how to write seo optimized content

কিভাবে এস ই ও ওপ্টিমাইজড কন্টেন্ট লিখবেন? ( ৯টি টিপ্‌স )

আপনার সাইটের কন্টেন্টগুলো এস ই ও ওপটিমাইজড হওয়া খুবই জরুরি। কন্টেন্ট যদি এস ই ও এর জন্য ওপটিমাইজড না হয়, তাহলে সেটার সার্চ ইঞ্জিনে র‍্যাঙ্ক করার সম্ভাবনা খুব কম।

এস ই ও ব্যপারটা অনেক আগে থেকে শুরু হয়ে এসেছে। তবে, অনেক আগে থেকে শুরু হলেও, এর ধরন এখন অনেক অনেক পালটে গেছে। গুগুলের প্রতিটা আপডেটের সাথে সাথে এস ই ওর অনেক চেঞ্জ এসেছে।

কয়েক বছর আগেও কন্টেন্টকে এস ই ও ওপটিমাজড করতে যা যা করা লাগতো, এখন তা করা লাগেনা। এমনকি, কিছু কিছু জিনিস এখন করলে আপনার সাইট পেনালাইজড হবার সম্ভাবনা আছে। যেমনঃ কিওয়ার্ড স্টাফিং।

এই আর্টিকেলে আমি কন্টেন্ট এস ই ও ওপটিমাইজড করার সবচেয়ে আপডেটেড টিপস গুলো নিয়ে কথা বলবো। চলুন শুরু করা যাক।

১। কি ওয়ার্ড রিসার্চঃ

কন্টেন্ট লেখা শুরু করার আগে প্রথমেই আপনাকে কি ওয়ার্ড রিসার্চ করতে হবে। কি ওয়ার্ড রিসার্চ করার হাজার হাজার উপায় আছে, শ খানেল টুলস আছে। তো আমি ওগুলা নিয়ে এখানে তেমন কথা বলবো না। ব্যক্তিগত ভাবে আমি মেন্যুয়ালি কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে পছন্দ করি। এছাড়াও, answerthepublic.com সাইটটা আমি প্রায়ই ব্যবহার করি কি ওয়ার্ড রিসার্চ এর সময়।

কি ওয়ার্ড রিসার্চ শেষে আপনাকে মূলত এমন একটা কিওয়ার্ড ঠিক করতে হবে যেটা আপনার সাইটের নিশ এর সাথে মানানসই, কম্পিটিশন কম আর সহজে র‍্যাঙ্ক করার মতো।

কিওয়ার্ড রিসার্চ করার কয়েকটি জনপ্রিয় টুল এখানে উল্লেখ করলাম, আপনার কাজে আসতে পারেঃ

২। এস ই ও ফ্রেন্ডলি টাইটেল ঠিক করাঃ

টাইটেল আপনার কন্টেন্ট এর সবেচেয়ে গুরুত্বপূর্ন অংশগুলোর একটা। একজন ভিজিটর সবার আগে কন্টেন্ট এর টাইটেল দেখবে। তারপর ঠিক করবে কন্টেন্টটা পড়বে নাকি পড়বেনা। এছাড়াও, টাইটেল থেকে সার্চ ইঞ্জনগুলো কন্টেন্টটা কি নিয়ে তা থেকে ধারনা পায়। তাই টাইটেল একই সাথে এস ই ও ওপটিমাইজড এবং আকর্ষনীয় হতে হবে।

  • টাইটেলে আপনার ঠিক করা কিওয়ার্ডটা ব্যবহার করবেন। শুধু কিওয়ার্ড ব্যবহার করলেই হবেনা, এর আগে পরে আরো শব্দ যোগ করতে হবে টাইটেলটাকে সুন্দর করার জন্য। যেমন, যদি আমার কিওয়ার্ড হয় “seo tips” তাহলে আমি “Best SEO Tips Ripe For The Taking (Implement Today)” এমন কিছু একটা টাইটেল ঠিক করবো।
  • খেয়াল রাখবেন আপনার টাইটেল যেন ৬০ ক্যারেক্টার ক্রস না করে। টাইটেলের ক্যারেকটার কাউন্ট করার জন্য এই টুলটা ব্যবহার করতে পারেন।

টাইটেল জেনারেট করার জন্য চাইলে এই টুলগুলো দেখে আসতে পারেন। তবে আমি বলবো কোনো টুল ব্যবহার না করে নিজে নিজে ভেবে সুন্দর টাইটেল বের করাই ভালোঃ

৩। সাব-হেডিং

কন্টেন্টে এ যত বেশি সম্ভব সাব-হেডিং ব্যবহার করবেন। তবে তার মানে এই না যে, ইচ্ছামতো যেখানে ইচ্ছা সেখানে সাব-হেডিং দিলাম। অবশ্যই যেখানে প্রয়োজন সেখানে আপনাকে সাব-হেডিং ব্যবহার করতে হবে।

