article writing tips

আর্টিকেল লেখার ১৫টি টিপস

লেখার প্রথমেই বলে নিচ্ছি, আর্টিকেল লেখা সহজ কোনো কিছু না। অনেকেই মনে করে ভালো গ্রামার জানলে আর ইংরেজি ভোকাবুলারি ভালো হলেই আর্টিকেল লেখা যায়। আসলে কিন্তু তা না। আর্টিকেল লেখা একধরনের আর্টের মতো। সবাই তা পারেনা।

আমি এফিলিয়েট মার্কেটিং করার আগে ৪-৫ বছর রাইটার হিসেবে বিভন্ন মার্কেটপ্লেসে কাজ করেছি। এতোদিনের রাইটিং জার্নি তে অনেক কিছুই শিখেছি। এই আর্টিকেলে, আমার এই অভিজ্ঞতয়া গুলো টিপস আকারে আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। আশা করি, আর্টিকেলটা যেকোনো আর্টিকেল রাইটারের অথবা আর্টিকেল রাইটার হতে চান এমন কারো কাজে আসবে।

১।  আর্টিকেল রাইটার হতে হলে প্রথমেই আপনাকে প্রচুর পরিমাণে রিসার্চ করার মানসিকতা তৈরি করতে হবে। রিসার্চ করতে না পারলে কখনোই আপনি একটা ভালো ইনফর্মেটিভ আর্টিকেল লিখতে পারবেন না। রিসার্চ করা বলতে বোঝাচ্ছি, আপনি যেই টপিকটা নিয়ে লিখতে চাচ্চেন, সেটা সম্পর্কে আগে রিসার্চ করে ভালো করে জানুন। তারপর ওই টপিকটার উপর একটা পূর্ণাংগ ইনফর্মেশনে ভরা আর্টিকেল লিখে ফেলুন। এতেই ভিজিটররা আপনার আর্টিকেল থেকে ভ্যালু পাবে।

২। অনেক বেশি বেশি পড়ুন। যত বেশি পড়বেন, তত বেশি আপনার ভালো লেখতে পারার দক্ষতা বাড়বে। শুধু বই পড়ার কথা বলছি না, ইন্টারনেটে প্রত্যেকটা টপিকের উপর হাজার হাজার আর্টিকেল, ব্লগ পোস্ট আছে। আপনি যেই বিষয়ে ইন্টারেস্টেড, সে বিষয়ের আর্টিকেল, ব্লগ পোস্ট পড়া শুরু করুন। এতে খালি আপনার ভোকাবুলারি বাড়বে না, আপনি কিভাবে ইন্টারেস্টিং ওয়েতে লিখতে হয় তাও শিখতে পারবেন।

৩। ইংরেজির উপর ভালো দখল থাকা একজন রাইটারের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যতই সুন্দর করে একটা কিছু লিখতে পারেন না কেন, ইংরেজি ভালো না জানলে তা দিয়ে কিছুই হবে না। ইংরেজি ভালো ভাবে শেখার জন্য যে জিনিসটা আমাকে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করেছে, তা হলো প্রচুর পরিমানে ইংলিশ মুভি, সিরিজ এসব দেখা। আপনি যদি রাইটার হিসেভে ক্যারিয়ার গড়তে চান, আমি সাজেস্ট করবো ইংলিশ মুভি, সিরিজ এগুলো দেখা শুরু করতে।

৪। একটা রিসেন্ট স্টাডিতে দেখা গিয়েছে, অধিকাংশ প্রফেশনাল আর্টিকেল রাইটার সকালে আর্টিকেল লিখে থাকেন। একটা ফ্রেশ ঘুমের পর সকাল বেলায় আপনার ব্রেইন ঠান্ডা থাকে, মন চাংগা থাকে, তাই খুব তাড়াতাড়ি আর্টিকেল লেখার আইডিয়া পাওয়া যায়। আপনি সকালে আর্টিকেল লেখার ট্রাই করে দেখতে পারেন।

৫। আর্টিকেল যতটা সম্ভব সিম্পল রাখুন। কঠিন কঠিন কোনো শব্দ ব্যবহার করবেন না, আমরা দৈনন্দিন জীবনে যেসব শব্দ ব্যবহার করি সেগুলা দিয়েই আর্টিকেল লিখবেন। কোনো বাক্য খুব বেশি বড় করার দরকার নেই। ছোট ছোট সিম্পল বাক্য বেশি বেশি ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন। কমপ্লেক্স সেন্টেন্স্‌ যত কম পারা যায় ব্যবহার করবেন।

৬। আর্টিকেলে কোনো প্যারাগ্রাফ খুব বড় করা যাবেনা। একটা বিশাল বড় টেক্সট এর ব্লক কেউ পড়তে চায় না, কারন এভাবে পরে মজা লাগেনা। তাই আর্টিকেলটা ছোট ছোট প্যারা দিয়ে লিখুন। কোনো প্যারা খুব বড় হয়ে গেলে সেটাকে ভেঙ্গে ২ বা ৩ প্যারায় লিখে ফেলুন।

