12 On Page SEO Checklist For Higher Google Rankings In 2021
অন পেইজ এস ই ও নিয়ে যারা জানতে চান, তাদের জন্য আজকের লেখাটিতে আমি কি কি অন পেইজ এস ই ও ফলো করি সেগুলা নিয়ে টুকটাক কথা বলবো। আজকের লেখাটিতে এখন পর্যন্ত ২০২১ সালে অন পেইজ এস ই ও নিয়ে যা যা জানা গিয়েছে এবং যেসকল বিষয় এবং নিয়ম কানুন অ্যাপ্লিকেবল, তা নিয়ে আলোচনা করা হবে।
শুরু করার আগে একটা কথা বলে নিতে চাই। অন পেইজ এস ই ও নিয়ে আমার লেখাটিই একমাত্র গাইড আর আমাকেই ফলো করতে হবে এমন কিছু ভাবার কোনো দরকার নেই। আমি নিজে যেই কাজগুলো করি, করতে পছন্দ করি সেগুলাই আপনাদের জানাবো। তার মানে এই না আমাকে ফলো না করলে আপনার সাইট র্যাঙ্ক করবে না।
দিনশেষে আপনি যেই প্র্যাকটিসগুলো ফলো করতে পছন্দ করেন, সেগুলোই করবেন। আমি শুধু আমার অভিজ্ঞতা এবং প্র্যাকটিস শেয়ার করছি আপনাদের সাথে।
অন পেইজ এস ই ও এর যেসকল ব্যাপার আপনার ম্যান্টেইন করা প্রয়োজন, সেগুলোকে আমি ৩ ভাগে ভাগ করেছি।
প্রথম ভাগ – যা আপনাকে করতেই হবে।
দ্বিতীয় ভাগ – এগুলো করলে ভালো। না করলেও সমস্যা নেই।
তৃতীয় ভাগ – এ কাজগুলো অ্যাডভান্স লেভেলের। সবাই পারবেন না। তবে যারা করতে পারবেন, বেশ ভালো বেনিফিট পাবেন।
এবার চলুন তাহলে বিস্তারিত জেনে নেই –
প্রথম ভাগ – যা আপনাকে করতেই হবে।
1. Keyword এর সার্চ Intent বোঝা –
একজন মানুষ যখন কোন কিওয়ার্ড লিখে সার্চ করে, সে কেনো ঐ কিওয়ার্ড লিখে সার্চ করছে, সে কী জানতে চায় সেটা বোঝা এবং সে অনুযায়ী একটি কন্টেন্ট লিখে পাবলিশ করাকে সার্চ ইন্টেন্ট বলে। সার্চ ইন্টেন্ট বিভিন্ন রকমের হতে পারে। যেমনঃ
Informational Intent –
ধরুন একজন একটি কিওয়ার্ড লিখে সার্চ দিলো ” How Does A Computer Work “. এটা একটা ইনফরমেশনাল সার্চ ইন্টেন্ট। এর মাধ্যমে রিডার ইনফরমেশন পেতে চায়।
Navigational Intent –
কোন স্পেসিফিক ওয়েবসাইট কিংবা ওয়েবপেইজ সার্চ দেয়ার জন্য যে সকল কিওয়ার্ড লিখে সার্চ দেয়া হয়, তাদের নেভিগেশন্যাল ইন্টেন্ট বলে।যেমন – Facebook, Netflix, YouTube ইত্যাদি। এ ইন্টেন্টগুলো আমাদের কাজের জন্য গুরুত্বপূর্ণ না।
Transactional Intent –
একজন রিডার কোন কিছু কেনার উদ্দেশ্যে যখন নির্দিষ্ট কোন কিওয়ার্ড লিখে সার্চ দেয়, তখন তাকে ট্রানজেকশন্যাল ইন্টেন্ট বলে। যেমন -Buy Macbook Pro, Top 5 Macbook Pro ইত্যাদি।
Commercial Investigation Intent –
কোন প্রোডাক্ট বা সার্ভিস কেনার আগে কেউ যখন সে প্রোডাক্ট বা সার্ভিস সম্পর্কে রিসার্চ করার জন্য যেসকল কিওয়ার্ড ব্যবহার করে, তাদের কমার্শিয়াল ইনভেস্টিগেশন ইন্টেন্ট বলে।
