কোন ব্লগপোস্ট সবার আগে আপডেট করা উচিত!

আপনার সাইটটা যখন অনেক বড় হয়ে যাবে, অর্থাৎ দেখা গেলো আপনার সাইটে একশো থেকে দু’শ আর্টিকেল হয়ে গেছে তখন অবশ্যই আপনার উচিত হবে পুরনো কন্টেন্ট আপডেট করা। 

প্রত্যেকদিন একটা নির্দিষ্ট সময় অন্তত রাখা উচিত, যে সময়টাতে আপনি অন্তত একটা হলেও পুরনো কন্টেন্ট আপডেট করবেন। পুরোনো কনটেন্ অবশ্যই আপডেট করতে হয়—  কারণ ১০০ থেকে ২০০ আর্টিকেল লিখতে অবশ্যই আপনার অনেক সময় লেগে গেছে। 

প্রথম যে আর্টিকেলটা লিখেছিলেন আর আজকের দিনের মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে। হয়তো এই কয়দিনে অনেক কিছু আপডেট হয়েছে, অনেক ইনফরমেশন আপডেট হয়েছে। সুতরাং আপনার উচিত এখনকার সাথে তাল মিলিয়ে সেই পুরনো কন্টেন্ট গুলো আপডেট করা। 

যদি কোন কিছু অ্যাড করা লাগে তাহলে এড করবেন, যদি কোনো কিছু বাদ দেয়া লাগে তাহলে বাদ দেবেন। পুরনো কনটেন্ট গুলো এভাবে আপডেট করতে থাকলে এগুলো আপনার একটা ভালো ট্রাফিকের মাধ্যম হবে। 

আপনি যদি পুরনো কন্টেন্ট গুলোকে ফেলে রাখেন কিছুদিন পর গিয়ে সেগুলো আর আপনার কোন কাজে আসবে না এবং google এই জিনিসটাকে ভালো চোখেও দেখবে না।

কিন্তু কথা হচ্ছে কোন ব্লগ পোস্ট গুলো আগে আপডেট করা উচিত? এমন না যে, প্রথমে যে আর্টিকেলটা লিখেছেন সেটা আগে আপডেট করবেন এরপর দ্বিতীয় নাম্বারটা আপডেট করবেন। এভাবে আপডেট করাটা আসলে ইফেক্টিভ না, উচিত ও না। 

দেখা গেলো প্রথম আর্টিকেলের পারফরম্যান্স খুব ভালো কিন্তু দ্বিতীয় আর্টিকেলের পারফরম্যান্স খুব খারাপ। আবার তিন নাম্বার আর্টিকেলের পারফরম্যান্স আবার খুব ভালো।  আপনার বুঝতে হবে যে কোন ব্লগ পোষ্টটা আগে আপডেট করা উচিত কোনটা আপডেটের প্রয়োজন। কিন্তু, এটা কী দেখে বোঝা যায়?

এজন্য আপনার একটা টেকনিক ফলো করতে হবে। এটা ফলো করার জন্য —

  • আপনার প্রথমেই google Search Console এ যেতে হবে। 
  • Search Console এ গিয়ে Search Result এ যেতে হবে। 
  • এখানে গেলে আপনি অনেক ধরনের ডাটা দেখতে পারবেন। এখন আপনাকে Pages এ যেতে হবে।

আমরা এখানে প্রত্যেকটা ইন্ডিভিজুয়াল পেজ নিয়ে কাজ করব। 

Find out more about Blogging by exploring this related topic. ১০টি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট, যা প্রতিটি ব্লগারের ফলো করা উচিত! 

এখানে আপনি টাইম সেট করে দিতে পারেন। ধরুন আপনি টাইম সেট করলেন গত ছয় মাসের। গত ছয় মাসের ডাটা আর তারও আগের ডাটার সাথে আপনি কম্পেয়ার করে দেখতে চান। 

এরপর আপনার গত ছয় মাস ও এর আগের ডাটা গুলোর একটা কম্পেয়ারিজন চলে আসবে। এখানে আপনি দেখতে পারবেন যে, কোন আর্টিকেলটা গত ছয় মাসে কত ক্লিক পেয়েছে এর পাশেই আবার দেখতে পারবেন আপনি যে ছয় মাস সিলেক্ট করেছেন সেই ৬ মাসের আগের 6 মাস কত ক্লিক পেয়েছিল। অর্থাৎ এই দুই ছয় মাসের ভেতরে আপনি একটা কম্পারিজন দেখতে পারবেন।

এর পাশে আবার ক্লিক ডিফারেন্স দেয়া আছে। এখানে ক্লিক ডিফারেন্ট যদি মাইনাস দেখায় তাহলে আপনি বুঝবেন যে রিসেন্ট ছয় মাসে এর আগের ক্লিক থেকে কম ক্লিক পেয়েছে অর্থাৎ অবশ্যই এটা কোন ভালো লক্ষণ না। অর্থাৎ আপনার মাইনাস পাওয়া আর্টিকেলটার পারফরম্যান্স খারাপ হচ্ছে এবং আপনার ওই আর্টিকেলটা আপডেট করা উচিত।

