image optimization

অন পেইজ এস ই ও টিউটোরিয়াল (পার্ট ৫)- ইমেজ অপটিমাইজেশন

এই ব্যপারে কোনো সন্দেহ নেই যে, ইমেজ একটা কন্টেন্টের ইউজার এক্সপেরিয়েন্স অনেকগুণে বাড়িয়ে দেয়। ইমেজ ছাড়া ভিজিটররা আপনার কন্টেন্ট পড়ে তেমন কোনো মজা পাবেনা, আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। তাই, কন্টেন্টে একটা হলেও এপ্রপ্রিয়েট ইমেজ দেওয়া উচিত।

কিন্তু ইমেজ দিলেই হবেনা, সেটা অপটিমাইজেশনের ব্যাপার আছে। একটা ভালো অপটিমাইজড ইমেজ গুগুলে সহজেই র‍্যাংক করতে পারে, সেখান থেকে আপনি ট্রাফিক পেতে পারেন। তাই আমাদের জানা উচিত কিভাবে একটা ইমেজ ভালোভাবে অপটিমাইজ করা যায়।

এই ব্যাপারেই এখন কথা বলবো। ইমেজ অপটিমাইজেশনের কয়েকটি টিপস আজকের আর্টিকেলে শেয়ার করবো।

তো চলুন শুরু করা যাক।

ইমেজ অপটিমাইজেশন বলতে কি বোঝায়?

ইমেজ অপটিমাইজেশন বলতে মূলত বোঝায়, কোয়ালিটি ঠিক রেখে আপনার ইমেজের সাইত যতদূর কমানো সম্ভব ততটুক কমানো, যাতে পেজের লোডিং স্পিড কমে না যায়। এছাড়াও, ইমেজ অপটিমাইজেশন বলতে বোঝায় সেটাকে গুগুলে র‍্যাংকের জন্য প্রস্তুত করা, যেমন অল্ট ট্যাগ লেখা।

চলুন ইমেজ অপটিমাইজ করার কিছু টিপস দেখে নেইঃ

১। ফাইল নেমঃ

আমরা অনেকে ইমেজ আপলোডের সময় ফাইল নেমের দিকে খেয়াল রাখিনা। এটা ঠিক না। ফাইল নেমে এপ্রপ্রিয়েট নাম ব্যবহার করলে সেটা র‍্যাংকিং এ ভালো প্রভাব ফেলে। যেমন ধরেন, আমার আর্টিকেল link building এই কিওয়ার্ডকে টার্গেট করে লেখা।

এখন যদি আমার ইমেজ এর ফাইল নেম এমন হয় “asdaff.jpg” তাহলে এটা থেকে বোঝার কোনো উপায় নাই ইমেজটা কি নিয়ে। এটার ফাইল নেম তাই চেঞ্জ করে “link building.jpg” এমন দিতে হবে। এতে ইমেজটা আপনার কিওয়ার্ডের জন্য অনেক রেলেভেন্সি পাবে গুগুলের কাছে।

২। অল্ট ট্যাগঃ

ইমেজ অপটিমাইজেশনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারটা হলো অল্ট ট্যাগ। অল্ট ট্যাগ ব্যাপারটা মূলত সার্চ ইঞ্জিনের জন্য, আমাদের জন্য না। নিচের ছবিটার দিকে খেয়াল করেনঃ

apple writers motion

আমরা সবাই বুঝতেসি এটা একটা আপেলের ছবি। কিন্তু সার্চ ইঞ্জিনগুলো, যেমন গুগুল কিভাবে বুঝবে এটা একটা আপেলের ছবি? এখানে অল্ট ট্যাগার মাহাত্ম্য ! অল্ট ট্যাগ মূলত সার্চ ইঞ্জিনকে বোঝায় ছবিটা কি নিয়ে। যেমন আমি এই ছবি তে অল্ট ট্যাগ ব্যবহার করেছি apple যাতে সার্চ ইঞ্জিন বুঝে এটা একটা আপেলের ছবি।

যারা ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করেন, তারা দেখবেন যে, ছবি আপলোড করার সময় যে Window টা ওপেন হয়, সেখানেই প্রত্যেকটা ছবির অল্ট ট্যাগ দেওয়ার অপশন আছে। এছাড়াও একটা ছবি সিলেক্ট করে edit এ গিয়ে আপনি সেটার অল্ট ট্যাগ দিতে পারবেন।

একটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যপার, আপনার কন্টেন্ট এ যদি একাধিক ইমেজ থাকে, তাহলে সব ছবির জন্য একই অল্ট ট্যাগ ব্যবহার করবেন না। ধরেন আপনার মেইন টার্গেট কিওয়ার্ড link building । তাহলে একটা ছবির অল্ট ট্যাগ link building দিতে পারেন, বাকি গুলার ক্ষেত্রে link building ব্যবহার না করে সেটার LSI কিওয়ার্ড ব্যবহার করবেন।

৩। ইমেজ সাইজ কমানোঃ

image size reducing writers motion

চলেন কয়েকটা ফ্যাক্ট শেয়ার করি আপনাদের সাথেঃ

  • একটা সাইট যদি লোড হতে ৩ সেকেন্ডের বেশি সময় নেয়, তাহলে প্রায় ৫০% ভিজিটর চলে যাবে সাইট লোড হবার আগেই।
  • আমাজন দেখেছে যে, তাদের সাইট যদি লোড হতে এক সেকেন্ড দেরি করে, তাহলে সেটার জন্য বছরে প্রায় ১.৬ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হবে।
  • গুগুলের ২০০টা র‍্যাংকিং ফ্যাক্টরের মধ্যে পেজ লোডিং স্পিড অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ।

আশা করি আপনারা বুঝতে পারছেন সাইট তাড়াতাড়ি লোড হওয়া কতটা গুরুত্বপূর্ন ! একটা সাইটের লোডিং স্পিড কমানোর জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী হলো ভারী ইমেজ ফাইল। তাই, ইমেজ ফাইল যতটা সম্ভব কমাতে হবে।

আমি ইমেজের সাইজ কমানোর জন্য সবসময় Paint ব্যবহার করি। এতে সময় কম লাগে, করাও সহজ।

ধরেন আমি একটা ইমেজ ডাউনলোড করলাম নেট থেকে। এরপর আমি ইমেজে রাইট ক্লিক করে open with> paint এ যাই। এরপর, আপনারা দেখবেন Paint এ একটা অপশন আছে Resize এর । আমি ওটায় ক্লিক করে ইমেজ এর ডিমেনশন কমাতে থাকি, যতক্ষন না এটার সাইজ ৫০-৬০ kb এর মতো হয়।

এরপর আমি ইমেজটা ওয়ার্ডপ্রেসে আপলোড করে আমার কন্টন্টে ব্যবহার করি।

৪। প্লাগইন ব্যবহারঃ

আমি সবসময় একটা ইমেজ অপটিমাইজেশনের প্লাগইন ব্যবহার করি আমার সাইটগুলোয়। ইমেজের সাইজ Paint দিয়ে কমালেও দেখা যায় যে, একটা ভালো প্লাগইন ইউজ করে সেটার সাইজ আরো কমানো সম্ভব। আমি Smush প্লাগইনটা ব্যবহার করে ফালো রেজাল্ট পেয়েছি। আপনারাও করে দেখতে পারেন!

৫। ইমেজ ফাইল টাইপঃ

আমরা জানি, ইমেজ ফাইল অনেক টাইপের হয়ে থাকে, যেমন JPEG, JPG, GIF, PNG ইত্যাদি। সবগুলোই সাইটে ইউজ করা যায়, কিন্তু দেখা গেছে যে JPEG বা JPG টাইপ সবচেয়ে ভালো কাজ করে, কেননা এতে ইমেজের সাইজ অনেক কমালেও কোয়ালিটি মোটামোটি ঠিক থাকে।

তাই আমি সবসময় রিকমেন্ড করবো JPEG/JPG টাইপ ইমেজ ফাইল ব্যবহার করতে।

আপনাদের সুবিধার জন্য নিচে বিভিন্ন ফাইল টাইপের ইমেজের Comparison দেখালামঃ

image size comparison

তো এই ছিলো ইমেজ অপটিমাইজেশনের জন্য কিছু টিপস। আর্টিকেলটা ভালো লেগে থাকলে শেয়ার করতে পারেন, খুশি হবো 😛

আমি  অন পেইজ এস ই ও টিউটোরিয়াল একটা সিরিজ আকারে লিখছি এই সাইটে। একেকটা পোস্টে একেকটা অন পেইজ এস ই ও ফ্যাক্টর নিয়ে কথা বলছি। আপনি যদি পরবর্তী পার্টগুলো সম্পর্কে সবার আগে জানতে চান, তাহলে এখানে ক্লিক কড়ে আমাদের মেসেঞ্জার লিস্টে জয়েন করে ফেলতে পারেন।

Similar Posts