যেমন – মনে করুন ওয়েবসাইট বানানোর জন্য আপনার একটি ডোমেইন কেনা দরকার। এখন আপনি siteground কিংবা namecheap এ দু’টোর থেকে যেকোন একটি কোম্পানির ডোমেইন কিনতে চান।
কোন কোম্পানির ডোমেইনটি তুলনামূলক ভালো হবে, সেটা জানার জন্য আপনি গুগলে ” namecheap vs siteground ” লিখে সার্চ দিবেন। মূলত এধরনের কিওয়ার্ডগুলো হলো কমার্শিয়াল ইনভেস্টিগেশন ইন্টেন্ট। এ কিওয়ার্ডগুলো দ্বারা মূলত একটি সার্ভিস কিংবা প্রোডাক্টের ইনফরমেশন কালেক্ট করা হয়।
মূলত আমাদের কাজের জন্য এ চার ধরনের ইন্টেন্ট অ্যাপ্লিকেবল। এ ইন্টেন্টগুলো ঠিকমতো বুঝে কাজ করতে পারলে বেশ ভালো বেনিফিট পাওয়া যাবে।
2. Topical Relevance of the Page/Content
অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগতে পারে – টপিকেল রেলিভেন্স জিনিসটা কী?
একটা উদাহরণ দিয়ে আপনাদের বোঝাই তাহলে ব্যাপারটা বুঝতে সহজ হবে। ধরুন আপনি একটি আর্টিকেল লিখছেন। তো আর্টিকেলটার অবশ্যই একটা টপিক বা টাইটেল থাকবে। তো টপিকেল রেলিভেন্স বলতে বোঝায় ঐ টাইটেল / টপিকের ওপর ভিত্তি করে পরিপূর্ণ একটি লেখা লিখতে আপনার আর্টিকেলে কী কী সাবহেডিং / ইনফর্মেশন থাকা দরকার, কী কী বিষয় নিয়ে কথা বলা দরকার।
মনে করি আপনার আর্টিকেলের টাইটেল – ” How To Feed Dogs. ”
এখন আপনি কীভাবে বুঝবেন, যে আপনার আর্টিকেলের ভেতর কী কী থাকলে কিংবা কীভাবে লিখলে আপনার আর্টিকেলটি একটি পরিপূর্ণ স্বয়ংসম্পূর্ন আর্টিকেল হবে যা কিনা বিভিন্নভাবে rank করার ক্ষেত্রে গুগল পছন্দ করবে?
তো এই যে প্রসেসটা যার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পারবেন কোন কোন সাবহেডিং ব্যবহার করা দরকার, কি কি ইনফর্মেশন থাকলে ভালো হয় এটাকেই বলে টপিকেল রেলিভেন্স বের করা।
বিভিন্ন উপায়ে টপিকেল রেলিভেন্স বের করা যায়। অনেক কিওয়ার্ড রিসার্চ টুল ও আছে এটা বের করার জন্য । তবে টপিকেল রেলিভেন্স বের করার ক্ষেত্রে তিনটি উপায় বেশি প্রচলিত। যথা –
- ম্যানুয়ালি টপিকেল রেলিভেন্স বের করা ।
- Ahrefs দিয়ে টপিকেল রেলিভেন্স বের করা ।
- surfer seo tool দিয়ে টপিকেল রেলিভেন্স বের করা ।
আমি ব্যক্তিগতভাবে বলবো তিনটি পদ্ধতির মধ্যে আপনাকে অবশ্যই ম্যানুয়্যালি সাব হেডিং বের করার পদ্ধতিটি বেছে নেয়া উচিত। এতে সময় একটু ব্যয় হবে ঠিকই, কিন্তু বেস্ট রেজাল্ট পাবেন আপনি।
এছাড়া বাজেট থাকলে Ahrefs বা surfer seo টুল ব্যবহার করে ও কাজ করতে পারেন। পার্সোনালি আমার কাছে দু’টো টুলের মধ্যে Ahrefs কে তুলনামূলক বেশী বেটার মনে হয়। আপনি চাইলে ম্যানুয়েল এবং পেইড টুল দু’টোর কম্বিনেশনে বের করা কিওয়ার্ডগুলো নিয়েও কাজ করতে পারেন।
