Google May 2022 Core Update: কি কি করা লাগবে এখন থেকে?

হঠাৎ করে আপনার দোষ ছাড়াই আপনার ওয়েবসাইটটি গুগুলের সার্চ রেজাল্টে ড্রপ খেয়ে গেছে আবার আপনার বন্ধুর ওয়েবসাইটটি কারণ ছাড়াই রিওয়ার্ডেড হয়েছে এবং এটা নিয়ে আপনি খুব চিন্তিত?

আজকে আপনার এই চিন্তার কারণ সম্পর্কে কিছু কথা বলা যাক।

কয়েকদিন আগে যে আপডেটটা হলো…

মে ২০২২, এই আপডেটটা আগের মতই অল ওভার দ্য প্লেস ছিলো। যেহেতু এটি একটি কোর আপডেট সুতরাং এটা গ্লোবালি সব ওয়েবসাইটের ওপর মোটামুটি ভালোই ইফেক্ট ফেলে।

কিন্তু গুগল মূলত এই আপডেটে কি কি দেখছে বা কি কি কারণে কোনো ওয়েবসাইটকে পেনাল্টি দিচ্ছে বা কি কি কারণে কোনো ওয়েবসাইটকে রিওয়ার্ডেড করছে, এই ব্যাপারগুলো নিয়ে আসলে তেমন কিছু বলার মত তথ্যই নেই। আপনি যদি তাদের ফলো করেন তাহলে দেখবেন, গুগল কোথাও স্পষ্ট করে বলে না যে, কি কারণে কোনো ওয়েবসাইট পেনাল্টি খায় বা রিওয়ার্ডেড হয়।

এমনকি গুগলের অফিসিয়াল ডকুমেন্টসেও আপনি তেমন কিছুই পাবেন না। তারা শুধুমাত্র জেনারেল কিছু কথাবার্তা বলে। যেমন,

আপনার কনটেন্ট যদি ইউজারদেরকে ভ্যালু দেয় তাহলে আপনার ওয়েবসাইট রিওয়ার্ডেড হবে। আপনার কনটেন্ট যদি ভ্যালু না দেয় তাহলে ড্রপ করবে ইত্যাদি ইত্যাদি।

কিন্তু ড্রপ করার বা গ্রো করার কোনো কারণই স্পষ্ট করে গুগল কাওকে বলে না।

এখানে ভ্যালু বলতে তো অনেক কিছুই হতে পারে, তাই এটা নির্দিষ্ট কোনো কারণ হিসেবে ধরা যায় না।

গুগলের যে অফিসিয়াল গাইডলাইন সেগুলো খুবই অস্পষ্ট। আর যেসব ওয়েবসাইট এরকম আপ-ডাউন হয়েছে সেসব ওয়েবসাইটে নজর দিলে কোনো নির্দিষ্ট প্যাটার্ন বোঝা মুশকিল শুধুমাত্র এই আপডেটের জন্য। কারণ ইট ওয়াজ অল ওভার দ্য প্লেস!

ওয়েবসাইট ড্রপ করার কারণ:

প্রথমে আন্তর্জাতিক মানের একজনের সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনা বলি।

সে একটি ওয়েবসাইট বানালো। এমন একটি ওয়েবসাইট যেটা এইজড ডোমেইনে বানানো৷ সে এই ডোমেইনটি কিনেছে, অনেক আগের একটা ডোমেইন। (অবশ্যই ডোমেইনের একটা হাই অথোরিটি আছে।) এরপর সে নিজে আর্টিকেল লিখে দিতো, যদিও এই আর্টিকেল গুলো স্পিন বা AI আর্টিকেল না তারপরেও তার ওয়েবসাইট ৭০% ডাউন হয়!

কিন্তু আরেক জায়গায় এমনও হয়েছে যে, কারো ওয়েবসাইটে AI কনটেন্ট দেওয়ার পরই ডাউন হয়েছে আবার কারো ওয়েবসাইটে AI কনটেন্ট দেয়ার পরই রিওয়ার্ডেড হয়েছে।

কারো স্নিপেট ফিচার চলে গেছে, কারোটা বেড়েছে, কারোটা আবার কিছুই হয়নি। সুতরাং নির্দিষ্ট করে কোনো কারণই বলা যায় না যে, আসলে কি কারণে একটা ওয়েবসাইট আপ-ডাউন হয়।

কিন্তু, এত ধোঁয়াশার ভেতরেও কি কারণে ওয়েবসাইট ড্রপ করে তার একটা কারণ আমরা টেনে বের করতে পারি।

কিভাবে?  বলছি।

  • একজনের ওয়েবসাইট ড্রপ করেছে। খবর নিয়ে জানা গেল তার ওয়েবসাইটে অধিকাংশ কনটেন্টই রিভিউ কনটেন্ট (বেস্ট মানি টাইপ রিভিউ) । অধিকাংশ বলতে ৪০%—৫০% এর মত শুধু রিভিউ কনটেন্টই!
  • WP Alex চ্যানেলের মালিক Alex এর চারটা ওয়েবসাইটের তিনটা ওয়েবসাইটই ড্রপ করেছে। এবং প্রত্যেকটা ওয়েবসাইটেই রিভিউ কনটেন্টের পরিমাণ ছিল ৪৫% এর বেশি!

