১৫ টি SEO Tips আপনার ব্লগের জন্য!
যারা ব্লগার আছেন তাদের এই পনেরোটা SEO Tips সম্পর্কে জানা উচিত। তাহলে বেশি কথা না বাড়িয়ে চলুন জেনে নেয়া যাক 15 টি Tips কি কি হতে পারে:
1.Keyword placement :
আমি যখন 2013 সালে রাইটার হিসেবে আমার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরু করি, তখন আমার ক্লায়েন্টরা আমাকে এরকম রিকোয়ারমেন্ট দিত যে- একটা প্যারাগ্রাফের মধ্যে অন্তত তিনটা কী-ওয়ার্ড রাখা লাগবে অথবা ১০০০ ওয়ার্ডের একটা আর্টিকেলে 30 টার মত কীওয়ার্ড রাখা লাগবে, কী-ওয়ার্ড গুলো বোল্ড করে দিতে— হবে এই ধরনের শর্তাদি দিয়ে দিত।
এখন আর কিওয়ার্ড নিয়ে এত মাথা ঘামানোর কোন প্রয়োজন নেই। কারণ আমরা কীওয়ার্ডটাকে আগে যেভাবে ট্রিট করতাম এখন আর সেভাবে ট্রিট করা হয় না, আর করার প্রয়োজন ও হয় না।
আর এক্সাক্ট কী-ওয়ার্ডটাই যে থাকতে হবে এবং প্রতিটা প্যারাগ্রাফে থাকতে হবে—এমন কোনো কথা নেই। এক্ষেত্রে আমি যেটা করি যে, কী-ওয়ার্ডটাকে হয়তো টাইটেলে রাখার চেষ্টা করি বা কোনো একটা প্যারাগ্রাফে রাখার ট্রাই করি অথবা Subheading এ রাখার চেষ্টা করি। এছাড়া কীওয়ার্ডটাকে অত বেশি হাইলাইট করার কোন প্রয়োজন নেই।
আর কীওয়ার্ডটা যেখানে ব্যবহার করি, সেখানে এক্সাক্টলি ওই কীওয়ার্ডটাই যে ব্যবহার করি, তা-না। ধরুন, আমার কীওয়ার্ড হলো ” SEO 2023 Tips “। এখন আমার আর্টিকেলে কীওয়ার্ড হিসেবে যে এক্সাক্টলি এটাই ব্যবহার করতে হবে তা না। এখন এখানে যদি আমি আমার কীওয়ার্ডের শব্দ গুলো একটু উলটপালট করে দেই, তাহলেও কিন্তু অর্থ একই থাকবে— যেটা গুগল ও বোঝে।
এজন্য কীওয়ার্ড লেখার সময় আপনি অর্থ একই রেখে যেকোনো ধরনের শব্দ ব্যবহার করতে পারেন। তাতে কোন সমস্যা হবে না।
2.Don’t Worry About LSI:
LSI অর্থাৎ সেকেন্ডারি কীওয়ার্ড নিয়ে কোনো চিন্তা করার দরকার নেই। একটা সময় ছিলো, যখন গুগলকে বোঝাতে হতো যে- আমার আর্টিকেলটা মূলত কি নিয়ে লেখা।
যেমন আমার এই ” 15 SEO Tips ” এর আর্টিকেলটা গুগলকে বোঝানোর জন্য কিছু সেকেন্ডারি কীওয়ার্ড ব্যবহার করতে হতো। যেমন- On Page SEO, Off Page SEO ইত্যাদি, যাতে গুগল বুঝতে পারত যে আমার এই আর্টিকেলটা SEO নিয়ে লেখা।
এখন আর এই ধরনের LSI দেয়ার দরকার নেই। আপনি যদি এমন LSI না-ও দেন তা-ও গুগল আপনাকে বিভিন্ন Keyword এর জন্য আপনার আর্টিকেলটা র্যাংক করাবে। এমনও হতে পারে যে, এমন অনেক কীওয়ার্ডের জন্য আপনার আর্টিকেল র্যাংক করিয়েছে, যেসব কীওয়ার্ড আপনি নিজেও টার্গেট করেননি।
আসলেই এটা ঘটছে কি-না তা জানার জন্য,
- আপনি প্রথমে Search Console এ চলে যান।
- এর পরে Search Performance এ যান।
- এরপর ডেটটা ছয় মাস বা এক বছরের জন্য এক্সটেন্ড করুন।
তাহলেই দেখবেন যে, আপনার এমন এমন আর্টিকেল আছে যেগুলো এমন স্পেসিফিক কিছু কীওয়ার্ডের জন্য র্যাংক করেছে — যে কীওয়ার্ড গুলো আপনি টার্গেটই করেননি।
কিন্তু এটা কেন হলো?