টপিক্যাল রেলিভেন্স নিয়ে আমি আগে বিস্তারিত একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। তাই এখন আমি বিস্তারিত বলছিনা। আপনি চাইলে আগের পোস্টটা পড়ে দেখতে পারেন।
3. Proper Usage Of Keyword
আপনার লেখাটি গুগলে রেঙ্ক করাতে চাইলে অবশ্যই কিওয়ার্ড স্টাফিং করা থেকে বিরত থাকতে হবে! কিওয়ার্ড স্টাফিং করে কিছুতেই গুগলে রেঙ্ক করা সম্ভব না।আপনার আর্টিকেলটি রেঙ্ক করাতে চাইলে অবশ্যই কিওয়ার্ড সঠিক জায়গায় ব্যবহার করা জানতে হবে। সাধারনত যেসকল জায়গায় কিওয়ার্ড ব্যবহার করা যায় –
১. টাইটেল
২. সাবহেডিং এ ( যদি মনে হয় যে, ন্যাচারালি দেয়া যাবে, তাহলে। নতুবা দেয়ার প্রয়োজন নেই।)
৩. আর্টিকেল শুরুর ১০০ শব্দের মধ্যে যদি কিওয়ার্ড ন্যাচারালি দেয়া যায়,তাহলে দিতে পারেন।
৪. কোন ইমেজ / টেক্সট এ কিওয়ার্ড দিতে পারেন।
টিপ্স – কিওয়ার্ড ব্যবহার করার সময় একটা জিনিস অবশ্যই খেয়াল রাখবেন, জিনিসটা যেনো আর্টিফিশিয়াল না দেখায়। কিওয়ার্ড প্লেসমেন্ট অবশ্যই ন্যাচেরাল হতে হবে।নাহলে আপনার পোস্ট / আর্টিকেলটির ইউজার এক্সপেরিয়েন্স ভালো হবে না।
4. Top-Notch Content
একটি ওয়েবসাইটের জন্য ইউনিক এবং সেরা কোয়ালিটির কন্টেন্ট লেখার ক্ষেত্রে কিছু কিছু বৈশিষ্ট্য অবশ্যই মেনে চলতে হবে। যেমন –
১. কন্টেন্টটি সহজবোধ্য হতে হবে।
২. কন্টেন্টের কোন প্যারা যেনো বেশি বড় না হয়। ছোট ছোট প্যারায় ভাগ করে কন্টেন্টটি লিখবেন। কোন প্যারা দুই/ তিন লাইনের বেশি বড় করার দরকার নেই। এভাবে লিখলে কন্টেন্টটি পড়ে আরাম পাওয়া যাবে এবং রিডেব্যালিটিও বেড়ে যাবে।
৩. কন্টেন্টে প্রোপারলি সাবহেডি, নাম্বারিং, বুলেট পয়েন্ট ইত্যাদি ব্যবহার করবেন। এছাড়াও কন্টেন্টটিকে সুন্দরভাবে রিপ্রেজেন্ট করার জন্য যতকিছু করা যায়, সব ব্যবহার করবেন। এমনভাবে কন্টেন্টটি সাজাবেন, যেনো দেখলেই রিডারের কন্টেন্টটি পড়তে ইচ্ছে করে।
৪. কপি-পেস্ট কন্টেন্টকে না বলুন এবং ইউনিক কন্টেন্ট লেখা শুরু করুন। নতুবা ক্ষতি আপনারই হবে। আর প্লাগারিজম চেক করার জন্য ফ্রি টুল ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। সবচেয়ে ভালো হয় যদি আপনি কপিস্কেপ দিয়ে প্লাগারিজম চেক করেন। এটা আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে বহুল প্রচলিত এবং দামও তুলনামূলক কম।