সাব-হেডিং এ কিওয়ার্ড থাকতেই হবে এমন কোনো কথা নাই। কি ওয়ার্ড রাখতে পারলে ভালো। তবে অবশ্যই খেয়াল রাখবেন, কিওয়ার্ডটা যেন ন্যাচারালি সাব-হেডিং এ আসে। এমন যেনো মনে না হয় যে ইচ্ছা করে জোর করে এখানে কিওয়ার্ডটা বসানো হয়েছে।

৪। কিওয়ার্ড ডেনসিটিঃ

আমরা অনেকেই কন্টেন্টে কিওয়ার্ড ডেনসিটি নিয়ে ভাবতে ভাবতে মাথার চুল ছিড়ে ফিলি। কত পার্সেন্ট কিওয়ার্ড ডেনসিটি হতে হবে, প্রতি ৫০০ ওয়ার্ড এ কতবার কি ওয়ার্ড রাখা লাগবে এমন প্রশ্ন প্রায়ই অনেকে করে থাকেন। আসলে এই পুরো ব্যাপারটাই সেকেলে। কিওয়ার্ড ডেনসিটি এখন কোনো ফান্ডামেন্টাল র‍্যাঙ্কিং ফ্যাক্টরের ভেতর পরে না। ৪-৫ বছর আগে এটার চল ছিল। গুগুলের রিসেন্ট আপডেটের পর এখন এটার কোনো অস্তিত্ব নেই।

কন্টেন্ট লেখার সময় এমন কোনো ভাবনা মাথায় রাখবেন না যে আমাকে ৫০০ শব্দের ভেতর এতোবার কিওয়ার্ড রাখা লাগবে। আপনি আপনার মতো করে কন্টেন্ট লিখতে থাকুন। ট্রাই করবেন কন্টেন্টে ন্যাচারালি কিওয়ার্ড আনার। ন্যাচারালি যতবার আনতে পারবেন, ততবারই আনবেন, এর বেশি না। কন্টেন্ট টা পড়ে এমন যেনো মনে না হয় যে এখানে কি ওয়ার্ড ইচ্ছা করে ঠেসে দেওয়া হয়েছে।

এমনো হয়েছে আমি একটা ১০০০ শব্ধের আর্টিকেলে শুধু একবার কিওয়ার্ড ব্যবহার করেছি, এবং সেটা গুগুলে র‍্যাঙ্ক করেছে। তাই এই কিওয়ার্ড ডেনসিটি নিয়ে মাথা ঘামানোর কোনো দরকার আছে বলে আমি মনে করিনা  তবে হ্যা, আমি চেষ্টা করি কন্টেন্ট এর ফার্স্ট প্যারাতে কিওয়ার্ডটা একবার হলেও রাখতে।

৫। এস ই ও ফ্রেন্ডলি URL:

একটা এস-ই-ও ওপটিমাইজড কন্টেন্ট এর জন্য সেটার URL এস-ই-ও ওপটিমাজড হওয়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ। URL ঠিক করার সময় নিচের ব্যাপারগুলোর দিকে খেয়াল রাখবেনঃ

  • URL এর স্ট্রাকচার এমন হবে যাতে মূল ডোমেইন এর পর আপনার কিওয়ার্ড আসে। যেমনঃ https://www.domain.com/your-keyword-here এভাবে URL স্ট্রাকচার করতে হবে।
  • URL বড়ো করবেন না। যতো ছোট রাখা যায়, ভালো। গুগুল জনপ্রিয় Matt Cutts বলছেন “a website’s URL first 3-5 words have more weight”.

৬। মেটা ডেসক্রিপশনঃ

মেটা ডেসক্রিপশন বলতে সেই অংশটুকু বোঝায়, যেটা আমরা সার্চ ইঞ্জিনে সার্চ রেজাল্টগুলোর টাইটেলের নিচে দেখতে পাই। এটা মূলত আপনার কন্টেন্ট এর উপর একটা ছোটো ডেসক্রিপশন যেটা সার্চ ইঞ্জিন গুলো টাইটেলের নিচে শো করে।

মেটা ডেসক্রিপশন লেখার সময় আপনাকে ভিজিটরকে বলতে হবে, এই কন্টেন্টটা মূলত কি নিয়ে লেখা, এটা পড়ে ভিজিটর কি কি সম্পর্কে জানতে পারবে এসব। আপনি যত গুছিয়ে সুন্দর করে লিখতে পারবেন, তত আপনার সাইটের CTR (Click Through Rate) বাড়বে। এতে আপনার র‍্যাঙ্কিং ও বাড়বে। মেটা ডেসক্রিপশনে চেষ্টা করবেন কিওয়ার্ডটা রাখতে, তবে অবশ্যই কিওয়ার্ড স্টাফ করবেন না।