কারণ গুগল জানে যে, আপনার আর্টিকেলটা এবং ওইসব কীওয়ার্ড যার জন্য আপনার আর্টিকেলটা র্যাংক করেছে তার মধ্যে খুব একটা তফাৎ নেই।
এটা আসলে গুগল নিজে খুব ভালো করেই বোঝে যে কোন কোন কীওয়ার্ডের জন্য আপনারা আর্টিকেলটা র্যাংক করাতে হবে। সেক্ষেত্রে আপনার নিজস্ব কোন কষ্ট করতে হবে না। যে যে কিওয়ার্ডগুলো আপনি টার্গেট করবেন সেগুলো জোর করে আর্টিকেলে ঢুকিয়ে দিতে হবে না। গুগল নিজেই খুঁজে খুঁজে আপনার টার্গেটেড কীওয়ার্ড গুলো বের করবে এবং পাশাপাশি আপনার আর্টিকেলটাকে টার্গেটের বাইরের কীওয়ার্ডের জন্য ও র্যাংক করাবে।
তাই এজন্য আর LSI নিয়ে কোন চিন্তা করার দরকার নেই। গুগল আপনার আর্টিকেলের সম্পূর্ণ দায়িত্বটা নিয়ে নেবে, শুধু আপনি একটা কীওয়ার্ড ঠিক রেখে ন্যাচারালি আর্টিকেলটা লিখবেন।
3.Unique Custom Image:
ইউনিক কাস্টম ইমেজ নিয়ে ইউটিউব চ্যানেলে অনেক আলোচনা করা হয়েছে। বিস্তারিত জানতে দেখে ফেলতে পারেন ভিডিওটি — যেখানে বিস্তারিত বলা হয়েছে কাস্টম ইমেজ নিয়ে।
মোট কথা হলো, কাস্টম ইমেজ ব্যবহার করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে ইমেজ খুব ভালো একটা রোল প্লে করে। আপনি যদি কাস্টম, ইউনিক এবং নিজের তোলা অথেন্টিক ছবি ব্যবহার করতে পারেন — সেটা অন্য আরেকটা stock image এর থেকে বেশি ভালো পারফর্ম করবে, বেটার ভ্যালু দিবে এবং আপনার আর্টিকেলটা র্যাংক করার সম্ভাবনা আরও বেশি বাড়িয়ে দেবে।
ইউনেক ইমেজ বলতে কী বোঝানো হতে পারে?