৫. ক্যাচি এবং সুন্দর হেডলাইন লিখুন। একটি সুন্দর এবং ক্যাচি হেডলাইন লেখার ওপর আপনার সফলতা অনেকখানি ডিপেন্ড করে।শুধুমাত্র একটি ভালো হেডলাইন লিখতে পারার দক্ষতার কারনে আপনার কন্টেন্ট এর CTR বেড়ে যেতে পারে ,গুগলে সহজে রেঙ্ক করে ফেলতে পারে এবং অধিক পরিমান ট্রাফিকও পাওয়া সম্ভব। নিয়মিত চর্চার মাধ্যমে আপনি ভালো হেডলাইন লেখার স্কিলটি আয়ত্ত করতে পারবেন।
৬. কন্টেন্টটি অবশ্যই ” Above The Fold ” এ রাখতে হবে। এবং ” Above The Fold ” এ ফুল স্ক্রীন ইমেজ না রাখাই ভালো৷ খেয়াল রাখবেন আপনার কন্টেন্ট এর পেইজটি লোড হবার পর যেনো কন্টেন্টটি ভিজিবল থাকে।
যদি ইউজারকে স্ক্রল করে নিচে নেমে কন্টেন্ট পড়া লাগে, তাহলে সেটা কোনো ভালো এক্সপেরিয়েন্স দেয়না।
বড় কোন ইমেজ স্ক্রিনজুড়ে থাকলে এটা আপনার এস ই ও এর জন্য ক্ষতিকর হতে পারে । তবে আপনি কন্টেন্ট এর জন্য ফিচারড ইমেজ অবশ্যই ব্যবহার করতে পারবেন।
5. Site Speed
খেয়াল রাখবেন আপনার সাইটের স্পিড যেনো ভালো হয় এবং লোড হতে সময় কম লাগে। একটি পেইজ লোড হতে প্রেফারেবল টাইম হলো তিন সেকেন্ডের কম সময় লাগতে হবে।
সাইটের স্পিড চেক করার জন্য অনেকেই গুগল পেইজ স্পিড ইনসাইড নামের টুলটি ব্যবহার করে থাকে। কিন্তু টুলটির একটি সমস্যা আছে। সেটা হলো যে এটা পেইজের অ্যাকচুয়েল স্পিডটি বের করতে পারে না।
শুধু পেইজে কোন প্রব্লেমের কারনে স্পিড কমে গেলে সেটা বের করে। পেইজের অ্যাকচুয়াল স্পিড বের করতে চাইলে Gtmetrix.com টুলটি ব্যবহার করতে পারেন। এ টুলটি ব্যবহার করে আপনি ফ্রিতেই আপনার সাইটের স্পিড জানতে পারবেন।
দ্বিতীয় ভাগ – এগুলো করলে ভালো। না করলেও সমস্যা নেই।
6. Short URL
শর্ট ইউ আর এল ব্যবহার করুন। চেষ্টা করবেন আপনার পোস্টের url টি যেনো ছোট হয়। আর আপনার মেইন কিওয়ার্ডটি url এ রাখবেন। যেমন – ধরুন আপনার পোস্ট টাইটেল – “Best Telescopes To See Moon In The Winter 2021”
তাহলে আপনার URL টি হতে পারে এরকম – ‘ site.com/best-telescopes-to-see-moon’
7. Alt Text
ইমেজে Alt Texts ব্যবহার করুন। Alt texts হলো মূলত ইমেজটা কী, সে সম্পর্কে ব্যাখ্যা করা।
8. Outbound Link
হাই অথোরিটির আউটবাউন্ড লিঙ্ক করুন। আউটবাউন্ড লিঙ্ক হলো মূলত আপনার সাইট থেকে অন্য আর একজনের সাইটে লিঙ্ক করা।
যে সাইটটিতে লিঙ্ক করবেন,খেয়াল রাখবেন, সে সাইটটি যেনো ভালো কোয়ালিটি সম্পন্ন এবং হাইলি অথোরেটিভ সাইট হয়। বাজে এবং লো কোয়ালিটির সাইট থেকে দূরে থাকুন। কারন আপনি যখন ভালো কোয়ালিটির সাইটে আউটবাউন্ড লিঙ্ক করবেন, তখন গুগল বুঝতে পারবে আপনার সাইটটি ভালো।