 সুতরাং এসব সূত্র থেকে একটা প্যাটার্ন লক্ষ্য করা যায় যে, যে ওয়েবসাইটে রিভিউ কনটেন্টের পরিমাণ বেশি সেসব ওয়েবসাইট ড্রপ করার সম্ভাবনা বেশি। তবে এটাই যে একমাত্র কারণ সেটা বলাটাও কঠিন। এটা শুধুমাত্রই একটা হাইপোথিসিস।

সবমিলিয়ে আপনার জন্য সতর্কবার্তা থাকবে, আপনি যদি খালি রিভিউ কনটেন্ট লিখে যান তাহলে খুব শিগ্‌গির সেটার পরিমাণ ২০% এর নিচে নামিয়ে আনাটাই সুবিধাজনক।

 যদিও গ্যারান্টি দিয়ে বলা যায় না কারণ এটা সম্পূর্ণই গুগলের ওপর নির্ভরশীল। তবুও, আশা করা যায় পারিপার্শ্বিক বা টেকনিক্যাল সমস্যা না থাকলে এবং রিভিউ কনটেন্ট ২০% এর নিচে নামিয়ে আনলে আপনার ওয়েবসাইট সুরক্ষিত থাকতে পারে।

কিন্তু, রিভিউ লেখার তো কিছু নিয়ম রয়েছে।

সুতরাং যে ২০% রিভিউ কনটেন্ট লিখবেন সেটা হতে হবে নিয়ম মেনে লেখা অথেনটিক রিভিউ। যেমন,

  • লিখতে হবে প্রোপার ওয়েতে, যেন পড়লেই বোঝা যায় যে প্রডাক্টটির কোনো অথেনটিক ইউজার রিভিউটি লিখেছে।।
  • নিজের রেফারেন্স দিয়ে শুরু করলে সবচে’ ভালো হয়। যেমন, আমি বা আমরা প্রডাক্টটি ব্যবহার করে এই এই উপকার পেয়েছি।
  • র‌্যান্ডমলি দশটা প্রডাক্ট চুজ করে দিলেই রিভিউ ভালো হবে না। এখানে আপনাকে দশটার মধ্যে ভালো প্রডাক্টটা চুজ করতে হবে। অবশ্যই শুরুতে একটা রেকমেন্ডেশন দিলে ভালো হয় যে, এই দশটার মধ্যে এটা আমার কাছে সবচে বেশি ভালো লেগেছে ইত্যাদি।

এরকম কিছু পয়েন্ট আছে যেগুলো আপনি ফলো করলে আপনার রিভিউটার মানও কিন্তু বেটার হবে।

এখন আশা রাখা যায়, রিভিউ কনটেন্ট ২০% এর কম এবং রিভিউ গুলো কোয়ালিটিফুল হলে আপনার ওয়েবসাইট ডাউন না-ও হতে পারে। যদিও এটার গ্যারান্টি নেই তা-ও সাবধান থাকতে অসুবিধা কোথায়!

এরপরেও যদি ডাউন হয়ই, তবুও আশা করা যায় আবার আগের অবস্থায় ফিরে আসার। কারণ এর আগেও এমন হয়েছে৷ একটা ওয়েবসাইট ডাউন হয়ে যাওয়ার পর আবার সেটা ফিরে এসেছে। হয়তো কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যাক করতে সময় বেশি লাগে তা-ও আগের অবস্থানে ফিরে আসে।

সবশেষে বলবো…

 আপনার ওয়েবসাইটটি যদি ডাউন করেই ফেলে তাহলে অবশ্যই খুঁজে বের করুন ঠিক কি কারণে এটা ডাউন হলো। কারণ খুঁজে পেলে সেটা করা থেকে বিরত থাকুন, সবসময়ই রিভিউ কনটেন্ট দেওয়ার ক্ষেত্রে সাবধান থাকুন এবং আশা রাখুন, অবশ্যই আপনার ওয়েবসাইটটিও সুরক্ষিত থাকতে পারে।

Similar Posts