ধরুন, আপনার যদি কোন Beekeeping নিয়ে Site থাকে, আপনি যদি নিজে Beekeeping করেন এবং সেটার ছবি নিজে তোলেন— ঐ ছবিটার দাম অনেক বেশি হবে, গুগল আপনার অথেন্টিক ছবিটার ভ্যালু বেশি দেবে।
যদি আপনি নিজের Beekeeper না হয়ে থাকেন, যদি আপনার Beekeeper কোনো ফ্রেন্ড ও থাকে, তাহলে তাকে ছবি পাঠাতে বলতে পারেন। অথবা ফেসবুক,
ইনস্টাগ্রাম এসব সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করতে পারেন।
যদি এমন কেউ থেকে থাকে তাহলে তাদের বলবেন, অথেনটিক কিছু ছবি যাতে আপনাকে দেয়। তাহলে আপনি সেই ছবি গুলো আপনার আর্টিকেলে ব্যবহার করতে পারেন এবং তাদেরকে বলে দেবেন যে, আপনি তাদের প্রত্যেকের ক্রেডিট দেবেন। যেসব আর্টিকেলে তাদের ছবি ব্যবহার করা হবে, তাদের নাম সহ পোস্ট করা হবে।
এভাবে কনভিন্স করে যদি আপনি তাদের কাছ থেকে হলেও ছবি গুলো নিতে পারেন, তাহলে অনেক ভালো হবে। কারণ ওরা যে ছবি গুলো দেবে বা আপনি নিজে যে ছবি গুলো তুলবেন এই ছবিগুলো কিন্তু কোন প্লাটফর্মেই নেই। সুতরাং আপনার কম্পিটিটরদের থেকে আপনি অনেকটা এগিয়ে থাকবেন।
4.Full Topical Relevant :
আমাদের রাইটার্স মোশনে যখন কোনো আর্টিকেল অর্ডার করা হয় অথবা আমরা যখন কোনো আর্টিকেল লিখি তখন এটা এনসিওর করা হয় যেন আর্টিকেলের টপিকটা Fully Relevancy পায়।
যেমন ধরেন, আমার যদি একটা কীওয়ার্ড থাকে যে, How to Start A Bee Farm—, তাহলে এই কীওয়ার্ডটা লিখে প্রথমে গুগলে সার্চ করবো এবং দেখব যে, People Also Ask Question গুলোতে মানুষরা কি কি কোশ্চেন করে থাকে।
এই কোশ্চেন গুলোর মধ্যে যেগুলো এই কীওয়ার্ডের সাথে রিলেটেড, সেই কোশ্চেন গুলোকে আমরা সাবহেডিং হিসেবে রাখার চেষ্টা করব। সাবহেডিং হিসেবে না রাখতে পারলেও যেকোনো ভাবেই হোক, আমি চেষ্টা করব যে — এই কোশ্চেন গুলো যাতে আমার আর্টিকেলে থাকে এবং এর উত্তর গুলো আর্টিকেলে প্রোপারলি দিতে পারি।
এরপরে গুগলের সার্চ রেজাল্টের আরেকটু নিচে গেলে গুগল কিছু সাজেসটেড কোশ্চেন দিয়ে থাকে, এই কোশ্চেন গুলোও আমি আমার আর্টিকেলে রাখার চেষ্টা করবে যাতে আমার আর্টিকেলটা Fully Relevancy পায়।
এছাড়াও আপনি আপনার Competitors দের কাছে যেতে পারেন, দেখতে পারেন যে তারা কি কি জিনিস যুক্ত করেছে। যদি এমন কোনো ইন্টারেস্টিং টপিক পান যেটা এড করলে আপনার আর্টিকেলটাও Fully Relevancy পাবে, তাহলে সেটাও যুক্ত করতে পারেন।