আপনার সাইটটি রেঙ্ক করার ক্ষেত্রে ব্যাপারটি অনেক হেল্পফুল হবে। বাট তার মানি এই না যে আপনি একের পর এক সাইটে ইচ্ছেমতো আউটবাউন্ড লিঙ্ক করে যাবেন। ন্যাচেরালি এক দুই জায়গায় করলেই যথেষ্ট। জোর করে কিংবা আর্টিফিশিয়ালভাবে লিঙ্ক করতে গেলে ক্ষতি আপনারই হবে।
তৃতীয় ভাগ -অ্যাডভান্স লেভেলের এস ই ও টিপ্স
এ টিপ্সগুলো অ্যাডভান্স লেভেলের। সবাই হয়তো করতে পারবেন না।।বাট যারা করতে পারবেন, তারা অনেক ভালো বেনিফিট পাবেন।
9. Use Original Images-
সাধারনত আমরা নিজেদের ওয়েবসাইটের পোস্টে ফিচারড ইমেজ কিংবা অন্যান্য ছবি ব্যবহার করার জন্য গুগল কিংবা স্টক ফটো সাইট থেকে ইমেজ সংগ্রহ করি কিংবা কিনে নেই। যেটা খুবই স্বাভাবিক। বাট আপনি যদি নেক্সট লেভেলে যেতে চান, তাহলে আপনাকে নিজের অরিজিনাল ছবি ব্যবহার করতে হবে।
এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, নিজের ছবি কোথায় পাবো?
উত্তর খুবই সহজ। আপনি যে নিশ নিয়ে কাজ করছেন, সেটা যদি আপনি নিজে ব্যবহার কিংবা এক্সপেরিয়েন্স করেন, তাহলে সে নিশের ছবি নিজে ক্লিক করতে পারবেন।
যেমন – আমার একটি মাছের সাইট আছে। যেখানে আমি চিংড়ি মাছ, বেটা ফিশ নিয়ে কাজ করি। আমি যখন সাইটটা স্টার্ট করি, তখন একটা অ্যাকুরিয়াম কিনে মাছগুলো পোষা শুরু করি। এরপর থেকে আমার কাজ খুব সহজ হয়ে যায়। আমার যখনি ছবির প্রয়োজন হয়, আমি আমার ক্যামেরা নিয়ে অ্যাকুরিয়াম আর মাছের ছবি তুলে ফেলি এবং সাইটে ব্যবহার করি।
যার ফলে খুব সহজেই আমি ইউনিক আর অরিজিনাল ছবি পেয়ে যাই। পুরো পৃথিবীতে আমি ছাড়া আর কারও কাছেই এ ছবিগুলো নেই।ফলে আমার আর্টিকেলের গ্রহনযোগ্যতাও অনেকগুণ বেড়ে যায়৷ আমি আমার ছবিগুলোর দ্বারা আর্টিকেলে একটি ইউনিক ভ্যালু অ্যাড করতে পারি।
পাশাপাশি মূলত এ ছবিগুলোর কারনেই আমার আর্টিকেলটি আরও বেশী ইউনিক হয়ে যায়। এবং ভিজিটররাও ভরসা করে বেশি। তখন কোন প্রোডাক্ট রেকমেন্ড করলে সেটা কেনার পসিবিলিটিও বেড়ে যায়। আশা করি অরিজিনাল ইমেজ ব্যবহার করার সুবিধা কী, আপনারা সেটা বুঝে গিয়েছেন।
বাট সবাই এ টিপ্সটা কাজে লাগাতে পারবে না।কারন খুব কম মানুষই আছে, যারা কিনা তাদের বাছাইকৃত নিশ নিয়ে বাস্তব জীবনে কাজ করে।
10. Properly do internal link –
এটা তেমন একটা অ্যাডভান্স লেভেলের টিপ্স না, তবে ইন্টার্নাল লিঙ্ক করার জন্য খুব ভালো একটি উপায় বলবো আজ আপনাদের। যদি আপনার সাইটে যাস্ট ২০/৩০ টা আর্টিকেল থাকে, তাহলে আপনি নরমালি ইন্টার্নাল লিঙ্ক করতে পারবেন। বাট যদি আপনার ১০০ + আর্টিকেল থাকে তাহলে আপনি কীভাবে ইন্টার্রনাল লিঙ্ক করবেন?ব্যাপারটা খুব ঝামেলাদায়ক মনে হচ্ছে, তাই না?
