নতুন সাইটের জন্য চারটি প্লাগইনই যথেষ্ট!

একটা সাইট শুরুর সময় যখনই plugins এর ব্যাপারটি আসবে তখনই আপনার ভাবতে হবে যে, আপনি যত কম plugins ইউজ করতে পারবেন ততই ভালো। কিন্তু তা সত্ত্বেও আপনার সাইটটা যখন আস্তে আস্তে বড় হতে শুরু করবে, তত বেশি কমপ্লিকেটেড হতে থাকবে। আপনি অ্যাড দেয়া শুরু করলেন, অন্য কোনো মনিটাইজেশন ইউজ করলেন, ই-মেইল মার্কেটিং ইউজ করলেন— তখন আসলে না চাইতেও অনেক plugins ইউজ করতে হয় এবং এই সিস্টেমটা আরো অনেক বেশি কমপ্লিকেটেড হয়ে যায়।

কিন্তু, ওয়েবসাইট নিয়ে পথচলার শুরুতেই একসাথে অনেক বেশি plugins ইউজ করা ক্ষতিকর। হাতে গোনা চারটি plugins আছে, যেগুলো সাইট শুরুর দিকে ইউজ করলেই যথেষ্ট।

অবশ্য এর সাথে দু’টি অপশনাল plugins ও আছে। তা-ও অপ্রয়োজনে ব্যবহার না করাই ভালো।

তাহলে কখন অনেক plugins ইউজ করবেন?  যখন আপনার ওয়েবসাইটটা পরিপূর্ণভাবে আর্নিং স্টেজে যাবে তখন।

সুতরাং, সাইটের শুরুর দিকে যত কম plugins রাখা যায় ততই সুবিধাজনক।

এখন যে চারটি plugins নিয়ে আলোচনা করবো, যা আপনি একটা সাইট শুরু করে নিশ্চিন্তে ব্যবহার করতে পারেন— সেগুলো কিন্তু একদমই ফ্রী!

তাই, পকেট বেচে দিয়ে plugins কিনতে হবে এই চিন্তা করার প্রয়োজনই নেই।

1. Site kit by Google:

এটি গুগলের তৈরি করা একটা plugin, গুগলের থিম এবং গুগলই এটাকে ডেভলপ করেছে। যেটি দিয়ে আপনি খুব সহজেই Analytic, Search Console ইত্যাদি প্রোপার্টি গুলো তৈরি করে ফেলতে পারবেন। আপনার ওয়ার্ড প্রেসের ভেতরেই Google Analytics, Search Console, Adsense ইত্যাদির সব রিপোর্ট পেয়ে যাবেন।

এই কাজের জন্য যে আপনাকে plugins ইউজ করতেই হবে, বিষয়টা এমন না। টুকটাক কোডিং জানলে অন্য ওয়েতেও করে ফেলতে পারবেন। তবে এক্সপেরিয়েন্স বলে, plugins ইউজ করে সবচে’ অথেনটিক ওয়েতে প্রোপার্টি গুলো ক্রিয়েট করা সম্ভব।

(এই প্রোপার্টিগুলো কিভাবে ক্রিয়েট করতে হয়, তা নিয়ে একটা ভিডিয়োও আছে। আপনারা চাইলে দেখে ফেলতে পারেন এখনই!)

2. Really Simple SSL:

নামের মত প্লাগইনটাও খুবই সিম্পল, নরমাল এবং ছোট।

যখন আপনি http থেকে https এ যাবেন, যখন SSL certificate install করবেন, তখন এটা এক্টিভেট করার জন্য এই plugin খুব ইজিলি কাজ করে ফেলে। এটা Enable করতে আপনাকে কোনো কষ্টই করতে হবে না। শুধু মাত্র ইন্সটল করলেই দেখবেন এটা আপনার সাইটের সাথে কানেক্টেড হয়ে গিয়েছে।

তবে, এটা দিয়ে কাজ করার আগে আপনার সাইটের ডোমেইনের সাথে SSL certificate Install থাকতে হবে শুরু থেকেই। এটা ইন্সটল করা না থাকলে আপনি এই plugin ইউজ করতে পারবেন না।

এজন্য আপনি আপনার হোস্টিং প্রোভাইডারের কাছ থেকে শুরুতেই জেনে নিন আপনার SSL certificate Install করা আছে কি-না। তারা যদি আপনাকে সিউরিটি দেয় যে, আপনার SSL certificate Install করা আছে, তাহলে আপনি এই plugins এক্টিভেট করলেই দেখবেন আপনার ওয়েবসাইটটি https হয়ে গিয়েছে এবং সাথে সাথে আপনার ওয়েবসাইটটি সিকিউরও।

3. ShortPixel:

আপনি যে ইমেজ গুলো ইউজ করবেন সেগুলো অপটিমাইজ করবে, সাইজ কমিয়ে আনবে, ওয়েবসাইট অনেক স্পিড পাবে এই প্লাগইনটা ব্যবহার করার ফলে। ওদের একটি ভালো ফ্রী প্যান আছে, ওয়েবসাইট বেশি বড় হয়ে যাওয়ার আগে যেটায় সম্ভবত দশ হাজার ক্রেডিট দেয়। কিন্তু, ওয়েবসাইট বেশি বড় হয়ে গেলে আপনাকে পেইড প্যানের দিকেই ঝুঁকতে হবে।

শর্টপিক্সেল ছাড়াও আরো বেশ কিছু ইমেজ অপটিমাইজেশনের plugins আছে যেগুলা চাইলে ইউজ করতে পারেন। যেমন, smash, out optimization ইত্যাদি।