যদি আপনি রাইটার্স মোশন থেকে আর্টিকেল অর্ডার করেন, তাহলেও কিন্তু আমরা এই ব্যাপারগুলো মেইনটেইন করি আপনাকে আর্টিকেল প্রডিউস করব।
5.FAQ Schema:
বর্তমানে FAQ Schema খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা ব্যাপার। এটা ব্যবহার করলে গুগল আপনাকে একটা রিচ সার্চ রেজাল্ট দিবে।
আপনার আর্টিকেলটা যদি র্যাংক করে, সার্চ রেজাল্ট এর শুরুতে আসে এবং পাশাপাশি আপনি যদি FAQ Schema ব্যবহার করে থাকেন তাহলে google আপনার টাইটেলটা কে র্যাংক করানোর পাশাপাশি FAQ গুলোকেও ছোট ছোট বুলেট পয়েন্ট আকারে দিয়ে দেবে— যাতে ভিজিটররা এগুলোতে ক্লিক করতে পারে।
আপনি যে কোনো প্লাগইন ব্যবহার করে FAQ Schema সেট করতে পারেন, যেমন এর জন্য রয়েছে Rank Math।
প্লাগইন যদি ব্যবহার না-ও করেন, এমন অনেক ওয়েবসাইট আছে যাদেরকে আপনার কোশ্চেন এবং অ্যান্সার গুলো দিলে ওরা আপনাকে এটা সেট করে দিবে।
অর্থাৎ আপনি প্লাগইন ব্যবহার না করেও এই কাজটা করতে পারবেন, এজন্য আপনাকে ইউটিউব/ গুগল ঘাটাঘাটি করতে হবে। তবে সবচাইতে সহজ উপায় হলো প্লাগিন ব্যবহার করা।
6.Speed & Core Web Vitals:
স্পিড এবং কোর ওয়েব ভাইটালস এর দিকে নজর দিতে হলে আপনাকে কিছু কাজ করতে হবে। যেমন,
- একটা ভালো হোস্টিং ব্যবহার করতে হবে। যেটার স্পিড ভালো, পারফরম্যান্স ভালো, কাস্টমার সার্ভিস ভালো— এমন একটা হোস্টিং ব্যবহার করতে হবে।
- একটা লাইভ থিম ইউজ করবেন। লাইভ থিমের মধ্যে ভালো হতে পারে- Astra, Popcorn, Kedence ইত্যাদি। এর মধ্যে কিছু কিছু থিম হচ্ছে পেইড এবং কিছু কিছু থিম হচ্ছে পেইড।
ফ্রি থিমই ব্যবহার করতে পারেন, যা আপনার সাইটটাকে একটা প্রফেশনাল লুক দেবে এবং স্পিডের কোন ঝামেলা করবে না।
এছাড়াও আমি একটা প্লাগইন ইউজ করি যেটা হলো, WP Rocket । এটা একটা পেইড প্লাগইন। যেটা ব্যবহার করলে স্পিডের কোন ঝামেলা হয় না, অনেক ভালো স্পিড পাওয়া যায়। কারণ এটা সব ধরনের অপটিমাইজেশনের কাজ করে দেয়।
এছাড়াও আপনি ভালো একটা ইমেজ অপটিমাইজেশনের জন্য প্লাগইন ব্যবহার করতে পারেন। যেমন Shortpixel, E optimizer ইত্যাদি।
যে ইমেজ অপটিমাইজারই ব্যবহার করেন না কেন, একটা ব্যাপার খেয়াল রাখবেন যে – ওই ইমেজ অপটিমাইজার যেন আপনার ছবিটা কে Webp আকারে এনে দেয়।
webp হলো একটা নতুন ফরমেট। যেমন আমরা image এর বিভিন্ন ধরনের ফরমেট দেখেছি যে – jpg. png. ইত্যাদি। এরকম একটা ফরম্যাট হলো webp। যেটা গুগলের নতুন একটা ফরমেট, নতুন লঞ্চ হয়েছে নতুন ইমেজ এর জন্য।