তবে সুখের বিষয় হলো আজ আমি আপনাদের একটি টুলের নাম বলবো, যেটা দিয়ে আপনি খুব সহজেই অনেক অনেক পেইজে ঝামেলাবিহীনভাবে ইন্টার্নাল লিঙ্ক করতে পারবেন। টুলটির নাম Link Whisper. এটা একটা পেইড টুল।আমার মতে যাদের খুব বড় সাইট আছে, তাদের জন্য এটা ইউজ করা খুবই ভালো হবে।
11. Write content that is optimized for featured snippet –
কোন কিওয়ার্ড লিখে সার্চ দিলে গুগলের একদম টপ পজিশনে যে আর্টিকেলের টুকরো অংশবিশেষ ফিচারড হয়, মূলত তাকেই ফিচারড স্নিপেট বলে। এটাকে গুগলের জিরো পজিশনও বলা হয়। এটা মূলত কোন প্রশ্নের উত্তর হিসেবে থাকে।
যেমন ধরুন – আমার কিওয়ার্ড হলো ” what is the best temperature for a freezer? ”
এখন আমি এই কিওয়ার্ডটা লিখে গুগলে সার্চ দিলে এরকম একটা পেইজ আসবে। বক্সের ভেতর মার্ক করা যে অংশটা দেখতে পাচ্ছেন, মূলত এটাকেই ফিচারড স্নিপেট বলে।
আপনার কন্টেন্টটি যখন ফিচারড স্নিপেটের জন্য অপ্টিমাইজ করে লিখবেন, তখন নানান ধরনের সুবিধা পাবেন। যেমন –
১.আপনার কম্পিটিটরের থেকে কয়েকগুণ বেশি এগিয়ে থাকবেন।
২.গুগলের প্রথম পেইজে থাকবেন।
৩.প্রচুর পরিমানে ট্রাফিক পাবেন।
তাই আপনার কন্টেন্টি এমনভাবে লেখার চেষ্টা করবেন যেনো এটা ফিচারড স্নিপেট পায়।
12. Try to incorporate Infographic in the post –
একটি কন্টেন্টে ভিন্নমাত্রা যোগ করার জন্য ইনফোগ্রাফিক এর ভূমিকা অপরিসীম। কন্টেন্ট এ ইনফোগ্রাফিক যোগ করলে সেটি দেখতে অনেকগুন বেশি আকর্ষণীয় হয়ে যায় এবং রিডাররাও পড়ে আনন্দ পায়।
তাছাড়া এটা পোস্টে ইউনিক ছবি এড করার মতোই সমান ভূমিকা রাখে। পাশাপাশি ইনফোগ্রাফিক্স এড করলে ব্যাকলিঙ্ক পাবার পসিবিলিটিও বেড়ে যায় কয়েকগুন। তাই সম্ভব হলে আপনার আর্টিকেলের সাথে ইনফোগ্রাফিক্স জুড়ে দিন, দেখবেন অনেক উপকার পাবেন।