৭। অনেক সময় দেখা গিয়েছে, খুব হৈ চৈ পূর্ণ জায়গায় ভালো আর্টিকেল লেখা যায় না। আপনার মন সারাক্ষন এদিক ওদিক ছোটাছোটি করবে। আপনি আর্টিকেলে মন দিতে পারবেন না। তাই, নিরিবিলি কোনো স্থানে বসে আর্টিকেল লিখবেন।

৮। যদি একবসায় আপনার আর্টিকেল লেখা শেষ না হয়, তবে এতে চিন্তা করার কোনো কারণ নেই। কিছুক্ষন ঘোরাফেরা করে ফ্রেশ হয়ে আবার লিখতে বসেন। সময়ের চাপ নিয়ে আপনি কখনো ভালো আর্টিকেল লিখতে পারবেন না।

৯। আর্টিকেলে মাঝে মাঝে স্টোরি বলা খুব ভালো একটা প্র্যাক্টিস। এতে ভিজিটররা মজা পায় আর্টিকেলটা পড়ে, আপনার উপর তাদের ইম্প্রেশন ভালো হয়। তাই আর্টিকেলে সম্ভব হলে নিজের ব্যক্তিগত কোনো অভিজ্ঞতা গল্পের আকারে লেখার ট্রাই করতে পারেন

[sociallocker]

১০। অপ্রাসংগিক কথাবার্তা দিয়ে আর্টিকেল ভরে ফেলা খুব বাজে একটা ব্যাপার। এতে ভিজিটররা যে শুধু বিরক্ত হবে তাই নয়, আপনার সাইটের র‍্যাঙ্কিং এর উপরেও এটা একটা খারাপ এফেক্ট ফেলবে। তাই আর্টিকেলে এমন সব কথাই লিখবেন, যেটার জন্য আপনার ভিজিটররা আর্টিকেলটা পড়তে এসেছে এবং যেটা তাদের কাজে লাগবে।

১১। আর্টিকেলে পর্যাপ্ত এবং যেখানে যেখানে লাগে হেডিং, সাব হেডিং এসব ব্যবহার করবেন। এছাড়াও যেখানে যেখানে সম্ভব বুলেট পয়েন্ট ব্যবহার করার ট্রাই করবেন। এতে আপনার আর্টিকেলের রিড্যাবিলিটি বাড়বে। ভিজিটররা সহজে আর্টিকেলটা পড়তে পারবে।

১২। আর্টিকেল লেখা শেষ হওয়ার পর তা ভালোভাবে রিভাইজ দিন। আর্টিকেলে কোনো গ্রামাটিক্যাল ভুল থাকা যাবেনা। গ্রামাটীক্যাল ইরর চেকার টুল সম্পর্কে লেখা আমাদের এই আর্টিকেলটা পড়ে ফেলতে পারেন।

১৩। আর্টিকেলটা অবশ্যই ১০০% ইউনিক হতে হবে। কোনো ভাবেই কোনো কপি পেস্ট করা যাবেনা। আর্টিকেলে প্ল্যাগারিজম থাকলে তা সার্চ ইঞ্জিনে র‍্যাংক করার দূরের কথা, আপনার সাইটের আরো ক্ষতি করবে। তাই আর্টিকেল পাবলিশ বা ক্লায়েন্টকে ডেলিভার করার আগে অবশ্যই চেক করে নিন আপনার আর্টিকেলটা ইউনিক কিনা। প্ল্যাগারিজম চেকার টুল নিয়ে লেখা আমাদের এই আর্টিকেলটা দেখে আসতে পারেন।

১৪। একটা আর্টিকেল হাই কোয়ালিটি না লো কোয়ালিটি সেটা বোঝার কতগুলো উপায় আছে। আর্টিকেলটা লেখার পর আপনি নিজেই চেক করতে পারবেন সেটার কোয়ালিটি কেমন। এই বিষয়ে জানতে আমাদের এই আর্টিকেলটা পড়ে ফেলতে পারেন।

১৫। আপনি যদি আপনার আর্টিকেলের কোয়ালিটি সম্পর্লে সেরকম কনফিডেন্ট না হোন, তাহলে আর্টিকেল লিখে শেষ করার পর তা কয়েকজন বন্ধুকে পড়তে দিন। যদি তারা মনে করে আর্টিকেলটা সহজে পড়া যায়, লেখার ধরন মানানসই, তাহলে আপার কনফিডেন্স বেড়ে যাবে।

তো এই হলো আর্টিকেল রাইটিং এর জন্য আমার ১৫টা টিপস। এই টিপসগুলো আমার আর্টিকেল রাইটিং জার্নিকে অনেক সহজ করে দিয়েছিল। আশা করি আপনাদেরও কাজে আসবে এগুলো।

[/sociallocker]

আপনি যদি চান Writers Motion আপনার সব ধরনের আর্টিকেল লিখে দিক, তাহলে এখানে ক্লিক করুন।

Similar Posts