অন পেইজ এস ই ও টিউটোরিয়াল (পার্ট ১)- সাইট স্পীড
নতুন একটা ব্লগ পোস্ট সিরিজ শুরু করতে যাচ্ছি অন পেইজ এস ই ও নিয়ে। একেকটা পোস্টে অন পেইজ এস ই ও এর একেকটা পার্ট নিয়ে কথা বলবো। সিরিজের সবগুলো পোস্ট পড়ার জন্য আপনাদের আমন্ত্রন জানাচ্ছি।
তো, অন পেইজ এস ই ও এর প্রথম পার্টে স্বাগতম। এই পোস্টে আমি সাইট স্পিড নিয়ে কিছু কথা বলবো।
আপনি জানেন কিনা জানিনা, রিসেন্টলি একটা স্টাডি পাবলিশ করা হয়েছে। ওই স্টাডিতে দেখা গেছে, ৪৭% ট্রাফিক চায় যেকোনো ওয়েবসাইট শুধু ২ সেকেন্ড এর মধ্যেই পুরোপুরি লোড হোক। এমনকি এটাও দেখা গেছে, অর্ধেক US এর মানুষ সাইট থেকে কিছু কিনেই না যদি সেটার লোড স্পিড কম থাকে।
তাই সাইট স্পিড বাড়ানোর জন্য যা যা লাগে আপনার করা উচিত। এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা অন পেইজ এস ই ও ফ্যাক্টর।
Neil Patel এর মতে, বর্তমান সময়ে, একটা ভালো কিওয়ার্ড রিসার্চ র্যাংকিং এর জন্য যেমন গুরুত্বপূর্ণ, ঠিক তেমনি গুরুত্বপূর্ণ হলো সাইটের লোড স্পিড বাড়ানো।
সম্প্রতি আরেকটা স্টাডিতে দেখা গেছে, যদি আপনার সাইট ১ সেকেন্ড দেরিতেও লোড হয়, তবে সেটা ৭% কাস্টমার হারাবে।
কিভাবে আপনার সাইটের স্পীড টেস্ট করবেন?
সাইটের স্পিড টেস্ট করার জন্য অনেকগুলো অনলাইন টুল আছে যেমন Pingdom, Gtmetrix ইত্যাদি। একেকটা টুল একেক ধরনের রেজাল্ট দিবে, কারন তাদের এলগরিদম এক না। তাই আমি আপনাকে বলবো যেকোন একটা টুলকে স্ট্যান্ডার্ড ধরে আপনার সাইটের লোডিং স্পিড ট্র্যাক করতে।
বেশিরভাগ ওয়েবমাস্টাররাই Gtmetrix পছন্দ করে, আমিও এটাই সাজেস্ট করি কারণ স্পীড টেস্টের পাশাপাশি এই টুলটা দেখিয়ে দেয় সাইটের কোন জায়গায় প্রবলেম আছে, কি কি ঠিক করা লাগবে।
কিভাবে টুলগুলো দিয়ে সাইটের স্পিড টেস্ট করে তা আমি উপরের ভিডিওতে দেখিয়েছি।
এক ধাপ এগিয়ে যান…
বেশিরভাগ ওয়েবমাস্টাররাই শুধু নিজের সাইটের স্পিড টেস্ট করেই ক্ষান্ত দেন। এতে কোনো সমস্যা নেই, কিন্তু আপনি চাইলে এক ধাপ এগিয়ে নিতে পারেন পুরো ব্যাপারটাকে।
একটা সাইট আছে, যেখানে আপনি আপনার ওয়েবসাইটের স্পিড এবং আপনার টপ কম্পিটিটর যেই সাইট সেটার স্পিড বের করে তুলনা করতে পারবেন, কোনটা এগিয়ে আছে। এতে আপনি বুঝতে পারবেন আপনার কম্পিটিটর থেকে আপনি এগিয়ে আছেন, নাকি আপনার আরো আগানোর জন্য কাজ করা লাগবে।
সাইটটা হলো WhichLoadsFaster.zomdir.com চাইলে টেস্ট করে দেখতে পারেন।
সাইটের স্পীড বাড়ানোর কিছু টিপ্সঃ
[sociallocker]
- সাইটের লোডিং স্পিড স্লো হবার অন্যতম কারন হলো মাত্রাতিরিক্ত প্লাগইন এর ব্যবহার। আপনারা যারা সামান্য একটা কিছু হলেই প্লাগ-ইন ব্যবহার করেন, তাদের জন্য দুঃসংবাদ। সাইটের নানা ধরনের ঝামেলা হবার পিছনে একমাত্র কালপ্রিট হলো এই প্লাগ ইন। কোনো কোনো প্লাগ ইন আছে (যেগুলো ভালো কোনো কোম্পানি ডেভেলপ করেনি) যেগুলো সাইটকে প্রচুর স্লো করে দেয়। আপনার সাইট যদি স্লো হয়, তাহলে প্রত্যেকটা প্লাগ ইন ডিজেবল করে আলাদা আলাদা করে চেক করে দেখতে হবে নির্দিষ্ট কোনো প্লাগ-ইনের কারনে সাইট স্লো হচ্ছে কিনা।
- সাইট স্লো হওয়ার পরের কারনটি হলো অনেক বড় বড় ইমেজ ফাইল ব্যবহার করা। এর জন্যই ৮৫% সাইটের লোডিং স্পীড স্লো হয়ে যায়। আপনার সাইটে যেকোনো ছবি আপলোড করার আগে সেটাকে অবশ্যই কোনো ইডিটর প্রোগ্রাম দিয়ে ছোট করে নিতে হবে। আমি Paint দিয়েই এই কাজটা করে ফেলি। আপনি Paint এ ছবিটা ওপেন করে Resize অপশনে গিয়ে সেটা ছোট করে ফেলুন, যতটুক না হলেই নয়। তাহলে দেখবেন ছবির সাইজ অর্ধেকের মতো হয়ে গেছে। এছাড়াও, একটা ইমেজ কম্প্রেশন প্লাগ-ইন অনেক কাজে আসে। আমার পছন্দের ইমেজ কম্প্রেশন প্লাগ-ইন হলো Imagify.
- একটা Caching প্লাগ-ইন ইন্সটল করে ফেলুন। Cache বলতে আসলে কি বোঝায়, সেটা নিয়ে এখন কথা বলতে চাচ্ছি না। শুধু জেনে রাখুন, আপনার সাইটে Caching করা থাকলে সেটা খুব তাড়াতাড়ি লোড হবে। এক্ষেত্রে আমার পছন্দের প্লাগ-ইন হচ্ছে WP Super Cache.
- আরেকটা প্লাগ-ইন ইন্সটল করে ফেলুন, Autoptimize. এটা আপনার সাইটের কোডিং (প্রধানত JavaScript এবং CSS) গুলো গুছিয়ে দেয়। এছাড়াও, বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কোডগুলোকে একটা জায়গায় Combined করে ফেলে। এতে সাইট অনেক তাড়াতাড়ি লোড হয়।
- আপনার হোস্টিং কোম্পানি যদি ভালো হয়ে না থাকে, তাহলে আসলে যত কিছুই করেন, সাইটের লোডিং স্পিডে তেমন উল্লেখযোগ্য উন্নতি দেখতে পারবেন না। আমি সবসময় সাজেস্ট করবো কোনো প্রিমিয়াম হোস্টিং কিনতে আপনার সাইটের জন্য।
আশা করি এই কাজগুলো করলে আপনার সাইটের লোডিং স্পীড ভালোই বেড়ে যাবে।
[/sociallocker]