৭। কন্টেন্ট ইজ কিং

আপনি যত ভালো করেই উপরের জিনিসগুলো করেন না কেন, আপনার কন্টেন্ট ভালো না হলে কোনো কিছুই কাজে আসবে না। গুগুলে র‍্যাঙ্কিং এর ক্ষেত্রে কন্টেন্ট আসলেই কিং। কন্টেন্ট আপনি লিখুন, বা কোনো এজন্সিকে দিয়ে লেখান, অবশ্যই সেটার গুণগত মানের দিকে নজর রাখবেন। আপনার কন্টেন্ট ভালো না হলে সেটাকে যতই ওপটিমাইজড করুন, কোনো কাজে আসবেনা। কিভাবে ভালো কন্টেন্ট লিখতে হয় সে সম্পর্কে আমি বেশ কয়েকটি আর্টিকেল লিখেছি। নিচে সেগুলো লিংক দিয়ে দিলাম। চাইলে দেখে নিতে পারেনঃ

আর্টিকেল লেখার ১৫টি টিপস

কিভাবে একটি প্রডাক্ট রিভিউ আর্টিকেল লিখতে হয়?

কিভাবে বুঝবেন একটা আর্টিকেল হাই কোয়ালিটি নাকি লো কোয়ালিটি?

কিভাবে দেখবো আমার আর্টিকেল প্ল্যাগারিজম ফ্রি? (৫ টি ফ্রি টুলস্‌)

কিভাবে আর্টিকেলের গ্রামার চেক করবেন? (৩ টি গ্রামার চেকার টুলস্‌)

৮। লিঙ্কিং

ইন্টারলিঙ্কিং এবং এক্সটার্নাল লিঙ্কিং দুটই কন্টেন্টের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। যেখানে যেখানে সম্ভব, আপনার সাইটের আগের আর্টিকেলে গুলো সাথে ইন্টারলিঙ্ক করে ফেলুন। এটা কন্টেন্ট এর ভ্যালু অনেকগুণে বাড়িয়ে দেয়। এছাড়াও, সার্চ ইঞ্জিনগুলো সহজে আপনার সাইটের অভ্যন্তরীন স্ট্রাকচার বুঝতে পারে, এতে আপনার সাইট সহজেই ক্রল করা যায়।

ইন্টারলিংক ছাড়াও যদি সম্ভব হয় এক্সটার্নাল লিঙ্কিং করুন। এতে আপনার সাইটের ভিজিটররা পড়ার জন্য এডিশনাল রিসোর্স পাবে, যেটা আপনার সাইটের বিশ্বাসযোগ্যতা ভিজিটরদের কাছে আরো বাড়িয়ে দিবে। এক্সটার্নাল লিঙ্কিং করার সময় চেষ্টা করবেন এমন সব সাইটকে লিঙ্ক করতে, যেগুলো হাই অথরিটি সাইট, PA DA এসব অনেক বেশি।

৯। ছবিতে অল্ট ট্যাগে ব্যবহারঃ

আপনার কন্টেন্ট যদি শুধুই টেক্সট হয়, তাহলে সেটা ভিজিটরদের জন্য প্রচন্ড বোরিং হবে। তাই অবশ্যই কন্টেন্টে যেখানে যেখানে সম্ভব ছবি ব্যাবহার করবেন। অবশ্যই ইমেজ ইন্সার্ট করার সময় সেটার অল্ট ট্যাগ দিতে ভুলবেন না। অল্ট ট্যাগ ইমেজ র‍্যাঙ্কিং এর জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। মূলত অল্ট ট্যাগ দিয়েই সার্চ ইঞ্জিন গুলো বুঝতে পারে ইমেজটা কি নিয়ে করা।

যদি, আমি কন্টেন্টে মজার বিড়ালের কোনো ছবি দেই, তাহলে অবশ্যই সেটার অল্ট ট্যাগে Funny cats বা এই জাতীয় কোনো ট্যাগ ব্যবহার করবো। এতে সার্চ ইঞ্জিনগুলো বুঝতে পারবে আমার ছবিটা মজার বিড়ালের কোনো ছবি।

 

তো এই হলো আমার কন্টেন্ট এস-ই-ও ওপটিমাইজড করার শর্ট গাইড। আশা করি এই গাইডটা আপনাদের কাজে আসবে।

Writers Motion আর্টিকেল এস-ই-ও ওপটিমাইজড করার দিকে সম্পূর্ণ গুরুত্ব দিয়ে থাকে। আমাদের থেকে আর্টিকেল অর্ডার করতে এখানে ক্লিক করুন।

 

 

Similar Posts