আর ক্লিক ডিফারেন্স যদি পজিটিভ দেখায় তাহলে বুঝতে হবে যে লাস্ট সিক্স মান্থ এ আগে ক্লিকের থেকে বেশি ক্লিক পেয়েছে অর্থাৎ এটা আপডেট করার প্রয়োজন নেই, ওর পারফরম্যান্স এমনিতেই ভালো।

এই ডাটাটা আপনি google sheet এ এক্সপোর্ট করবেন। ডাটা গুলো এক্সপোর্ট হতে একটু সময় লাগবে। কিন্তু এক্সপোর্ট হওয়ার পরে দেখবেন অনেক ভাবে ডাটাগুলো সাজানো আছে। 

এখানে শুধুমাত্র আপনি Pages অপশনটাই দেখবেন। বাকি গুলো না দেখলেও চলে।  Pages tab টা রেখে আপনি বাকি ট্যাব গুলো ডিলিট করে দিতে পারেন অথবা রাখতে পারেন— সেটা আপনার ইচ্ছা। 

এখানে Pages Tab এ এলে দেখবেন যে আপনার কোন আর্টিকেলট আপডেট করা উচিত। এটা বোঝার জন্য আপনার দেখতে হবে— আপনার কোন আর্টিকেলটা সবচেয়ে কম ক্লিক পেয়েছে, কোন আর্টিকেল টাকে মানুষজন কম পড়েছে। 

তাহলে বুঝতে পারবেন যে ওই আর্টিকেলটার প্রতি আরো বেশি যত্নবান হওয়া উচিত। খুব শিগগিরই ওই কম ক্লিক পাওয়া আর্টিকেল গুলো আপডেট করা উচিত। 

এখানে ক্লিক ছাড়াও Impression ও CTR দেখতে পারেন তবে এগুলো না দেখলেও। চলে কারণ ক্লিক টা খুব ভালো হেল্প করে। ক্লিক দেখার পরে আসলে আর ইম্প্রেশন বা CTR না দেখলেও চলে। ক্লিক দেখেই বোঝা যায় যে, কোন আর্টিকেলটা ভালো করছে আর কোন আর্টিকেলটা খারাপ পারফরম্যান্স করছে।

এখানে দুইটা রোতে আপনি ডাটাগুলো সাজানো পাবেন। একটাতে দেয়া থাকবে Last 6 months Clicks।  আরেকটা রো’তে থাকবে Previous 6 months clicks। অর্থাৎ, গত ছ’মাসের ও আগে আপনার আর্টিকেল কত ক্লিক পেয়েছে— এগুলো সাজানো থাকবে । 

এখন আরেকটা রো’তে আমরা একটা ক্যালকুলেশন করতে পারি। শুরুতে আপনি টাইটেল দিবেন ” Difference In Clicks “।

এরপরে একটা ক্যালকুলেশন করতে হবে। এজন্য প্রথমে ইকুয়াল চিহ্ন দিবেন, এরপরে Last 6 Months Clicks এ ক্লিক করবেন। তারপর একটা মাইনাস চিহ্ন দিবেন। এরপরে Previous 6 Months Clicks এ ক্লিক করবেন। এরপরে ইন্টার প্রেস করুন। এরপর Suggested Autofill একটা অপশন আসবে, সেখানে Right ( ✔️ ) অপশনে ক্লিক করে দিন। 

এরপরে আমরা ওপরের টাইটেল রিমুভ করে দিই, ওটা না থাকলেও চলে। এখন ক্লিক ডিফারেন্সের কলামের ওপরে মাউস নিলে একটা ড্রপ ডাউন আইকন পাবেন ।

 সেটায় ক্লিক করার পরে sort sheet A to Z অপশনে ক্লিক করুন। এতে যে আর্টিকেলের পারফরম্যান্স সবচেয়ে খারাপ, সেটা সবার ওপরে আসবে। এভাবে ওপর থেকে নিচে সাজানো থাকবে, আপনার আর্টিকেল আপডেট করতে সুবিধা হবে। 

এই গুগল শীটে সাজানো থাকবে আপনার প্রত্যেকটা আর্টিকেল। একদম বাজে পারফরম্যান্স থেকে আস্তে আস্তে ভালো দিকের যাচ্ছে।  যেগুলোর পারফরম্যান্স খুব বাজে সেগুলো উপরের দিকে থাকে। এতে আর আপনার কষ্ট করে বের করার দরকার হবে না। আপনি যদি একজন ব্লগার হন তাহলে অবশ্যই আপনার এই কাজগুলো করা উচিত, অবশ্যই আপনার পুরানো কনটেন্ট আপডেট করা উচিত।

Similar Posts