তো এই টুলটি দিয়ে কতো কম সময়ে কিওয়ার্ড সংগ্রহ করা যায়? তবে আপনার বাজেট যদি কম থাকে, তাহলে আমি সাজেস্ট করবো অবশ্যই ম্যানুয়েল পদ্ধতিতে কিওয়ার্ড সংগ্রহ করুন। এতে সময় বেশী লাগবে ঠিকই, কিন্তু পকেটের পয়সা খরচ হবে না। তাছাড়া চাইলে আপনি ম্যানুয়েল এবং ahrefs দু’টোর কম্বিনেশনে সংগৃহীত কিওয়ার্ড আর্টিকেলে ব্যবহার করতে পারেন।এতে আপনার আর্টিকেলটি হবে দারুন সমৃদ্ধ আর rank করার পসিবিলিটিও কয়েকগুণ বেড়ে যাবে।
এখন সর্বশেষে আমরা দেখবো কীভাবে SURFER SEO টুল দিয়ে Topical relavance বের করতে হয়, সে সম্পর্কে –
ধাপ -১
মেইন কিওয়ার্ডটি সার্চবারে লিখে ” Run SERP Analyzer with NLP “ অপশনে ক্লিক করতে হবে।
ধাপ -২
তারপর দেখবেন আপনার কিওয়ার্ড রিলেটেড কিছু ডাটা চলে আসবে। এবার সেটায় ক্লিক করতে হবে।
ধাপ -৩
keyword সেকশনটিতে চলে আসুন। দেখবেন প্রচুর কিওয়ার্ড পেয়ে যাবেন।
ধাপ -৪
keyword সেকশনটির পাশাপাশি Questions কলামটিও চেক করুন। এবং সেখান থেকেও সাবহেডিং সংগ্রহ করে ফেলুন।
ধাপ – ৫
সাবহেডিং গুলো গুগল শিটে রেখে দিন।
তিনটি পদ্ধতির ব্যাপারে তো জানলেন। এবার আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে কোনটা বেস্ট হবে আপনার জন্য?
আমি ব্যক্তিগতভাবে বলবো আপনাকে অবশ্যই ম্যানুয়্যালি সাব হেডিং বের করার পদ্ধতিটি বেছে নেয়া উচিত। এতে সময় একটু ব্যয় হবে ঠিকই, কিন্তু বেস্ট রেজাল্ট পাবেন আপনি। এছাড়া বাজেট থাকলে Ahrefs বা surfer seo টুল ব্যবহার করে ও কাজ করতে পারেন। পার্সোনালি আমার কাছে দু’টো টুলের মধ্যে Ahrefs কে তুলনামূলক বেশী বেটার মনে হয়। আপনি চাইলে ম্যানুয়েল এবং পেইড টুল দু’টোর কম্বিনেশনে বের করা কিওয়ার্ডগুলো নিয়ে কাজ করতে পারেন।