এই ফর্মেটটা ব্যবহার করলে আপনার ছবিটা খুব তাড়াতাড়ি, খুব কম কষ্টে, খুব কম জায়গা নিয়েই শো করতে পারবে।
স্পিডের ব্যাপারে আরেকটা ব্যাপার হলো, যদি আপনি Ad ইউজ করেন তাহলে ন্যাচারালি আপনার সাইটের স্পিড একটু কমবেই। তবে এটা নিয়ে বেশি চিন্তা করার কোনো দরকার নেই কারন বর্তমানে অ্যাড নেটওয়ার্কগুলো লেজি ডট টেকনোলজি ব্যবহার করে। যে কারণে ওদের এডটা একটু পরে লোড হয় এবং আপনার কন্টেনটা আগে শো করে।
7.Backlink Grabbing Into On Post :
আপনার আর্টিকেল এমন কিছু একটা থাকা লাগবে, যেটা ন্যাচারালি ব্যাকলিংক আনবে। ব্যাকলিংক খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা ব্যাপার কোনো একটা আর্টিকেল র্যাংক করানোর জন্য।
তবে যে জিনিসটা নিয়ে সমস্যা, সেটা হল ব্যাকলিঙ্ক বিল্ড করার ব্যাপারে সময় নষ্ট করা। একটা গেস্ট পোষ্টের জন্য অনেক অনেক মানুষের সাথে সময় নষ্ট করতে হয়, অনেক অনেক মানুষের সাথে নেগোশিয়েট করতে হয়, তাদেরকে ইমেইল করতে হয়, এরপরে আবার টাকা পয়সাও দিতে হয়।
এভাবে গেস্ট পোস্টের পিছনে সময় নষ্ট না করে আপনার উচিত একটা কনটেন্ট এর পেছনে সময় ইনভেস্ট করা, যাতে আপনি ন্যাচারালি ব্যাকলিংক পেতে পারেন।
এজন্য আপনার কন্টেন্টে এমন কিছু অ্যাট্রাক্টিভ জিনিসপত্র রাখতে হবে, যাতে আপনি ন্যাচারালি ব্যাকলিংক পান।
ন্যাচারাল ব্যাকলিংক পাবার জন্য আপনি আপনার আর্টিকেলে কি কি রাখতে পারেন?
দেখুন আপনি আপনার আর্টিকেলে কোন Statistics রাখতে পারেন কি-না, কোনো ইউনিক রিসার্চ রাখতে পারেন কি-না। যেটা একদমই ইউনিক, যেটা আপনার কম্পিটিটররা করছে না।
আপনি যদি চান কোনো হাই অথরিটিটিভ সাইট আপনাকে ব্যাকলিংক দিক, কিন্তু আপনার কম্পিটিটরদেরকে না দিক— তাহলে আপনার আর্টিকেলে অবশ্যই এমন কিছু থাকা লাগবে যেটা আপনার কম্পিটিটটরদের আর্টিকেলে খুঁজে পাওয়া যাবে না।
যেমন— আপনি গ্রাফ দিতে পারেন, চার্ট দিতে পারেন, কোনো কমপ্লেক্স একটা ব্যাপারটাকে সুন্দর করে ছকে গুছিয়ে দিতে পারেন, ইনফো গ্রাফিক দিতে পারেন, এছাড়াও আপনার আর্টিকেলের বিষয়বস্তু নিয়ে সোশ্যাল পোল করতে পারেন এবং সেই রেজাল্ট গুলো আপনার আর্টিকেলে অ্যাটাচ করে দিতে পারেন। এরকম অনেক কিছু আছে যেটা আপনার আর্টিকেলটাকে ইউনিক করে তুলবে। এগুলোই ন্যাচারাল ব্যাকলিংক পেতে সাহায্য করবে।