4. W3 Total Cache:

আপনার সাইটকে আরো বেশি ফাস্ট করে তুলতে এই plugin অনন্য।

কিন্তু এটি বাদেও এমন আরো কিছু plugin আপনারা চাইলে ব্যবহার করতে পারেন। যেমনঃ

  • Wp Fastest Cache
  • Wp Super cache

তবে একটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে সেটা হলো, যেকোনো একটিই আপনি ব্যবহার করতে পারবেন। একসাথে সবগুলো ব্যবহার করার চেষ্টাও যেন করবেন না।

এই চারটি সুবিধাজনক plugins বাদেও কিছু Optional plugins সম্পর্কে বলে রাখি, যেগুলো আপনি ব্যবহার করতে পারেন।

Easy Table Of Contents:

আমরা কোনো আর্টিকেল পড়তে গেলে, কারো ওয়েবসাইট ভিজিট করতে গেলে প্রায়ই দেখি কিছু সাবহেডিং একত্র করা এবং এগুলোতে ট্যাপ করলেই বিস্তারিত লেখায় চলে যাই। মাঝে মধ্যে তো এমনও হয়, একটা পড়তে ঢুকে অনেকগুলো কনটেন্ট পড়ে আসি এই সাজিয়ে রাখা সাবহেডিংয়ে ট্যাপ করে।

আপনিও এটা করতে পারবেন এই প্লাগইনটি ইউজ করে। এটা যদি আপনার সাইটে plugin করা থাকে তাহলে এমন একটা টেবিল ক্রিয়েট হবে, যেখানে আপনি চাইলে আপনার পোস্টের সকল subheading গুলো একত্র করে রাখতে পারবেন এবং সেগুলো Link আকারে চলে আসবে। যেখান থেকে রিডার তার পছন্দ মতো বিষয়টিতে ক্লিক করে পড়তে পড়তে অনেকক্ষণ আপনার ওয়েবসাইটেই সময় কাটিয়ে দেবে।

Pretty Link:

ধরুন, আপনি কোনো প্রোডাক্টের এফিলিয়েট করছেন। সেই প্রোডাক্টের একটা লিংক ক্রিয়েট করে আপনার সাইটের একশোটা পোস্টে মেনশন করে প্রোমট করলেন। কিন্তু বিপত্তি বাঁধলো, আপনার এফিলিয়েট নেটওয়ার্ক যারা আছে তারা কোনো কারণে এই লিংকের স্ট্রাকচারটি পছন্দ করলো না এবং লিংকের কিছু ওয়ার্ড বদলে দিলো।

তাহলে হবে কী, আপনার আবার নতুন করে এই নতুন এডিট করা লিংকটি একশোটা পোস্টে প্রোমট করতে হবে। কারণ, আগের লিংকের স্ট্রাকচার চেঞ্জ করে দেওয়ার কারণে কিন্তু সেটি আর রিডারদেরকে কাঙ্ক্ষিত লোকেশনে নিয়ে যাবে না, সেটি আর কাজই করবে না।

এই বিপত্তি এড়াতে pretty link মূলত Link Shorten এর কাজ করে থাকে এবং পাশাপাশি Customize এর কাজও করে থাকে।

আসলে এটি কিভাবে কাজ করে?

যে লিংকটা নিয়ে কাজ করতে চাচ্ছেন সেটি pretty link এ দিয়ে নিজের ইচ্ছে মত একটা লিংক তৈরী করে নিতে পারেন৷

যে লিংকটা pretty link তৈরী করে দিবে সেটিতে ক্লিক করলে মূলত মূল লিংকের লোককেশনে যাওয়া যাবে। সুতরাং আপনি আপনার একশোটি পোস্টে মূল লিংকটা প্রোমট না করে এই pretty link প্রোমট করবেন।

এখন কেউ যদি বিপত্তি বাঁধিয়ে মূল লিংকের স্ট্রাকচার চেঞ্জ করতে চায় বা করে ফেলে, তাহলেও অসুবিধা নেই। pretty link এ গিয়ে আগের লিংকটা চেঞ্জ করে নতুন স্ট্রাকচারের মূল লিংকটা বসিয়ে দিলেই হলো!

সবশেষে, যখন আপনার ওয়েবসাইট আর্ন করা শুরু করবে তখন Link Whisper ইউজ করতে পারেন। এটি একটি প্রিমিয়াম টুল, যেটা দিয়ে খুব সহজে ইন্টারনাল লিংক করা সম্ভব। 

(এটি নিয়েও অনেকগুলো ভিডিয়ো আছে। চাইলে দেখে ফেলুন শিগ্‌গির!)

আপনার ওয়েবসাইট যখন আরো বড় হবে, বিভিন্নভাবে আর্ন করা শুরু করবে তখন আপনাকে আরো অনেক ধরনের plugins ইউজ করা লাগতে পারে। 

যেমন— যেই এড প্রোভাইডারের এড দিবেন সেটারই plugin ইউজ করা লাগতে পারে, ই-মেইল মার্কেটিং করতে গেলে ই-মেইল মার্কেটিংয়ের প্লাগইনস ইউজ করা লাগতে পারে।

মোটকথা, সাইটের কন্ডিশন অনুযায়ী নতুন নতুন plugins ইউজ করতে হবে। কিন্তু, প্রয়োজনের অধিক বা অযথা বেশি বেশি প্লাগইন ইউজ করে নিজের বিপদ ডেকে আনবেন না যেন!

Similar Posts