8. Readable Content:
Content টা রিডেবল করার জন্য ফন্ট সাইজটা একটু বড় রাখতে হবে, প্রোপার সাবহেডিং ব্যবহার করবেন, বুলেট পয়েন্ট ব্যবহার করবেন, নাম্বারিং করবেন।
এছাড়াও কোন প্যারাগ্রাফই খুব বেশি বড় করবেন না। দুই তিন লাইনের বেশি বড় হলে, প্যারাগ্রাফ পড়তে একঘেয়ে লাগে। ভালো করে ছবি ব্যবহার করবেন, ভিডিও এড করা লাগলে সেটা করবেন। এই কাজগুলো ভালো করে করলেই আপনার আর্টিকেলটা পড়তে আরামদায়ক হবে।
9.Update Previous Content :
আপনার ওয়েবসাইটটা যদি এমন বড় হয় যে, এখানে ৩০০ থেকে ৪০০ আর্টিকেল পাবলিশ করা হয়ে গেছে তাহলে অবশ্যই আপনার উচিত হবে প্রত্যেকদিন একটা করে হলেও পুরনো কনটেন্ট আপডেট করা।
আপনি যদি পুরনো কন্টেন্ট আপডেট না করেন, তাহলে একদম শুরুর আর্টিকেল গুলো কোনো ট্রাফিক আপনাকে এনে দেবে না। কারণ google ওগুলোকে আর পাত্তা দেবে না, যেহেতু আপনি আপডেট করছেন না।
তখন গুগল দেখে যে Owner ই আর্টিকেল গুলোকে কোন টাচ দিচ্ছে না, ফেলে রাখছে— google নিজেও তখন আর কোন গুরুত্ব দেয় না এবং ওই ফেলে রাখার আর্টিকেল গুলো থেকে কোন ট্রাফিক আসে না।
এজন্য দিনের নির্দিষ্ট একটা সময় হাতে রাখা উচিত, যে সময়টাতে আপনি শুধুমাত্র কোন কন্টেন্ট আপডেট করবেন। পুরনো কনটেন্ট আপডেট করার সময় কি কি জিনিস মাথায় রাখতে হবে সেগুলো জানার জন্য এই ভিডিওটি দেখে ফেলতে পারেন।
10.Use GSC:
GSC এর পূর্ণরূপ হলো- Google Search Console। অনেকেই গুগল সার্চ কনসোল ভালোভাবে ব্যবহার করে না। আপনার ওয়েবসাইটটা যদি একটু স্ট্যাব্লিশ হয়, তাহলে আপনি Google Search Console এ যাবেন এবং সার্চ পারফরমেন্সে গিয়ে দেখবেন যে আপনার ওয়েবসাইট এর আর্টিকেল গুলো কি কি কারণে র্যাংক করছে।
এখানে গেলে দেখবেন যে, এমন এমন কীওয়ার্ড এর জন্য আপনার কিছু কিছু আর্টিকেল র্যাংক করেছে যেগুলো র্যাংক করার কথা ছিল না। এখানে খুব একটা সম্ভাবনা থেকে যায় যে, আপনি ওই কীওয়ার্ড গুলো নিয়ে যদি আবার আর্টিকেল লেখেন তাহলে সেগুলো ভালো র্যাংক করবে।
হয়তো ঐ কীওয়ার্ডটা নিয়ে আর্টিকেল লিখবেন নয়তো কীওয়ার্ডটাকে কোনো একটা আর্টিকেলে সাবহেডিং হিসেবে ঢুকিয়ে দেবেন। এগুলো করলে আপনার ওয়েবসাইটটা আরো ভালোভাবে র্যাংক করা শুরু করবে।
কিভাবে GSC ব্যবহার করে ওয়েবসাইট ভালোভাবে Rank করাবেন এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাইলে দেখে ফেলতে পারেন ভিডিওটি!
11. Industry Relation :
অনেকে মনে করতে পারেন যে, Industry তে রিলেশনশিপ ক্রিয়েট করাটা হলো গেস্ট পোস্টের জন্য স্প্যাম ইমেইল দেয়া। কিন্তু ব্যাপারটা আসলে তা না। আপনার ইন্ডাস্ট্রিতে যারা যারা আছে তাদের সাথে আপনি একটা ভালো বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলেন।
যাতে তাদেরকেও আপনি হেল্প করতে পারেন, তারাও আপনাকে হেল্প করতে পারে। আপনি তাদের কাছ থেকে ব্যাকলিংক পান এবং তারাও আপনার থেকে ব্যাকলিংক পাক। আপনার ইউটিউব চ্যানেল থাকলে তাদেরকে এনে ভিডিয়ো করতে পারেন, কোলাবরেশন করতে পারেন— এমন বিভিন্ন কাজ একসাথে করতে পারেন। যেটা ন্যাচারালি ব্লগাররা করে থাকে এবং গুগলও এই কাজ গুলো পছন্দ করে।
যেমন- আমি আমার নিশের সাথে রিলেটেড এক হাজারটা ওয়েবসাইট খুঁজে বের করেছি এবং প্রত্যেককে ইমেইল দিচ্ছি। ইমেইলের সাবজেক্টে সোজাসাপটা জানিয়ে দিচ্ছি আগেই যে- ” I’m not begging a guest post or backlink”
ইমেইলের মধ্যে এটা বলছি যে, তুমি আর আমি দু’জনই একঝ ধরনের নিশ নিয়ে কাজ করছি। চলো আমরা একটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরী করি, যাতে তোমার এবং আমার দু’জনেরই হেল্প হয়। এক্ষেত্রে আমরা ফেসবুকে যুক্ত হতে পারি, টুইটারে এড হতে পারি, ইউটিউব কোলাবোরেশান করতে পারি। “
এটা যদি আপনি করতে পারেন তাহলে ভবিষ্যতে আপনার অনেক হেল্প হবে।
12. Delete Dead Content :
আপনি দেখেন যে আপনার ওয়েবসাইটে এমন কোন কোন কনটেন্ট আছে যেটা গত এক বছরে কমপক্ষে দশটা পেজ ভিউ আনেনি, এর মধ্যে দেখবেন এইসব আর্টিকেলের কোন কোনটার স্টক ব্যাক লিঙ্ক আছে এবং কোন কোনটা স্টক ব্যাংক লিঙ্ক নেই।
অর্থাৎ আপনার ওয়েবসাইটের এমন এমন কনটেন্ট যেগুলো গত এক বছর ধরে মান্থলি দশটা পেজ ভিউ আনতে পারেনি এবং কোন ব্যাংক লিঙ্ক নেই এইসব গুলোকে বলা যেতে পারে ডেট কনটেন্ট এবং এই কন্টেন্ট গুলোকে আপনি চাইলে ডিলিট করে দিতে পারেন।
ডিলিট করার পর এই কন্টেন্টের লিংকা Redirect করে দিতে পারেন। অর্থাৎ এই কন্টেন্টের জায়গায় আরেকটা রিলেটেড কন্টেন্টের লিংক Redirect করে দেবেন।
এভাবে ডেড কন্টেন্ট গুলো ডিলিট করে দেয়ায় কোনো ক্ষতি নেই। কারণ, গুগল দশটা আন্ডার পারফর্মিং কন্টেন্টের থেকে একটা ভালো কন্টেন্টকে প্রেফার করে।
তবে যদি এমন কোনো কন্টেন্ট থাকে, যেটা পেইজ ভিউ না আনলেও যেটার ভালো স্ট্রং ব্যাকলিংক আছে সেটা ডিলিট করার দরকার নেই।
13.EEAT:
EEAT এর পূর্ণরূপ হলো- Expertise Experience Authoritativeness Trustworthiness।
এটা বিল্ড করার অন্যতম উপায় হলো ন্যাচারালি ব্যাকলিংক পাওয়া। এছাড়াও প্রতিটা আর্টিকেলের নিচে একটা Author Bio রাখবেন। যেখানে আপনার পরিচয়, ছবি, সোশ্যাল মিডিয়া লিংক, কন্টাক্ট ইত্যাদি সবকিছু রাখবেন।
ছবি ব্যবহার করার সময় অবশ্যই রিয়েল ছবি ব্যবহার করবেন। ফেইক ছবি দেবেন না।
এছাড়াও আপনার সাইটেও একটা Author Page রাখবেন। যেখানে আপনার পরিচয় দিয়ে রাখবেন। এছাড়াও ওয়েবসাইটের ফুটওয়্যারে NAP Information দিবেন। NAP হলো- Name, Address, Phone Number।
এই কাজ গুলো করলে মোটামোটি আপনার EEAT Fill up হবে। এছাড়াও বিস্তারিত জানতে Writers Motion ইউটিউব চ্যানেলে অসংখ্য ভিডিয়ো পেয়ে যাবেন এ সম্পর্কে!
14.Focus On Building Authority :
একটা টপিক্যাল রিলেশন নিয়ে আমরা উপরে কথা বলেছি যেটা হল পোস্ট রিলেটেড এটা প্রত্যেকটা ইন্ডিভিজুয়াল আর্টিকেলের জন্য প্রযোজ্য।
এটা ছাড়াও আমাদের আরেকটা টপিক্যাল রেলেভেন্সি নিয়ে চিন্তা করতে হবে, যেটা হলো ক্যাটাগরি ওয়াইজ। ধরুন আমি একটা সাইট খুলতে চাচ্ছি- অ্যামেরিকান স্পোর্টস নিয়ে। সেখানে অনেক ধরনের স্পোর্টস থাকবে এটাই স্বাভাবিক।
থাকতে পারে- ভলিবল, ফুটবল, বাস্কেটবল থাকবে ইত্যাদি। এখন আমি প্রত্যেকটা আর্টিকেল নিয়ে 5-10 টা করে আর্টিকেল দিতে থাকলাম। এতে কী কোনো লাভ হবে?
অবশ্যই না। আপনাকে আগে যেকোনো একটা স্পোর্টসের দিকে নজর দিতে হবে। যেটা সম্পূর্ণভাবে কভার করে তারপরে আরেকটা স্পোর্টস নিয়ে লিখতে হবে। একটা স্পোর্টস সম্পূর্ণ কভার করতে যদি আপনার 200 আর্টিকেলও দেয়া লাগে, তাহলে তা-ই দিন। তারপরেও পুরোটা কভার করে টপিক্যাল অথরিটি গেইন করুন।
ক্যাটাগরির মধ্যে সাবক্যাটেগরি ক্রিয়েট করুন। সাবক্যাটেগরি গুলোও ভালো করে কভার করুন। সাবক্যাটাগরির জন্যও একই আলাপ— একটা সাবক্যাটাগরি শেষ করে তারপর অন্য আরেকটায় যাবেন।
15. Turn Your Niche Site Into A Brand:
যদি আপনার ওয়েবসাইটটাকে ব্র্যান্ড হিসেবে দাঁড় করাতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার ওয়েবসাইটের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে একাউন্ট থাকা লাগবে। হতে পারে ইউটিউব, হতে পারে ইন্সটাগ্রাম, টুইটার, পিন্টারেস্ট বা যেকোনো কিছু।
এই সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্টের লিংক গুলো অবশ্যই ওয়েবসাইটে ফুটওয়্যারে দিয়ে দেবেন। সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট ক্রিয়েট করে কোনোভাবেই ফেলে রাখবেন না।
অন্তত ২০-২৫ টা পোস্ট করার চেষ্টা করবেন। সবচেয়ে ভালো হয়, এখন একটা ওয়েবসাইটের পাশাপাশি অবশ্যই একটা ইউটিউব চ্যানেলও রাখবেন। আর শুধু বানিয়ে ফেলে রাখবেন না, চেষ্টা করবেন ভিডিয়ো দেয়ার। এটা ট্রাফিক আনার ক্ষেত্রে অনেক হেল্প করবে।
এছাড়াও আরেকটা ভালো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হতে পারে পিন্টারেস্ট। এখন অনেক অনেক নিশের জন্যই পিন্টারেস্ট বেশ ভালো কাজ করছে। যদি আপনি দেখেন যে, আপনার নিশটা একটু ভিজ্যুয়াল, সেক্ষেত্রে আপনিও পিন্টারেস্টে একটা একাউন্ট ক্রিয়েট করতে পারেন।